Recent Tube

জানুয়ারী টেনশন। ছেলে মেয়ে কোথায় ভর্তি করাবো ?

 
 জানুয়ারী টেনশন। ছেলে মেয়ে কোথায় ভর্তি করাবো ?

এবছর নাকি লটারীর মাধ্যমে নামি-দামি স্কুলে ছাত্রদের ভর্তি করা হবে! অভিভাবকদের চরম উৎকন্ঠা! মাদ্রাসার কি অবস্থা? তেমন টেনশন নাই, উদ্বেগ নাই। গরীব মিসকিনের ছেলে মেয়ে কোথাও পড়লেই হল! তাই না? 

আলীয়াতে দেবেন? আধা স্কুল ! সেখানে পড়ে না হবে আলেম, না হবে মাস্টার! আবার অর্ধেক পড়ে কলেজে ছুটবে! কওমীতে দেবেন? তারা তো সেকেলে, আনস্মার্ট, ইমাম, জানাযা আর যিয়ারতে তাদের দরকার মাত্র! এই নিয়ে কি জীবন চলে? এছাডা ছাত্রদের হোস্টেলে রাখা নিয়েও নানান গুঞ্জন!

মাদ্রাসা সম্পর্কে সাধারণ পাব্লিকের মোটামুটি এই ধারণা। এই ধারণার পিছনে বাস্তবতা যেমন আছে এরচেয়ে বড় বাস্তবতা হল গভীর সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্র। মাদ্রাসা সরাসরি বন্ধ করা হবেনা তবে সিস্টেম এভাবে তৈরী করা হয়েছে যেখানে পড়ে পুরাপুরি আলেম বা মাস্টার কোনটাই যেন না হয়! আর কওমীর অবস্থাও একই। নানান সমস্যা, প্রতিকূলতার কারণে অনেক ক্ষেত্রে নিজস্ব স্বকীয়তা বিসর্জন দিয়ে মাদ্রাসা চালাতে হয়! বিষয়টি ব্যাখ্যা সাপেক্ষ সেদিকে জাচ্ছিনা। দ্বিমত করবেন তাও জানি। 

.... বাস্তবতা যাইহোক, যতই সমালোচনা থাকুক অভিভাবক সচেতন হলে অবশ্য তার ছেলে মেয়েকে মাদ্রাসায় দিতেন। দোষ কওমী বা আলীয়ার নয় আসল দোষ সিস্টেমের। আপনার এলাকায় সবচেয়ে দামী স্কুলের কথা চিন্তা করেন। সেখানে ভর্তি, মাসিক ফি, অন্যান্য খরচ কত দেন? এর অর্ধেক খরচও যদি মাদ্রাসায় দিতেন তাহলে তাদের শিক্ষার মান সবচেয়ে ভাল হত! দেশের নামকরা স্কুলে দশম পর্যন্ত পড়ে কোন মাদ্রাসায় পঞ্চম শ্রেণীতেও ঠিকবে না। কিন্তু যারা ভাল মাদ্রাসায় পড়ে তারা অনায়সে প্রতিযোগীতা করে যেকোন স্কুলে ঠিকতে পারবে। এটা ভূয়া দাবী নয়, দাখিল আলীম পড়ে এখন প্রতিযোগিতা করে দেশের সেরা কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদ্রাসার ছাত্ররা জায়গা করে নিচ্ছে। শুধু তা নয় প্রতিযোগিতায় অন্যদের হারিয়ে মেধা তালিকায় স্থান করে নেয়ার নজীর অহরহ। দ্যাট ইস পয়েন্ট।

.... ভাল মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়ে পারিবারিক ভাবে টেইক কেয়ার করতে পারলে যেকোন স্কুল ছাত্রের চেয়ে এগিয়ে থাকবে তা চ্যালেঞ্জ করে বলা যায়। দেখুন ভাই, স্কুলে দিলেই আপনার ছেলে ডাক্তার, ইঞ্জিয়ার, ব্যারিস্টার হয়ে যাবে তা নয়। এসব নির্ভর করে মেধার উপর! মেধা থাকলে যেখানেই দেন যথাযথ পরিচর্চা করলে ভবিষ্যতের স্বপ্ন গড়ে নিবে। আর মেধা না থাকলে কোথায় পড়ে তা কোন কাজে আসবে না। তাই বুদ্বির কাজ হল অন্তত দাখিল বা কওমীতে আট /দশ বছর পর্যন্ত পড়ানোর পরামর্শ। এরপর অন্যদিকেও নিতে পারবেন অথবা কামিল কিংবা দাওরায়ে হাদীস পর্যন্তও পড়াতে পারেন। শিক্ষার মূল ফাউণ্ডেশন গড়তে মিনিমাম প্রাথমিক পর্যন্ত হলেও মাদ্রাসায় পডানো উচিৎ। 

👉 রিযিক আল্লাহর পক্ষ থেকে আসে, তাকদীর আগেই লেখা অন্তত এইটুকু আক্বীদা বিশ্বাস তো আছে। তাহলে ছেলে মেয়ে মাদ্রায় দিলে ভাতে মরবে এই চিন্তা না করে আল্লাহর উপর ভরসা করে মাদ্রাসায় দিতে পারেন। আশাকরি ভাল ফলাফল পাবেন ইনশাআল্লাহ

Post a Comment

0 Comments