Recent Tube

বিতি কিচ্ছা-৫০ ---নুর মুহাম্মদ চৌধূরী।

                      বিতি কিচ্ছা;
             পর্ব-;


লেন্দুপরা সফল হয় না:

           বিদঘুটে আধাঁরের চাদরে ঢাকা চারিপাশ। কেউ কোথাও নেই। সবই মনে হয় শুন্য। এমন সময় আলো এলো। আধাঁর তার কালো চাদরে আবৃত্ত হয়ে চলে গেল অনেক দূর। সবটুকু কিন্তু গেল না,  তার কিছুটা সে রেখে গেল আলোর একদম কিনার ঘেষে। আবছা ছায়াসম এই কালেমুর্তি আধাঁরগুলো চোরের মত আলোর কোল ঘেষে লালিত হতে থাকল। মুল আধাঁর তখন অনেক দুরে দাড়িয়ে থেকে আলোর যবনিকাপাত ঘটানোর চক্রান্তে ব্যস্ত হয়ে পড়েল।

        এইভাবে যুগে যুগে আলো আর আধাঁরের খেলা চলতেই থাকল। আলোর কোল ঘেষা সেই আবছায়া আধাঁরে আধাঁরের কিছু শিশ্য তৈরী হল। যুগে যুগে এটা বিভিন্ন নামে পরিচিতি লাভ করল। কখনও ফেরউন, সাদ্দাদ, কখনও মীরজাফর, কখনও হয় লেন্দুপ আরোও কতো কি। তবে এই মীরজাফর, লেন্দুপরা কভুও আম জনতার আশীর্বাদপুষ্ট হল না। বরং তারা হলল ধীক্ষারের পাত্র । যুগের পর যুগ তাদের কৃত দূষ্টকর্মসমুহ আম জনতার কাছে নিন্দনীয় হয়ে বেঁচে থাকল। কিন্তু ইতিহাসের এই শিক্ষা থেকে জ্ঞান লাভের পরও যুগে যুগে মীরজাফর, লেন্দুপ তৈরী হল। তৈরী হল তাদের উত্তরসূরী। যা তাদের বাপের নামে কলঙ্ক লেপন করে বেঁচে থাকল।

       এদের প্রধান কাজ হল অনধিকার চর্চ্চা। এ এক প্রকার নেশা। এদের কাছে ব্যাক্তি স্বাধীনতার সংজ্ঞা তাদের মনগড়া, আলাদা। এরা লুট-পাট, শোষন, জুলুম ইত্যাদি হেন অপকর্ম নাই-যা তারা করতে পারে না।

       সকল যুগেই এ রকম অসম্ভব রকমের অর্থলুলোপ কিছু মানুষ জনগনের দণ্ডমুণ্ডের কর্তা সেজে ইতিহাসের আস্তাকুড়ে আপন নিবাস রচনায় ভীষন তৎপর ছিল, আজও আছে। এরা আধাঁরের শিশ্যত্ব বরণ করে তৃপ্তির ঢেকুর তুলছে। আলোকোজ্জ্বল পাঠ পরিক্রমা থেকে তারা অন্ধের মত চোখ ফিরিয়ে নিয়েছে। বিনিময়ে দেশ ও জাতির অপূরণীয় ক্ষতি ডেকে নিয়ে আসছে। ইতিহাস তাদেরকে কখনওই ক্ষমা করেনি, ক্ষমা করবেও না কখনও।

       তবে লেন্দুপরা সব সময় কিন্তু সফল হয় ন। কালে ভদ্রে কখনও যে হিতে বিপরীত হয় না, তা নয়। তখন কিন্তু আর লাঞ্চনার সীমা পরিসীমা থাকে না। বিষয়টি ভেবে দেখার অবকাশ পেলে হয়ত ভাল হত। বাস্তবতা হচ্ছে আপন স্বাধীনতা, স্বকীয়তা আধাঁরে সমর্পণ করে আলোর প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন সাময়ীক সুখ উপহারও দেবে না -এটা নিশ্চিত।

Post a Comment

0 Comments