Recent Tube

সাধারণ তাকবীর এবং বিশেষ তাকবীর কি, কখন এবং কি ভাবে তা পাঠ করতে হবে?





সাধারণ তাকবীর এবং  বিশেষ তাকবীর কি, কখন এবং কি ভাবে তা পাঠ করতে হবে?


 ♦ সাধারণ তাকবীর পাঠ:  জিল হজ্জের প্রথম দিনে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের মহত্ত্ব ঘোষণার উদ্দেশ্যে তাকবীর পাঠ করা সুন্নত। এ তাকবীর প্রকাশ্যে ও উচ্চস্বরে মসজিদ, ঘর-বাড়ি, রাস্তা-ঘাট, বাজারসহ সর্বত্র উচ্চ আওয়াজে পাঠ করা যাবে। সলাতের আগে কিংবা পরে, সকাল-সন্ধ্যা, দিন রাত যে কোন সময় পড়া ভালো।  তবে মেয়েরা নিম্ন স্বরে তাকবীর পাঠ করবে। 

 ♦ তাকবীর হল: বিন বায র. বলেন নিচের তাকবীর গুলো সহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত! 
اَللهُ أَكْبَرُ، اَللهُ أَكْبَرُ، لَاإِلَهَ إِلاَّ اللهُ، وَاللهُ أَكْبَرُ، اللهُ أَكْبَرُ وَلِلهِ الحَمْدُ
الله أكبر الله أكبر لا إله إلا الله، الله أكبر الله أكبر ولله الحمد
الله أكبر كبيرًا، والحمد لله كثيرا، وسبحان الله بكرة وأصيلا

   আব্দুল্লাহ ইবন উমার  ও আবূ হুরায়রা রাদয়িাল্লাহু ‘আনহুমা যিল হজ্জ মাসের প্রথম দশকে বাজারে যেতেন ও তাকবীর পাঠ করতেন, লোকজনও তাদের অনুসরণ করে তাকবীর পাঠ করতেন।  অর্থ্যাৎ আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এই দুই প্রিয় সাহাবী লোকজনকে তাকবীর পাঠের কথা স্মরণ করিয়ে দিতেন।   
▪️ ইমাম বুখারী রহ. বলেছেন: ইবন উমার ও আবূ হুরায়রা রাদয়িাল্লাহু আনহুমা এ দশদিন তাকবীর বলতে বলতে বাজারের জন্য বের হতেন, মানুষেরাও তাদের দেখে দেখে তাকবীর বলত। 

 ♦ তাকবীর পড়তে পড়তে ঈদগাহে গমন:  ঈদের রাত থেকে ঈদগাহে পৌঁছা পর্যন্ত হালকা উচ্চ আওয়াজে তাকবীর পাঠ করা সুন্নত: আব্দুল্লাহ বিন উমর (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) এক বর্ণনায় বলেন: “তাকবীর (আল্লাহু আকবার) ও তাহলীল (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্) উচ্চ আওয়াজে পাঠ করতে করতে রাসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উভয় ঈদগাহের দিকে যেতেন”। (হাদীছ: সহীহ, দেখুন র্ইওয়া৩/১২৩) 
নাফে’ থেকে বর্ণিত: 
" أن ابن عمر كان إذا غدا يوم الفطر ويوم الأضحى يجهر بالتكبير حتى يأتي المصلى ، ثم يكبر حتى يأتي الإمام ، فيكبر بتكبيره " أخرجه الدارقطني بسند صحيح.                         
    অর্থঃ আব্দুল্লাহ বিন উমর (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) যখন ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহায় বের হতেন, তখন ঈদগাহে পৌঁছা পর্যন্ত উচ্চ আওয়াজে তাকবীর পাঠ করতেন। তারপর আবার তাকবীর শুরু করতেন পরে যখন ইমাম আসতেন, তখন ইমামের সাথে সাথে তিনিও তাকবীর বলতে থাকতেন। (দারাকুৎনী, সনদ সহীহ, ইরওয়া:হা: নং৬৫০) 

  ♦ আইয়ামে তাশরীকের দিন দিনগুলোতে বিশেষ তাকবীর পাঠ: আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) এর সূত্রে বর্ণিত, তিনি আইয়্যামে তাশরীকের মধ্যে এভাবে তাকবীর বলতেন:
"الله أكبر، الله أكبر، لا إله إلا الله . والله أكبر ، الله أكبر، ولله الحمد "
বাংলা উচ্চারণ: “আল্লাহু আকবার , আল্লাহু আকবার , লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু, ওয়াল্লাহু আকবার , আল্লাহু আকবার , ওয়া লিল্লাহিল হামদ”
বিঃদ্রঃ দলবদ্ধ হয়ে এক সাথে তাকবীর পাঠ করা সুন্নত পরিপন্থী কাজ।  কারণ রাসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কিংবা তাঁর কোন সাহাবী থেকে এমনটা পাওয়া যায় না।  তাই সঠিক নিয়ম হল: সকলেই একা একা পাঠ করবে।  

   শায়খ বিন বায র. বলেন: “নবী স. এবং এক দল সাহাবী থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, আরাফার দিন ফজরের পর থেকে ১৩ তারিখ আছর র্পযন্ত প্রত্যেক ফরজ আলাদীনের পরে তাকবীর পাঠ করতেন।  তবে এই দিন গুলোতে সাধারণ তাকবীর এবং বিশেষ তাকবীর উভয়টি চলমান থাকবে। 
➖▪️♾️♾️♾️▪️➖
গ্রন্থনা:
আব্দুল্লাহ আল বাকী বিন আব্দুল জলীল
ইসলামী দাওয়াহ সংস্থা, জেদ্দা, সৌদি আরব।

Post a Comment

0 Comments