Recent Tube

থার্টি ফার্স্ট নাইট / ইংরেজি নববর্ষ পালন প্রসঙ্গে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গী ও আমাদের করণীয় ; শামীম আজাদ।

 থার্টি ফার্স্ট নাইট / ইংরেজি নববর্ষ পালন প্রসঙ্গে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গী ও মাদের করণীয় ;
 =============================

থার্টি ফার্স্ট নাট ও ১লা জানুয়ারী পালনের উৎপত্তি ও ইতিহাস:

    ইতিহাসের তথ্য অনুযায়ী খ্রিস্টপূর্ব ৪৬ সালে জুলিয়াস সিজার সর্বপ্রথম ইংরেজি নববর্ষ উৎসবের প্রচলন করে। ১লা জানুয়ারি পালনের ইতিহাস ইসলামের সাথে সম্পৃক্ত নয়। পহেলা জানুয়ারি পাকাপোক্তভাবে নববর্ষের দিন হিসেবে নির্দিষ্ট হয় ১৫৮২ সালে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার প্রবর্তনের পর। ধীরে ধীরে শুধু ইউরোপে নয় সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার (খৃস্টানদের তথাকথিত ধর্মযাজক পোপ গ্রেগরীর নামানুসারে যে ক্যালেন্ডার) অনুযায়ী নববর্ষ পালন করা হচ্ছে। ইরানে নববর্ষ বা নওরোজ শুরু হয় পুরনো বছরের শেষ বুধবার এবং উৎসব চলতে থাকে নতুন বছরের ১৩ তারিখ পর্যন্ত।
সাধারণভাবে প্রাচীন পারস্যের পরাক্রমশালী সম্রাট জমশীদ খ্রিস্টপূর্ব ৮০০ সালে এই নওরোজের প্রবর্তন করেছিল এবং এ ধারাবাহিকতা এখনো পারস্য তথা ইরানে নওরোজ ঐতিহ্যগত নববর্ষের জাতীয় উৎসব পালিত হয়। পারস্য/ ইরান হতেই ইহা একটি সাধারণ সংস্কৃতির ধারা বহিয়া মধ্য প্রাচ্যের বিভিন্ন মুসলিম দেশ এবং ভারত উপমহাদেশে প্রবেশ করে। মেসোপটেমিয়ায় এই নববর্ষ বা আকিতু শুরু হতো নতুন চাঁদের সঙ্গে। ব্যাবিলনিয়ায় নববর্ষ শুরু হতো মহাবিষুবের দিনে ২০ মার্চ। অ্যাসিরিয়ায় শুরু হতো জলবিষূবের দিনে ২১ সেপ্টেম্বর। মিসর, ফিনিসিয়া ও পারসিকদের নতুন বছর শুরু হতো ২১ সেপ্টেম্বর। গ্রীকদের নববর্ষ শুরু হতো খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতাব্দী পর্যন্ত ২১ ডিসেম্বর। রোমান প্রজাতন্ত্রের পঞ্জিকা অনুযায়ী নববর্ষ শুরু হতো ১ মার্চ এবং খ্রিস্টপূর্ব ১৫৩-এর পরে ১ জানুয়ারিতে। ইহুদীদের নববর্ষ বা রোশ হাসানা শুরু হয় তিসরি মাসের প্রথম দিন গোঁড়া ইহুদীদের মতে সেই মাসের দ্বিতীয় দিন। মোটামুটিভাবে তিসরি মাস হচ্ছে ৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ অক্টোবর। মধ্যযুগে ইউরোপের বেশিরভাগ দেশে নববর্ষ শুরু হতো ২৫ মার্চ, তারা ধারণা করতো, এদিন দেবদূত গ্যাব্রিয়েল যিশুমাতা মেরির কাছে যিশু খ্রিস্টের জন্মবার্তা জ্ঞাপন করে। অ্যাংলো-স্যাকসন ইংল্যান্ডে নববর্ষের দিন ছিল ২৫ ডিসেম্বর। পহেলা জানুয়ারি পাকাপোক্তভাবে নববর্ষের দিন হিসেবে নির্দিষ্ট হয় ১৫৮২ সালে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার প্রবর্তনের পর। ধীরে ধীরে শুধু ইউরোপে নয় সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী নববর্ষ পালন করা হচ্ছে।
বাদশাহ আকবরের ফরমান অনুযায়ী আমীর ফতেহ উল্লাহ্‌ শিরাজী উদ্ভাবিত বাংলা ফসলি সাল চালু হয় ১০ মার্চ ১৫৬৩ সালে। ইংরেজ আমলে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসরণ করা হলেও রাজস্ব আদায়ে ও অভ্যন্তরীণ ব্যবসা-বাণিজ্যে বাংলা সাল তথা ফসলী সন বেশি ব্যবহার করা হতো।

পরবর্তীতে ১৫৮২ সালে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার প্রবর্তনের পর পহেলা জানুয়ারিতে নববর্ষের দিন হিসেবে নির্দিষ্ট করা হয়। বাংলাদেশে থাটি ফার্স্ট নাইটের ব্যাপক প্রচলন ঘটে ২০০০ সালের ৩১ শে ডিসেম্বর মধ্যরাতের মিলেনিয়াম বা সহস্রাব্দ পালনের মধ্য দিয়ে। (সূত্র ইন্টারনেট)

নওরোজ বা নববর্ষ পালনের উৎসঃ

পারস্যের অগ্নি উপাসক তথা মজুসীদের থেকে : “ঐতিহ্যমতে প্রাচীন পারস্যের পরাক্রমশালী সম্রাট জমশীদ খৃষ্টপূর্ব ৮০০ সালে এই নওরোজের প্রবর্তন করেছিলো। সেই হতে যুগে যুগে উদযাপিত হইয়া ইহা জাতীয় আনন্দময় নববর্ষ দিবসে পরিণত হইয়াছে। এবং এ ধারাবাহিকতা এখনো পারস্য তথা ইরানে নওরোজ ঐতিহ্যগত নববর্ষের জাতীয় উংসব। ইরান হতেই ইহা একটি সাধারণ সংস্কৃতির ধারা বহিয়া মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন মুসলিম দেশ এবং ভারত উপমহাদেশে প্রবেশ করে। পারসিক কালচারে সমৃদ্ধ কাট্টা শিয়া রাষ্ট্র ইরানে এখনো ইহা জাতীয় দিবস এবং দেশের সকল অধিবাসীর মহা আনন্দ উৎসবের সঙ্গে উদযাপন করিয়া থাকে, ২২-২৪ মার্চ সেখানে ঈদ-ই নওরোজের রাষ্ট্রীয় ছুটির দিন।” (দলীল- ইসলামী বিশ্বকোষ ১৩ তম খন্ড ৬০৯ পৃষ্ঠা। প্রকাশনা- ইসলামী ফাউন্ডেশন।)

নওরোজ হচ্ছে ধর্মনিরপেক্ষবাদীদের উৎসব : “পারস্যের সুপ্রাচীন কাল হতে বর্তমান সময় পর্যন্ত ইহা ধর্মনিরপেক্ষ উৎসব হিসেবে চিরদিন বিরাট আনন্দ উৎসবের সঙ্গে পালিত হইয়া আসিতেছে।”(দলীল-  ইসলামী বিশ্বকোষ ১৩ তম খন্ড ৬০৯ পৃষ্ঠা। প্রকাশনা- ইসলামী ফাউন্ডেশন)
বাদশাহ হুমায়ূনের আমলে শিয়াদের প্রধান্যের কারনে তাদের দ্বারাই ভারতে তথা বাংলাদেশে নওরোজ বা নববর্ষ পালনের সূচনা হয় : “মুঘল সম্রাট হুমায়ুন পারস্য সম্রাট ২য় শাহ তাহমাসপ এর সৈন্যের সহায়তায় দ্বিতীয়বার পিতার সিং হাসন অধিকার করিলেও (১৫৫৬ খৃ) তখন হতে উপমহাদেশের ব্যাপকভাবে ইরানী শিয়াগণের আগমন ঘটিতে থাকে এবং রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক রীতিনীতিতে ইরানী (শিয়া) প্রভাব ক্রমেই বৃদ্ধি পাইতে থাকে। নওরোজ উৎসব এই সময় হতেই সাম্রাজ্যের সর্বত্র উদযাপিত হতে হতে থাকে। আগ্রা ও দিল্লীতে এই দিনে বিরাট রাষ্ট্রীয় ভোজ এবং সর্বসাধারনের মেলা, ক্রীড়া, রাত্রে বাতি জ্বালানো উৎসব হইতো কিন্তু বিশেষ উৎসবটি হত রাজপ্রাসাদ এলাকাতে বিশিষ্ট ব্যক্তিগনের সমাবেশ। (দলীল- ইসলামী বিশ্বকোষ ১৩ তম খন্ড ৬০৯ পৃষ্ঠা)
নববর্ষ পালন দ্বীন- ই- ইলাহীর প্রবর্তক আকবরের আরেক প্রচলন : “সুলতানী আমলে এই দেশের সমাজ জীবন প্রচলিত উৎসব অনুষ্ঠানের মধ্যে নববর্ষ বা নওরোজের কোন উল্লেখ নাই। বস্তুত নববর্ষ বা নওরোজ উৎসব এবং তা সম্রাট আকবরের আমলে নতুন সন আকবরী সন বা ফসলী সন প্রবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে আসিয়াছে।
সম্রাটের ফরমানে প্রত্যেক সনের রাষ্ট্রীয় ছুটির দিনগুলো উল্লেখিত ছিলো, সকলের আগে “নওরোজের কয়েকদিন”এবং নির্দেশ ছিলো যে, প্রত্যেক শহরে ও গ্রামে গ্রামে সেই উপলক্ষে যেন ভোজ ও উৎসব করা হয়।” (দলীল- ইসলামী বিশ্বকোষ)
পূর্বে ভারতবর্ষে নওরোজের প্রচলন ছিলো না : এ উপমহাদেশে বিভিন্ন ইরানী রীতিনীতি প্রচলিত হতে থাকলেও প্রাক মুঘল যুগে কোথাও নওরোজ পালিত হয়েছিলো বলে জানা যায় না।” (দলীল-ইসলামী বিশ্বকোষ ১৩/৬০৯)
মুসলমানদের সাংস্কৃতিতে নওরোজ কখনোই গৃহীত হয় নাই : “ফার্সী নববর্ষের দিন, আরবী গ্রন্থসমূহে প্রায় নওরোজরূপে উল্লেখিত ( কালকাশান্দী, সুবহুল আশা, ২য় খন্ড ৪০৮ পৃষ্ঠা)। পারস্যের সৌরসালের ইহা ছিলো প্রথম দিন এবং মুসলিম চন্দ্র সহ হিজরীতে ইহা গৃহীত হয় নাই।” (দলীল- ইসলামী বিশ্বকোষ ১৩ তম খন্ড ৬০৯ পৃষ্ঠা)
উপরোক্ত ঐতিহাসিক পর্যালোচনা থেকে জানা গেলো নওরোজ বা নববর্ষ উৎসব পালন মূলত পারসিক অগ্নি উপাসকদের দ্বারা, এবং পরবর্তীতে এর বিস্তার হয় ইরানের শিয়াদের মাধ্যমে। তারপর দ্বীনে ইলাহী প্রবর্তক কাফের বাদশা আকবর এটা রাষ্ট্রীয় ভাবে পালনের ফরমান জারি করে। এদিন উৎসবের নামে তাদের বিভিন্ন অসামাজিক কার্যক্রম, মদ পান, জুয়া ইত্যাদি অনৈসলামিক কার্যকলাপ হয়ে থাকতো। শুধু তাই নয় এটা ছিলো ধর্মনিরপেক্ষ একটি অনুষ্ঠান, যা ইসলামে সম্পূর্ণ নাজায়িয।

লক্ষ লক্ষ আলেম ওলামা এই উপমহাদেশে আগমন করেছেন কখনো কারো দ্বারা এই আমল করতে দেখা যায় নাই। এবং ১৫শ বছর মুসলিম ইতিহাসে নববর্ষ পালনের কোন প্রমানও নেই। তাই এটা সুস্পষ্ট বিদয়াত এবং বিধর্মীদের রীতি অনুসরন হওয়াতে নাজায়িয হারাম।
বর্ষবরণের সাথে ধর্মীয় বিশ্বাস অনুভূতি যোগটা সে শুরু থেকেই ছিলো বা বর্ষবরণকারীরা ধর্মীয় বিশ্বাসের আলোকেই তা করতো। অথবা বর্ষবরণকে তাদের বিশেষ ধর্মীয় আচার বলে বিশ্বাস করতো। মজুসী বা অগ্নি উপাসকরা এখনো বর্ষবরণকে সরকারিভাবেও ব্যাপক জাঁকজমকভাবে পালন করে থাকে। একে তারা তাদের ধর্মীয় অনুষঙ্গ মনে করে এবং একে নওরোজ বা নতুন দিন বলে অভিহিত করে।

আর নওরোজ বা বছরের প্রথম দিন পালন যে ইসলামে নিষিদ্ধ তার স্পষ্ট দলীল এবং মুসলিম ও অমুসলিমদের উৎসবের পার্থক্য
 
হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন:
«قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِينَةَ وَلَهُمْ يَوْمَانِ يَلْعَبُونَ فِيهِمَا، فَقَالَ: ” مَا هَذَانِ الْيَوْمَانِ؟ ” قَالُوا: كُنَّا نَلْعَبُ فِيهِمَا فِي الْجَاهِلِيَّةِ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” إِنَّ اللَّهَ قَدْ أَبْدَلَكُمْ بِهِمَا خَيْرًا مِنْهُمَا: يَوْمَ الْأَضْحَى، وَيَوْمَ الْفِطْرِ»
“হযরত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদিনায় আগমন করলেন, তখন তাদের দু’টি দিন ছিল, যেখানে তারা খেলা-ধুলা করত। তিনি বললেন: এ দু’টি দিন কি? তারা বলল: আমরা এতে জাহিলি যুগে খেলা-ধুলা করতাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা তার পরিবর্তে তার চেয়ে উত্তম দু’টি দিন দিয়েছেন: ঈদুল আযহা ও ঈদুল ফিতর” (আবু দাউদ শরীফ ১১৩৪, আহমদ: ১৩২১০, হাকেম: ১১২৪)
ঐ দু’টি দিন ছিল ‘নওরোজ’ বা নববর্ষ। অর্থাৎ সৌরবর্ষের প্রথম দিন এবং ‘মেহেরজান’ বছরে এইদিন রাত্রি-দিন সমান হয়।
যেটা হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে, আব্দুল্লাহ ইব্‌ন আমর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: 
مَنْ تَنَافَى أَرْضَ الأَعَاجِمِ فَصَنَعَ نَيْرُوزَهُمْ وَمَهْرِجَانِهِمْ حُشِرَ مَعَهُمْ
যে অনারব দেশ বিচরণ করে, অতঃপর তাদের নওরোজ ও মেহেরজান উৎযান করে, তাদের সাথে তাকে উঠানো হবে” (সুনানে বায়হাকী ২য় খণ্ড, ৩২৫ পৃষ্ঠা) 

নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হিজরতের পর মদীনা শরীফ গিয়ে ঐ এলাকাবাসীর দুটি উৎসব বন্ধ করেছিলেন। একটি হচ্ছে, বছরের প্রথম দিন উদযাপন বা নওরোজ; অন্যটির নাম ছিলো ‘মিহিরজান’। এ উৎসবের দুটির বিপরীতে চালু হয় মুসলমানদের দুই ঈদ।  

থার্টি ফার্স্ট নাইট পালন করা/বিধর্মীদের রীতিনীতি অনুসরন করা সর্ম্পকে শরীয়তের ফয়সালা: 

وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم -: «مَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ، فَهُوَ مِنْهُمْ» أَخْرَجَهُ أَبُو دَاوُدَ، وَصَحَّحَهُ ابْنُ حِبَّانَ

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: যে ব্যাক্তি কোন সম্প্রদায়ের অনুকরণ করবে সে এ সম্প্রদায়ের বলেই গণ্য হবে।  
আবূ দাঊদ ৪০৩১

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، قَالَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ ـ رضى الله عنه جَاءَ رَجُلٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ تَقُولُ فِي رَجُلٍ أَحَبَّ قَوْمًا وَلَمْ يَلْحَقْ بِهِمْ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ الْمَرْءُ مَعَ مَنْ أَحَبَّ ‏"‏‏.‏ تَابَعَهُ جَرِيرُ بْنُ حَازِمٍ وَسُلَيْمَانُ بْنُ قَرْمٍ وَأَبُو عَوَانَةَ عَنِ الأَعْمَشِ عَنْ أَبِي وَائِلٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم‏

আব্দুল্লাহ ইবনু মাস’উদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

আব্দুল্লাহ ইবনু মাস’উদ (রাঃ) বলেছেনঃ এক ব্যক্তি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট এসে জিজ্ঞেস করলঃ হে আল্লাহ্‌র রসূল! এমন ব্যক্তির ব্যাপারে আপনি কী বলেন, যে ব্যক্তি কোন সম্প্রদায়কে ভালবাসে, কিন্তু (‘আমালের ক্ষেত্রে) তাদের সমান হতে পারেনি? তিনি বললেনঃ মানুষ যাকে ভালবাসে সে তারই সাথী হবে। [৬১৬৮; মুসলিম ৪৫/৫০/, হাঃ ২৬৪০, আহমাদ ১৮১১৩] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭২৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬২৫)
সহিহ বুখারীঃ ৬১৬৯

عَنْ أَبيْ هُرَيْرَةَ   أَنَّ رَسُولَ الله   صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم  قَالَ  بَادِرُوا بِالأعْمَال فتناً كَقِطَعِ اللَّيْلِ المُظْلِمِ يُصْبحُ الرَّجُلُ مُؤْمِناً وَيُمْسِي كَافِراً وَيُمْسِي مُؤمِناً ويُصبحُ كَافِراً يَبيعُ دِينَهُ بعَرَضٍ مِنَ الدُّنيا  رواه مسلم

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন তোমরা অন্ধকার রাতের টুকরো সমূহের মত (যা একটার পর একটা আসতে থাকে এমন) ফিতনাসমূহ আসার পূর্বে নেকীর কাজ দ্রুত করে ফেল। মানুষ সে সময়ে সকালে মু’মিন থাকবে এবং সন্ধ্যায় কাফের হয়ে যাবে অথবা সন্ধ্যায় মু’মিন থাকবে এবং সকালে কাফের হয়ে যাবে। নিজের দ্বীনকে দুনিয়ার সম্পদের বিনিময়ে বিক্রয় করবে। 
মুসলিম ১১৮, তিরমিযী ২১৯৫, আহমাদ ৭৯৭০, ৮৬৩১, ৮৮২৯, রিয়াদুস সালেহিনঃ ৮৮

حَدَّثَنِي سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ مَيْسَرَةَ، حَدَّثَنِي زَيْدُ بْنُ أَسْلَمَ، عَنْ عَطَاءِ، بْنِ يَسَارٍ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ لَتَتَّبِعُنَّ سَنَنَ الَّذِينَ مِنْ قَبْلِكُمْ شِبْرًا بِشِبْرٍ وَذِرَاعًا بِذِرَاعٍ حَتَّى لَوْ دَخَلُوا فِي جُحْرِ ضَبٍّ لاَتَّبَعْتُمُوهُمْ ‏"‏ ‏.‏ قُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ آلْيَهُودَ وَالنَّصَارَى قَالَ ‏"‏ فَمَنْ ‏"‏ ‏.‏

আবূ সাঈদ আল খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা তোমাদের আগের লোকের নীতি-আদর্শ পুরোপুরিভাবে অনুকরণ করবে, এক বিঘত এক বিঘতের সঙ্গে ও হাত হাতের সঙ্গে, এমনকি তারা যদি গোসর্পের গর্তে ঢুকে থাকে তবুও তোমরা তাদের অনুকরণ করবে। আমরা আবেদন করলাম, হে আল্লাহ্‌র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! তারা কি ইয়াহূদী ও নাসারা? তিনি বলেন, তবে আর কারা? (ই.ফা. ৬৫৩৯, ই. সে. ৬৫৯১)
মুসলিমঃ ৬৬৭৪

ইবনে মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

এক ব্যক্তি রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকটে এসে জিজ্ঞাসা করল, “হে আল্লাহর নবী! সেই ব্যক্তি সম্পর্কে আপনার অভিমত কী, যে ব্যক্তি কোন এক সম্প্রদায়কে ভালবাসে অথচ সে তাদের মত আমল করতে পারে না?” উত্তরে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, “যে যাকে ভালবাসে সে তার সঙ্গী হবে।” (বুখারী ৬১৬৯-৬১৭০, মুসলিম ৬৮৮৮নং) অর্থাৎ, জান্নাতে সে তার সঙ্গী হবে। (উমদাতুল ক্বারী ২২/১৯৭)

মহান আল্লাহ ঘোষণা করেন

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ لاَ تَتَّخِذُواْ الْيَهُودَ وَالنَّصَارَى أَوْلِيَاء بَعْضُهُمْ أَوْلِيَاء بَعْضٍ وَمَن يَتَوَلَّهُم مِّنكُمْ فَإِنَّهُ مِنْهُمْ إِنَّ اللّهَ لاَ يَهْدِي الْقَوْمَ الظَّالِمِينَ

মুমিনগণ! ইয়াহুদী ও খ্রিস্টানদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না। তারা নিজেরাই একে অপরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি তাদেরকে বন্ধু বানাবে, সে তাদেরই মধ্যে গণ্য হবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তা’আলা যালেমদের হেদায়াত দেননা। 
সূরা মায়েদা: ৫১

وَأَنْزَلْنَا إِلَيْكَ الْكِتَابَ بِالْحَقِّ مُصَدِّقًا لِمَا بَيْنَ يَدَيْهِ مِنَ الْكِتَابِ وَمُهَيْمِنًا عَلَيْهِ ۖ فَاحْكُمْ بَيْنَهُمْ بِمَا أَنْزَلَ اللَّهُ ۖ وَلَا تَتَّبِعْ أَهْوَاءَهُمْ عَمَّا جَاءَكَ مِنَ الْحَقِّ ۚ لِكُلٍّ جَعَلْنَا مِنْكُمْ شِرْعَةً وَمِنْهَاجًا ۚ وَلَوْ شَاءَ اللَّهُ لَجَعَلَكُمْ أُمَّةً وَاحِدَةً وَلَٰكِنْ لِيَبْلُوَكُمْ فِي مَا آتَاكُمْ ۖ فَاسْتَبِقُوا الْخَيْرَاتِ ۚ إِلَى اللَّهِ مَرْجِعُكُمْ جَمِيعًا فَيُنَبِّئُكُمْ بِمَا كُنْتُمْ فِيهِ تَخْتَلِفُونَ
আর আমি তোমার প্রতি কিতাব নাযিল করেছি যথাযথভাবে, এর পূর্বের কিতাবের সত্যায়নকারী ও এর উপর তদারককারীরূপে। সুতরাং আল্লাহ যা নাযিল করেছেন, তুমি তার মাধ্যমে ফয়সালা কর এবং তোমার নিকট যে সত্য এসেছে, তা ত্যাগ করে তাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ করো না। তোমাদের প্রত্যেকের জন্য আমি নির্ধারণ করেছি শরীআত ও স্পষ্ট পন্থা এবং আল্লাহ যদি চাইতেন, তবে তোমাদেরকে এক উম্মত বানাতেন। কিন্তু তিনি তোমাদেরকে যা দিয়েছেন, তাতে তোমাদেরকে পরীক্ষা করতে চান। সুতরাং তোমরা ভাল কাজে প্রতিযোগিতা কর। আল্লাহরই দিকে তোমাদের সবার প্রত্যাবর্তনস্থল। অতঃপর তিনি তোমাদেরকে অবহিত করবেন, যা নিয়ে তোমরা মতবিরোধ করতে। 
সূরা আল-মায়িদাহঃ ৪৮

উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে ‘থার্টি ফাস্ট নাইট’ পালন করা নিঃসন্দেহে হারাম। 

তাই, একজন মুসলিম খৃস্টান পাদ্রী পোপ গ্রেগরিয়ান- এর নামানুসারে যে ক্যালেন্ডার, সেই ক্যালেন্ডারের পরবর্তী চলন ইংরেজি ১ জানুয়ারিকে নববর্ষ হিসেবে পালন করলে তার ঈমান কখনও থাকতে পারে না।

বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী থার্টি ফার্স্ট নাইট ও ১লা জানুয়ারি (নববর্ষ) পালনের অবৈধতাঃ

সংবিধানের ৩ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রভাষা বাংলা। সে প্রেক্ষিতে দেশে ইংরেজি ভাষাসহ বিভিন্ন উপজাতীয় ভাষার ঊর্ধ্বে যেমন রাষ্ট্রভাষা বাংলার মর্যাদা ও প্রাধান্য তেমনি সংবিধানের ২ নম্বর ধারায় বর্ণিত রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের কথা স্বীকারের প্রেক্ষিতে অন্যান্য ধর্ম ও ধর্মাবলম্বীর উপরে ইসলাম ও মুসলমানের মর্যাদা ও প্রাধান্য স্বীকৃত হওয়া আবশ্যক এবং ইসলাম ও মুসলমানদের প্রতি সরকারি পৃষ্ঠপোষকতাও অনেক বেশি হওয়া কর্তব্য। যা মূলত প্রচলিত সংবিধানেরই ব্যাখ্যা।

মূলকথা হলো- সংবিধানের ২ নম্বর ধারায় বর্ণিত রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম-এর স্বীকারের প্রেক্ষিতে বিজাতীয় সংস্কৃতী থার্টি ফাস্ট নাইটসহ কোন ইসলাম বিরোধী কাজ গ্রহণযোগ্য হতে পারেনা। ৯৮ ভাগ মুসলমানের দেশের সরকারের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- সরকারীভাবে থার্টি ফাস্ট নাইটসহ সকল ইসলাম বিরোধী কাজ বন্ধ করে দেয়া এবং সরকারীভাবে থার্টি ফাস্ট নাইটসহ সকল ইসলাম বিরোধী কাজ থেকে মুসলমানদের বিরত রাখা অর্থাৎ মুসলমানদেরকে ইসলাম পালনে বা ইসলামের উপর ইস্তিক্বামত থাকার ব্যাপারে সর্বোতভাবে সহযোগিতা করা।

বর্তমান বাংলাদেশের হালচাল

বাংলাদেশের মত একটি বৃহত্তম মুসলিম রাষ্ট্রে এ রাতে জায়গায় জায়গায়, বিভিন্ন স্পটে উচ্ছৃংখল যুবক-যুবতীদের বেহায়াপনায় বাঁধা সৃষ্টি করতে পুলিশ-র‌্যাব নিযুক্ত করতে হয়। পত্রিকার ভাষ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের প্রায় সব অভিজাত হোটেল যথা, ওয়েস্টিন, রূপসী বাংলা, প্যান-প্যাসিফিক সোনারগাঁও, আগ্রাবাদে থার্টি ফাস্ট নাইট উদযাপনের জন্য টিকেট বিক্রি করা হয়। টিকেটের মূল্য ত্রিশ হাজারের উর্ধ্বে। এই দেশে অনেক নামধারী মুসলমান আছেন, যারা একটি রাতকে উদযাপনের জন্য হাজার-হাজার ব্যয় করে হোটেল শেরাটনে রাত কাটাবেন, মদপান করে নাচ-গান করবেন, অন্যায় ও পাপ কাজে লিপ্ত হবেন। মহৎ(?) কাজ, নতুন দিন ও নতুন বর্ষকে স্বাগতম জানাবেন। হায়রে আফসোস! তাই বিজাতীয় প্রথা অনুসরন করতে ইসলামে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কারন যে বিজাতীয় প্রথা অনুসরন করবে সে ব্যক্তি ঐ জাতিতে পরিণত হবে। এ প্রসঙ্গে রাসূল (সা:) এর একটি হাদীস উল্লেখ করা যায়। যেমন: রাসূল (সা:) বলেছেন,
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو النَّضْرِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ ثَابِتٍ، حَدَّثَنَا حَسَّانُ بْنُ عَطِيَّةَ، عَنْ أَبِي مُنِيبٍ الْجُرَشِيِّ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” مَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ
“যে ব্যক্তি যে কওম (গোষ্ঠী/জাতি) এর সাদৃশ্যতা অবলম্বন করবে, সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত হবে।” 
আবু দাউদঃ ৪০৩১

আমাদের করণীয় 

সুতরাং ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে ইংরেজি নববর্ষ সংক্রান্ত যাবতীয় অনুষ্ঠান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কারণ এতে নিম্নলিখিত শ্রেণীর ইসলাম বিরোধী বিষয় রয়েছে।
(এক) শিরকপূর্ণ অনুষ্ঠানাদি, চিন্তাধারা ও সংগীত। 
(দুই) নগ্নতা, অশ্লীলতা, ব্যভিচারপূর্ণ অনুষ্ঠান। 
(তিন) গান ও বাদ্যপূর্ণ অনুষ্ঠান। 
(চার) সময় অপচয়কারী অনর্থক বাজে কথা ও কাজ। এ অবস্থায় প্রতিটি মুসলিমের দায়িত্ব হচ্ছে নিজে এগুলো থেকে সম্পূর্ণরূপে দূরে থাকা এবং বাঙালি মুসলিম সমাজ থেকে এই প্রথা উচ্ছেদের সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো নিজ নিজ সাধ্য ও অবস্থান অনুযায়ী। এ প্রসঙ্গে আমাদের করণীয় সম্পর্কে কিছু দিকনির্দেশনা দেয়া যেতে পারে।

(এক) এ বিষয়ে দেশের শাসকগোষ্ঠীর দায়িত্ব হবে আইন প্রয়োগের দ্বারা নববর্ষের যাবতীয় অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ ঘোষণা করা।
(দুই) যেসব ব্যক্তি নিজ নিজ ক্ষেত্রে কিছুটা ক্ষমতার অধিকারী, তাদের কর্তব্য হবে অধীনস্থদেরকে এ কাজ থেকে বিরত রাখা।
(তিন) মসজিদের ইমামগণ এ বিষয়ে মুসল্লীদেরকে সচেতন করবেন ও বিরত থাকার উপদেশ দেবেন।
(চার) পরিবারের প্রধান এ বিষয়টি নিশ্চিত করবেন যে তার পুত্র, কন্যা, স্ত্রী কিংবা অধীনস্থ অন্য কেউ যেন নববর্ষের কোন অনুষ্ঠানে যোগ না দেয়।
(পাঁচ) এছাড়া ব্যক্তিগতভাবে প্রত্যেকে তার বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়-স্বজন, সহপাঠী, সহকর্মী ও পরিবারের মানুষকে উপদেশ দেবেন এবং নববর্ষ পালনের সাথে কোনভাবে সম্পৃক্ত হওয়া থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করবেন। কারন আল্লাহ আমাদের প্রতি জুলুম করতে চান না।

চরিত্র ধ্বংসে বিধর্মীদের নীলনকশা
মুসলিম তরুণ-তরুণীদের চরিত্র ধ্বংস করার জন্য ইহুদী-খ্রিস্টানদের নীলনকশার একটি অংশ থার্টি ফাস্ট নাইট। আর একটি জাতিকে ধ্বংস করার মূলহাতিয়ার হচ্ছে যুব সমাজকে ধ্বংস করা। এ লক্ষ নিয়েই তারা সামনে অগ্রসর হচ্ছে। তাই আল্লাহ আমাদেরকে তাদের অনুস্বরণ করতে নিষেধ করেছেন। 
সূরা বাকারাঃ ১২০ ও সূরা আনআমঃ ১৫

পরিশেষে বলবো, বর্ষবরণ অনুষ্ঠান ইসলামী শরিয়তের সাথে সাংঘর্ষিক। অথচ মুমিন জীবন ইলাহী জীবন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। অতএব সকল মুসলিম ভাইবোনদের ইসলামী সংস্কৃতি চর্চার ও অনৈসলামী বা পশ্চিমা সংস্কৃতি পরিহার করে ঈমান রক্ষা করার এবং অমুসলিমদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণের এই নিকৃষ্ট সংস্কৃতিকে চিরদিনের জন্য বাংলাদেশ থেকে বিলীন করতে আমরা সচেষ্ট হই।  
আল্লাহ আমাদের সবাইকে তাঁর আনুগত্যের ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকার তাওফীক দান করুন এবং কল্যাণ ও শান্তি বর্ষিত হোক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ওপর, তাঁর পরিবার ও সাহাবীগণের ওপর।

“তোমরা তোমাদের নিজেদেরকে ও পরিবার-পরিজনকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করো।” 
সূরা আত-তাহরীমঃ ৬

Post a Comment

0 Comments