Recent Tube

বিতি কিচ্ছা-৩৮; নুর মুহাম্মদ চৌধূরী।

                                বিতি কিচ্ছা,
                                        পর্ব-৩৮


  পাগলার হাট:-

      পাগলার হাটের রাজা মশাই বেশ আপ্লুত। কারণে অকারণে চাপরাশি আর খয়ের খাঁ'দের আচমকা হাততালিতে মুখরিত রাজা মশাই'র সভা সমাবেশ। সুতরাং আর যায় কোথায়? পিতাজীর স্বপ্ন বুজি পুরো হতে আর বাকি নাই বেশ। এইক্ষণে রাজ্যময় নৈরাজ্য কায়মে তৎপর কতক চৌকশ বাহাদুর প্রদীপ কিংবা লিয়াকতরা হঠাৎ করে বেকায়দায় পড়ে যাবার কোন কথা ছিল না। কিন্তু তকদিরের মারপ্যাচে কারোর হাত নেই বলেই কৌশলে পরিবর্তন সাপেক্ষে সময়ক্ষেপনই যথার্থ করণীয়। 

   এদিকে স্বপ্নবাজ পিতাজী নাকি তার স্বপ্নের রাজ্যে প্রথম পদার্পণমাত্র উচ্চারিত প্রথম বাক্যটি খুব মনে রেখেছেন দেউলীয়া গ্রামের করিমউল্লাহ।  আড়ালে আবডালে কথার ফাঁকে সুযোগমত বাক্যটি তিনি বলেই থাকেন। "শেষ পর্যন্ত দেশটাকে তোরা স্বাধীন করেই ছাড়লে"!? একই সাথে প্রশ্নবোধক ও আশ্চর্য্যবোধক এই বাক্যটি থেকে মান্যবর পিতাজীর স্বপ্নের কিছুটা আন্দাজ অনুমান করেন বয়োবৃদ্ধ এই করিমউল্লাহ। কিন্ত তা সত্তেও নগদে বিশ্বাসী তেলবাজ এই জাতির তৈল মর্দনে যার পর নাই খামোশ্ আমাদের পাগলার হাটের রাজা মশাই।  

        সুযোগের সদ্ব্যবহার করে পুকুর খননের প্রশিক্ষণের নামে মঙ্গল যাত্রার নামে লোপাটে মেতে  নির্বিগ্ন ফল লাভে বাহাবা কুড়ালেন কতক গুনধর চামচা। পাগলা রাজাতো মহা আপ্লুত হেরে অপরুপ তামশা। এখন  আবার কথিত রসনা বিলাসী এই জাতিকে গেরুয়া বাবুর্চির খিচুড়ীর রেসিপির দিক্ষা দেয়ার আজগুবি তামাশায় লিপ্ত হচ্ছেন কতক খয়ের খাঁ'র গোষ্টি। হায় অপরুপ পাগলার হাটের চিত্তহীন এক মানবসুরত জাতি,না জানি কি আজব উপাদানে সৃষ্টি এ জাতীর প্রতিমুর্তি। 

     অত:পর সর্বদর্শনে আশ্চর্যজনকভাবে রাজামশাই'র নয়ন জুড়ে তৃপ্তির এক পশলা ঘুম এসে ভর করলো। ডাক্তার বলেছেন ঘুমের ঔষধ বিহনে আহুত ঘুমে সমুহ শুভ নিহিত আছে, এতএব শুভ দর্শনের অপেক্ষায় রইলো জাতির তাবৎ সদস্য। কিন্তু প্রয়াত পিতাজীর স্বপ্নদোষ একটু বেশীই ছিল বলে কি না জাতির বিরক্তি চরমে ঠেকে আছে। এই স্বপ্নের একটা পাণ্ডুলিপী থাকলে অন্তত বলা যেত কত গেল  আর রইলো কত। চামচারা কিন্তু অবলীলায় স্বপ্ন প্রসব করেই চলছে আজও।
--------------------------------------------------     

Post a Comment

0 Comments