Recent Tube

অবাক হয়নি। আবার কিছুটা অবাক করার মত কথা। -ইবনে যুবাইর।

অবাক হয়নি, আবার কিছুটা অবাক করার মত কথা। 

খেলাফত কায়েমের লক্ষ্যে ২০০৪-৫ সালে দেশব্যাপী সিরিজ বোমা ফাটিয়ে অনেক নিরীহ মানুষ হত্যা করে জেএমবি তথা মাদখালিরা।জোট সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সাঁড়াশি অভিযানের মাধ্যমে বাংলা ভাইসহ প্রথম সারির বেশ কিছু নেতাকে গ্রেফতার করে।

আসাদুল্লাহ আল গালিব তখন জেএমবির আমীর।পুলিশ তাকেও গ্রেফতার করে। হাসিনা ক্ষমতায় এসে গালিবকে মুক্ত করে দেন।তিনি জেল থেকে ছাড়া পাবার পর কিছু দিন নীরব থাকেন।পরে হাসিনার আশির্বাদে রাষ্ট্রীয়ভাবে দ্বীন কায়েমের বিরুদ্ধে সরাসরি অবস্হান নেন এবং এর বিরুদ্ধে লিখালেখিতে মনঃসংযোগ করেন।এখনো লিখছেন।

অতি সাম্প্রতিক কালে রাজ্জাক বিন ইউসুফের সাথে সাক্ষাত করে ইহুদীবাদী ইসরাইলের কুখ্যাত গোয়েন্দাবাহিনীর সদস্য।এটি নিয়ে ফেসবুকে আলোচনা ও ব্যাপক সমালোচনাও হয়।  
ইচ্ছে ছিল মাদখালিদের নিয়ে কিছু লিখব না।কারণ,এই মাদখালিদের কেবলা হচ্ছে ইহুদীবাদী ইসরাইল ও সৌদির বিন সালমান।বিন সালমানের সকল অপকর্মকে বৈধতার ফতুয়া দেয়া মাদখালিদের বড় ইবাদত।

শুধু বিন সালমান নয়,মুসলিম বিশ্বের প্রতিটি স্বৈরাশাসকদের বৈধতা দেয়ার জন্য তাদের ফতুয়া বাজারজাত হয়।
মাদখালিদের অভিভাবকত্ব করার জন্য দরবেশ খ্যাত সালমান এফ রহমানকে নিয়োগ দিয়ে রেখেছেন শেখ হাসিনা।উল্লেখ্য যে,এ দেশে জেএমবির গোড়াপত্তন হয় সাবেক যুবলীগ নেতা মীর্জা আযম এর হাত ধরে।
 
জোট সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে সিরিজ বোমা ফাটিয়ে দেশে অস্তিত্বশীল পরিস্হিতি সৃষ্টি করা এবং বিশ্ব দরবারে এ দেশকে উগ্র মৌলবাদি রাষ্ট্র হিসাবে চিত্রিত করা ছিল তাদের মূল উদ্দেশ্য।যাতে করে বিদেশি প্রভুরা জঙ্গি মদদ দেয়ার অভিযোগে জোট সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে ইসলাম বিদ্বেষী আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় বসায়।হযেছিল তাই।উদ্দেশ্য তাদের শতভাগ সফল হয়।
ফকরুদ্দীনসহ তিন উদ্দীনের ষঢ়যন্ত্রের মাধ্যমে হাসিনা ক্ষমতায় আসে।আর এর মাস্টারমাইন্ড হল ভারত, ইসরাইল ও আমেরিকা।
ছাত্রলীগ থেকে বুড়ালীগসহ দেশকে ধর্ষণের অভয়ারণ্য বানিয়ে দিয়েছে।মা বোন আজ ঘরে থেকেও নিরাপদ নয়।

এই নিয়ে মাদখালিদের টু শব্দিটি নেই।কিন্তু তুর্কী সিরিয়ালের বিরুদ্ধে ফতুয়া নিয়ে হাজির কথিত শায়খ মাদখালি জাকারিয়া।কোন ফতুয়া নেই ভারতের সিরিয়াল নিয়ে।আবার মাদখালিদের ভগবাস বিন সালমানের হালাল বেশ্যাখানায় ব্যাপারে সুনসান নীরব।

ধর্ষণের ব্যাপারে শরিয়া আইনে বিচার এবং পর্দার বিধান কার্যকর করার জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন আল্লামা বাবু নগরী।আর এতেই মাসুদা ভাট্রি নামের এক ভদ্র মহিলার বিন্দাবনে আগুন লেগে গেছে।মৌলবাদির গন্ধ নিয়ে তিনি ময়দানে হাজির।অথচ,আওয়ামী ধর্ষকদের বিরুদ্ধে তার কোন বয়ান নেই।
আপনার হয়তো বিশ্বাস করতে কষ্ট হবে।কিন্তু সত্য এটিয় যে,ভাট্রি আর কথিত শায়খ মাদখালিরা একই কোম্পনির মাল।ময়দানে আসে ভিন্নরুপে।শায়খরা মাথায় ঘুমটা পরে আর ভাট্রিরা নাঙা মাথায়।
---------------------------------------------------------------
লেখকঃ ইসলামিক আর্টিকেল লেখক ও অনলাইন এক্টিভিস্ট।          

Post a Comment

0 Comments