Recent Tube

স্মাইলি বা ইমোজি/ইমোটিকন ব্যবহার কি জায়েজ?

প্রশ্ন : স্মাইলি বা ইমোজি/ইমোটিকন ব্যবহার কি জায়েজ?
=======================
উত্তর
১. ভূমিকা : প্রাণীর ছবি অঙ্কনের ব্যাপারে কুরআন-হাদীসের নিষেধাজ্ঞা।
২. ছোট ছবি আর বড় ছবির বিধানে সমতা।
৩. ছবির মূল অংশ কোনটা?
৪. স্মাইলির প্রকারভেদ ও বিধান।
৫. সতর্কতা।
নিম্নে ধারাবাহিক ভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করব ইনশা’আল্লাহ।
এক.
যে কোনো প্রাণসমৃদ্ধ প্রাণীর চিত্রকর্ম অঙ্কনের ব্যাপারে ইসলামের অবস্থান সুস্পষ্ট। তা হলো, হারাম। এ ব্যাপারে এত হাদীস বর্ণিত হয়েছে যে, ফকীহগণ বলেন, অর্থের দিক থেকে সেগুলো মুতাওয়াতির (ধারাবাহিক অবিচ্ছেদ্য সূত্রের) পর্যায়ে পৌঁছে গেছে।
আমরা নিম্নে কয়েকটি হাদীস তুলে ধরছি।
১) আব্দুল্লাহ বিন উমর (রা:) বলেন, নবী (সা:) বলেছেন: 
এই সব চিত্রকর্মের শিল্পীদের খুব শাস্তি দেয়া হবে। বলা হবে, তোমরা যা সৃষ্টি করেছ, তাতে প্রাণ দাও তো।”
[বুখারী: ২য় খন্ড, পৃ:৮৮০, মুসলিম: ২য় খন্ড, পৃ:২০১, (রশীদীয়া লাইব্রেরী দিল্লী); বুখারী:৫৯৫১, মুসলিম: ২১০৭]
২) ইবনে আব্বাস (রা:) বলেন, আমি নবীজী (সাঃ)-কে বলতে শুনেছি: 
“যে ব্যক্তি পৃথিবীতে কোন প্রতিকৃতি তৈরি করবে তাকে কিয়ামতের দিন বাধ্য করা হবে যেন সে তাতে প্রাণ সঞ্চার করে, অথচ সে তা করতে সক্ষম হবে না।” 
[বুখারী: ৫৯৬৩, মুসলিম: ২১১০]
৩) আবু হুরায়রা (রা:) বলেন: 
“আমি নবীজীকে (সাঃ) বলতে শুনেছি: 
আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, তার চেয়ে জালিম আর কে হতে পারে, যে আমার সৃষ্টির ন্যায় কিছু সৃষ্টি করে? পারলে একটি শস্য দানা বা একটি গম বা একটি যব সৃষ্টি করুক তো..।” [বুখারী: ২:৮৮০, মুসলিম: ২:২০২; বুখারী: ৫৯৫৩, মুসলিম: ২১১১]
৪) আয়েশা (রা:) বলেন: 
“একদা নবী (সাঃ) আমার ঘরে আসলেন। আমি তখন ছবি আছে এমন একটি চাদর আড়াল করে রাখছিলাম। নবীজীর স: চেহারা বিবর্ণ হয়ে গেল, তিনি তা নিয়ে ছিড়ে ফেললেন। এরপর বললেন, কিয়ামতের দিন সবচেয়ে বেশী শাস্তি তাদের হবে যারা আল্লাহর সৃষ্টির সাদৃশ্য করে।” 
[বুখারী: ২:৮৮০, মুসলিম: ২:২০০]
এভাবে প্রায় বারো জন সাহাবী নবীজী (সাঃ) হতে মানুষ ও জীব-জন্তুর চিত্র-প্রতিকৃতি নির্মাণে নিষেধাজ্ঞার হাদীস বর্ণনা করেছেন। যার সবকটির মর্ম প্রায় একই রকম। 
এসব হাদীসের ভিত্তিতেই প্রখ্যাত হাদীসবেত্তা ইমাম নববী (রহ:) বলেন: 
এ ব্যাপারে হাদীস বিশারদগণ একমত যে রূহ বিশিষ্ট প্রাণীর প্রতিকৃতি বানানো নিষিদ্ধ এবং হারাম।  
[ফাতাওয়াল ইসলাম, প্রশ্ন নং: ৭২২২ ও ২০৮৯৪, মাকতাবা শামেলা]
ইমাম নববী তাঁর বিখ্যাত হাদীস সংকলন ‘রিয়াদুস সালেহীনে’ “ باب تحريم تصوير الحيوان في بساط أو حجر أو ثوب أو درهم أو دينار أو مخدة أو وسادة وغير ذلك ، وتحريم اتخاذ الصورة في حائط وسقف وستر وعمامة وثوب ونحوها ، والأمر بإتلاف الصورة” নামে একটি অধ্যায়ের নামকরণ করেন।
অর্থ: অধ্যায় : বিছানা, পাথর, কাপড়, দিরহাম, দীনার, বালিশ, কুশন, দেয়াল, ছাদ, পর্দা, পাগড়ী ইত্যাদিতে জীব-জন্তুর ছবি আঁকা হারাম হওয়া এবং এসব ছবি নষ্ট করার নির্দেশ সম্পর্কিত হাদীস।
এতে বোঝা যায় যে, হাদীসের আলোকে তিনি সব রকম প্রাণীর ছবি বা মূর্তি আঁকা বা নির্মাণ করা হারাম মনে করতেন। এবং এ ব্যাপারে তিনি ফকীহদের ঐক্যমত্যও দাবী করেন। (দেখুন : http://www.islam-qa.com/ar/ref/78963)
দুই.
পূর্বের হাদীসগুলো থেকে বোঝা যায়, ছবি বড় হোক আর ছোট হোক, অঙ্কন করা বা বানানো হারাম। ইমাম নববীর হাদীসের অধ্যায়ের নামকরণ ব্যাপারটিকে আরো পরিস্কার করে তোলে। 
ছবির ক্ষেত্রে মূল হলো ছবির চেহারা বা মুখমন্ডল। চেহারা কর্তিত ছবি হলে তা হারাম থাকে না।
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন: 
الصورة الرأس ، فإذا قطع الرأس فلا صورة 
ছবি হলো মাথার অংশ। মাথা কেটে ফেললে তা আর ছবি থাকে না।
ইবনে আব্বাস (রা:) হতে বর্ণিত, আলবানী বলেছেন: সহীহ। 
[আস সিলসিলাতুস সাহীহাহ: ১৯২১]
পক্ষান্তরে শুধু চেহারা থাকলে সেটাও ছবির নিষেধাজ্ঞায় পড়বে। উপরোক্ত হাদীস থেকে তা-ই প্রমাণিত হয়। তা ছাড়া শুধু মাথা বা মুখমন্ডলের ছবি নিষেধাজ্ঞা থেকে বের হওয়ার কোনো দলীল নেই।
তিন.
স্মাইলি বা ইমোটিকন দুই ভাবে ব্যবহৃত হয়।
১) মুখমন্ডলের ছবি। এটা আবার কয়েক রকম। ছোট, বড়। স্টিল ছবি, এ্যানিমেটেড ছবি ইত্যাদি। পূর্বোক্ত আলোচনার দ্বারা বোঝা যায় যে, মুখমন্ডল আঁকাও প্রাণীর সম্পূর্ণ ছবি আঁকার নামান্তর। আবার ছবি ছোট হওয়ায় বিধানে কোনো তারতম্য হয় না। তাই এ ধরনের ছবিযুক্ত স্মাইলি বা ইমোটিকন ব্যবহারের বিধান ছবি অঙ্কনের বিধানের ন্যায় (হারাম) হবে বলেই মনে হয়।
উপরোক্ত বক্তব্যের সমর্থন:
মুফতি ইব্রাহীম দেসায়ী: http://www.askimam.org/fatwa/fatwa.php?askid=9016456ed766d5857a9c0cab045d1e99
মুফতি আব্দুল্লাহ বিন বায ও মুফতি মুহাম্মদ বিন ইব্রাহীম: http://www.islam-qa.com/ar/ref/78963
২) শুধু কোলন আর ব্র্যাকেটের সমন্বয়ে। বা শুধু অক্ষর যোগে।
যেমন, 🙂 😞 😀 😉 ইত্যাদি।
যেহেতু এসবে মুখের বা চেহারার কোনো আকৃতি থাকে না, নিছক কিছু অক্ষরের সমন্বয়ে হয়ে থাকে, তাই এসবের ব্যবহার ছবি অঙ্কনের বিধানের অধীন হবে না।
তাছাড়া এসবে কোনো চোখ, নাক, চেহারা অঙ্কন করা হয় না। আর হাদীসে বর্ণনা এসেছে যে, ছবি হলো সেটা, যেটাতে মাথা/মুখমন্ডল থাকে।
উপরোক্ত বক্তব্যের সমর্থন:
http://www.askimam.org/fatwa/fatwa.php?askid=9016456ed766d5857a9c0cab045d1e99
এবং http://www.islam-qa.com/ar/ref/110504
চার.
যদিও অক্ষরের সমন্বয়ে সৃষ্ট স্মাইলি ব্যবহারের অনুমতি রয়েছে, তবু তার ব্যবহার কেবল একই জেন্ডারের মানুষের সাথে চ্যাটিংয়ে সীমাবদ্ধ রাখা উচিৎ। কেননা বিপরীত জেন্ডারের সঙ্গে চ্যাটিংয়ে এসবের ব্যবহারে -যদি তিনি মাহরাম (যার সাথে কথা বলা, দেখা দেয়া জায়েয) না হন- তার চেহারার কল্পনা আসা খুবই স্বাভাবিক। যার সম্ভাবনাময় পরিণতি হলো অশ্লীল কল্পনা, যা হারাম। কাজেই এসব থেকে বিরত থাকা উচিত।
উল্লেখ্য যে, অধিকাংশ আলেমগণ বিপরীত জেন্ডারের (গায়র মাহরাম) সাথে শুধু তখনই চ্যাটিংয়ের অনুমতি দিয়েছেন, যখন একান্ত প্রয়োজন হবে, এবং যখন তা ফোরাম বা এমন কোনো উন্মুক্ত পরিসরে হবে। ব্যক্তিগত চ্যাটিং, ই-মেইলকে কখনো তারা অনুমতি দেন নি।
আরো পড়ুন: http://www.islam-qa.com/ar/ref/34841
আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন। আমীন।
*********************
প্রশ্নঃ ম্যাসেঞ্জার বা অন্যান্য social hub এ যে আমরা ইমোজি ব্যাবহার করি এগুলো কি হারাম?
------------------------------------------------------------- 
উত্তরঃ 
 আসলে যেখানেই প্রাণীর আকৃতি থাকুক না কেন সেটা ব্যাবহার হারাম। ইমোজি দিয়ে আমাদের আবেগ বুঝায়। আর এর জন্য চোখ,নাক, মুখের আকৃতি নির্দেশনা থাকে। আর মানব চেহারার আদলে হলেই যেখানে আমরা প্রাণ দিতে পারবো না তা অবশ্যই হারাম। এগুলোও অঙ্কনের মধ্যেই পড়ে। 
but there are also some emojis what are halal. like a rose emoji. 
but the emoji with halo, the blushing smile, and other everything with the Face mark is absolutely haram.
إن الذين يصنعون هذه الصور يعذبون يوم القيامة يقال لهم : أحيوا ما خلفتم
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা:) থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: 
‘যারা এই সব প্রতিকৃতি প্রস্তুত করে তাদেরকে কিয়ামতের দিন আযাবে নিক্ষেপ করা হবে। তাদেরকে বলা হবে, যা তোমরা সৃষ্টি করেছিলে তাতে প্রাণ সঞ্চার কর।’ 
[সহীহ বুখারী: ৫৯৫১; সহীহ মুসলিম: ২১০৭]
মুসলিম ইবনে সুবাইহ্ বলেন: 
‘আমি মাসরূকের সঙ্গে একটি ঘরে ছিলাম যেখানে মারইয়াম-এর প্রতিকৃতি ছিল। মাসরূক জিজ্ঞাসা করলেন,এটা কি কিসরার প্রতিকৃতি? আমি বললাম, না, এটি মারইয়াম-এর প্রতিকৃতি। তখন মাসরুক বললেন:
سمعت عبد الله ابن مسعود يقول : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : أشد الناس عذابا يوم القيامة المصورون.
আমি আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদকে (রা:) বলতে শুনেছি, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: 
'প্রতিকৃতি প্রস্তুতকারীরা কেয়ামতের দিন সবচেয়ে কঠিন আযাবের মুখোমুখি হবে।' [সহীহ মুসলিম: ২১০৯]
আব্দুল্লাহ ইবনে আববাস (রা:) বলেন:
سمعت محمدا صلى الله عليه وسلم يقول : من صور صورة في الدنيا كلف يوم القيامة أن ينفخ الروح وليس بنافخ.
আমি হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি যে: 
'যে কেউ দুনিয়াতে কোনো প্রতিকৃতি তৈরি করবে তাকে কিয়ামতের দিন বাধ্য করা হবে যেন সে তাতে প্রাণ সঞ্চার করে, অথচ সে তা করতে সক্ষম হবে না।' 
[সহীহ বুখারী: ৫৯৬৩; সহীহ মুসলিম: ২১১০]
হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রা:) বলেন:
রাসূলুল্লাহ' সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক সফর থেকে ফিরলেন। আমি কক্ষের দ্বারে একটি পর্দা ঝুলিয়ে ছিলাম, যাতে ছবি অঙ্কিত ছিল। তিনি তা খুলে ফেললেন এবং বললেন, কিয়ামতের দিন তাদেরকে কঠিন আযাব দেওয়া হবে যারা আল্লাহর সৃষ্টি বৈশিষ্ট্যের সাদৃশ্য গ্রহণ করে।’ উম্মুল মু’মিনীন বলেন, তখন আমরা তা কেটে ফেললাম এবং একটি বা দুইটি বালিশ বানালাম।' 
[সহীহ বুখারী: ৫৯৫৪; সহীহ মুসলিম: ২১০৭
*******************
ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসএ্যাপ ইত্যাদিতে চ্যাটিং-এর সময় বিভিন্ন ধরণের emoji ব্যবহারের বিধান:
*******************
ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসএ্যাপ ইত্যাদিতে চ্যাটিং-এর সময় বিভিন্ন ধরণের emoji ব্যবহারের বিধান
পূর্ণ অবয়ব যুক্ত emoji অর্থাৎ যে সব emojiতে প্রাণীর মাথা, মুখ, চোখ, নাক, কান ইত্যাদি স্পষ্টভাবে বুঝা যাচ্ছে সেগুলো ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই কতর্ব্য। এগুলো হাদীসে বর্ণিত নিষিদ্ধ ‘প্রাণীর ছবি’র অন্তর্ভূক্ত হবে বলে আশংকা রয়েছে। তবে যদি চোখ, মুখ ইত্যাদি অঙ্গগুলো স্পষ্ট না বুঝা যায় তাহলে তা ব্যবহারে দোষ নেই। কেননা, এগুলোকে ‘প্রাণীর ছবি’ বলা যায় না বরং খুব বেশী এগুলোকে আঁকিবুকি, চিহ্ন বা রেখার অন্তর্গত বলা যায়। 

তবে যথাসম্ভব এ সব ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই অধিক নিরাপদ।
আল্লাহু আলাম।
******-*-**
সুত্রঃ শায়খ আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলিল। 
সৌদি আরব।
___________________________________

স্টিকার ইমোজি
ব্যবহারে সতর্ক হোন..!! 🚫

ফেসবুক মেসেন্জার সহ সকল নেট দুনিয়ায়  রয়েছে নানা রকম স্টিকার, এসব স্টিকারের অর্থ না বুঝেই আমরা ব্যবহার করছি  ইচ্ছেমত..!!
 অথচ কিছু স্টিকার -ইমোজি মুসলমান হিসেবে ব্যবহার করা মোটেও  বৈধ নয়..!!
যারা আগে থেকেই স্টিকারই ব্যবহার করেন না বা করতে পছন্দ করেন না, তাদেরকে শুকরিয়া জানাই..!!
(একটা কথা বলে রাখা ভালো- আমি নিজেও না জেনে মাঝে মধ্যে স্টিকার -ইমোজি ব্যবহার করতাম কিন্তুু এই বিষয় গুলো জানার পর আর করবো না,ইন শা আল্লাহ।আসলে নিজ থেকে কেউ কোনো পাপ বা মন্ধকাজ থেকে বিরত থাকতে চাইলে আল্লাহই তার সহায়ক হন..!!

কয়েকটি স্টিকার ও ইমোজি-

★ 🤘🤙👌👁 💦
এগুলো দাজ্জালের দোসর ইলুমিনাতি সিম্বল.. এ থেকে অবশ্যই বেঁচে থাকতে হবে..নয়তো আপনি না জেনেই দাজ্জালের পক্ষে কাজ করবেন..!!

★  😈👿👹
ইলুমিনাতির পূজনীয় শয়তান "লুসিফার" এর সিম্বল.. Lol শব্দটিও ব্যবহার করবেন না, কেননা এর পূর্ণরূপ "Lucifer is our lord" বা "শয়তান লুসিফার আমাদের প্রভু" এমনটি মনে করেন বিশেষজ্ঞগণ..!!

★  🧖‍♀️🧖‍
কাফের-মুশরিকদের দেবতা সিম্বল,.!!

★  👩‍👩‍👦👩‍👩‍👧👩‍👩‍👧‍👦👩‍👩‍👦‍👦👩‍👩‍👧‍👧
নারী সমকামিতা সিম্বল..!!

★  👨‍👨‍👦👨‍👨‍👧👨‍👨‍👧‍👦👨‍👨‍👦‍👦👨‍👨‍👧‍👧
পুরুষ সমকামিতা সিম্বল..!! 

★  👩‍❤️‍💋‍👩👨‍❤️‍💋‍👨
নারী-নারী ও পুরুষ-পুরুষ সমকামীতার অধর চুম্মন সিম্বল..!! (নাঊযুবিল্লাহ) 
কেননা এই স্টিকার বা ইমোজিগুলো ভাঙলে 
👩❤️‍💋‍👩‍ এই স্টিকারগুলো দেখতে পাবেন..!!

★  💏
এই ইমোজিটি অনেককেই ব্যবহার করতে দেখা যায় এটি হল একটি পুরুষ একটি নারীকে ঠোঁট উঁচু করে চুমু দেবার সিম্বল.. অথচ এই অশালীন ইমোজি বা স্টিকারগুলো ইচ্ছেমত ব্যবহার করতে দেখা যায়, যা অতি দুঃখজনক ও অশ্লীলতার প্রসারে সহযোগীতার নামান্তর..!!

★ ❄️☃️⛄🌨️🎄
খ্রিস্টানদের বড়দিন উৎসব সিম্বল..!!
★ 🙌👐
অমুসলিমদের প্রার্থনা সিম্বল..!!

★ 🕉️☸️✡️🔯✝️☮️☦️
কুফুরী শিরকী ধর্মসমূহের সিম্বল..!!
★ 🦊🐻🐷🐮🐨🐼🐰🐱🐶🐸🐺🐗🐵
কাজের ক্ষেত্রেও এসব সিম্বল ব্যবহার বৈধ নয়..!! কেননা এগুলোও স্পষ্ট প্রাণীর ছবি, এর প্রচার প্রসার বৈধ নয়..!!
আমরা অনেকসময় একজন মানুষ হয়ে নিজেকে কুকুর বানর শুকর ইত্যাদির মত পশু হিসেবে নিজেকে প্রকাশ করছি..
যেমনঃ 🙉🙈🙊😺😸🙀😿😾😽😼😻😹👀 🐸
নিজের মূল্য বুঝুন, মাথা এভাবেই হরণ করা হচ্ছে আমাদের.. আফসোস..!!

★ অনেক সময় কুকুর কুকুরকে ভালোবাসা দেখাচ্ছে,চুমু দিচ্ছে, লেহন করছে, একটি অপরটির শরীরের উপর রয়েছে ইত্যাদি ভঙ্গীর বিভিন্ন রকমের স্টিকার দেয়া হয়.. অথচ এটি কি আপনার মাথায় ধরে না যে এর মাধ্যমে নিজেকে কুকুর হিসেবে প্রকাশ করছেন, অপরকে কুকুর হিসেবে প্রকাশ করছেন, এমনকি কুকুরের মাঝের নিকৃষ্ট ভালোবাসাটাও সঙ্গীর জন্য দেখাচ্ছেন.. মাথা কি এতোটাই গেছে যে ভালো মন্দ যাচাইয়ের যোগ্যতাটুকুও হারিয়ে ফেললেন..?? দেখতেও তো কেমন অরুচিকর..!!

আমি জানিনা এই বিষটাতে আমি কতটুকু বুজাতে সক্ষম হয়েছি..আসলে একটা কাজ দৃষ্টিকটু বা মন্ধ মনে হলে তা কি পরিমান মন্ধ তা যাচাই করার চেয়ে বিরত থাকাই শ্রেয় যদি সেটা আল্লাহর জন্য হয়..!!

ইংশাআল্লাহ.. আমি আমার হায়াত পর্যন্ত আর কোনোদিন  আপত্তিকর, দৃষ্টিকটু বা গুনাহের কাজ হয় এমন কোনো স্টিকার -ইমোজি ব্যবহার করবো না..

ফেসবুকে আমার কোনো দ্বীনি ভাই-বোন যদি নিজের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে কমেন্টে এসে ইংশাআল্লাহ বলেন তাহলে হয়তো নিজেও গুনাহের কাজ থেকে বাঁচতে পরবেন আর আমার মনোবলটাও আরেকটু মজবুত হবে..!!

আল্লাহপাক আমাদের সঠিক বুঝ দান করুক
 আ-মীন..!!

Post a Comment

0 Comments