Recent Tube

বিতি কিচ্ছা-৫৩ ৷ নুর মুহাম্মদ চৌধূরী।

     
                    বিতি কিচ্ছা
               পর্ব-৫৩;

 সুজনের হাতে চাবি চাই...

         শহরে কিংবা গ্রামে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন না হলে বলা যায় দৃশ্যমান কোন উন্নয়নই হয়  নাই। আর সু-নাগরিক গড়ার নামে কুটি কুটি টাকা ব্যয় হলেও এবং তার সুফল সর্বত্র অনুভুত হতে থাকলেও আবাল জনগোষ্ঠীর কাছে ইহাকে কোন প্রকার উম্নয়ন বলে মনে করা হয় না। এই সময়ে পৃথিবীতে যে জিনিষটির সবচেয়ে বেশী অভাব তার নাম সু-নাগরিক তথা সুজন । আপন স্বার্থের বিপরীতে অবস্থান নিয়ে ভিন্ন কারো স্বার্থ সংরক্ষনে যত্নশীল হওয়া একজন সুজনের বৈশিষ্ট। কিন্তু এমন মানুষটি আজ কোথায়  পাওয়া যায়। 

         ব্যাক্তি স্বার্থ চর্চ্চায় আমরা আজ এতোটাই অন্ধ যে, আপন সংগ্রহে তামাম পৃথিবীটা সামলে নেয়ার চেষ্টায় আত্নাহুতি দিয়েও তার তৃপ্তি  হয়না, বরং আরেকটা পৃথিবী তার চাই-ই। 

         উন্নয়ন মুলক কর্মকাণ্ডের আড়ালে দুর্ণীতির সুযোগ লাভ নিকট অতীতে একদম স্বাভাবিক ঘটনা ছিল। কিন্তু হালে তা এমন লাগামহীন হয়ে উঠেছে যে, শতভাগ পুকুরচুরি করেও তৃপ্ত হচ্ছে না কেউ। ইদানিংকার গায়েবী মামলার ন্যায় পুরোদস্তুর গায়েবী প্রকল্প তৈরী করত তার পুরোটা হজম করে নিতে অগ্রসর আজ সৌভাগ্যবান রাজপুতেরা। এই অবস্থায় আপন সীমানায় বসে দাঁতে কামড় বসিয়ে আশার সমাধী রচনা করা ছাড়া গত্যন্তর আছে কি?

          ভাঙ্গা আর গড়ার নাম আজ উন্নয়ন। গড়ার উপর গড়া, এক ভাঙ্গো আর এক গড়ো, যেন কাজ খোজে হয়রান কাজপাগল কাজী। এসব কিন্তু নির্ভেজাল লুটপাটের মোক্ষম সুযোগ তৈরীর সুগভীর চক্রান্ত বাস্তবায়নের নিখুত পরিকল্পনা। এক সময় দেখা যায় উন্ময়নের এক পরত অন্য পরতের উপর বিছিয়ে দিতে দিতে স্তুপিকৃত উন্নয়ন  জনতার জন্য বোঝা হয়ে যায়। পরিকল্পিত নগরায়ন শব্দটির ব্যবহার হয় অহরহ। কিন্তু তার অপ-প্রয়োগের ফলে জনতার ভোগান্তি চরমে পৌছে। আর এই সব কিছুর একমাত্র কারন সুজনের হাতে সুযোগ নাই, নাই কলম, নাই ক্ষমতা। আমরা চাই, অন্তরের অন্তস্থল থেকে প্রতিটি মানুষ সৎ হয়ে উটুক। এর জন্য ব্যয় হোক ডলার, পাউণ্ড, টাকা। আর সৎ সুজনের হাতে অর্পিত হোক উন্নয়ন তথা সমাজ গড়ার চাবি।

Post a Comment

0 Comments