Recent Tube

অধুনা বাংলায় ইসলামের আগমন-- -- মুহিউল ইসলাম মাহিম চৌধুরী।


অধুনা বাংলায় ইসলামের আগমন।
----------------------------- 

 অধুনা বাংলায় কবে ইসলামের আগমন ঘটেছিল তা নিশ্চিত করে বলা না গেলেও এটা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত এদেশে ইসলাম এসেছিল নবীজির জন্মের মাত্র অর্ধ শতাব্দীর মধ্যে সাহাবাীদের যুগেই। 

    ঐতিহাসিক বর্ণনামতে বিশ্বনবীর (স)  সাহাবী  হযরত সা'দ বিন আবি ওয়াক্কাস (রা) বঙ্গোপসাগর হয়ে নৌ পথে চীন পর্যন্ত ভ্রমণ করেছিলে । এসময় চট্রোগ্রাম বন্দরে তাদের তরী ভেড়ে । সে সময়ই মূলতঃ অধুনা বাংলায় ইসলামের বাতাস ছড়িয়ে পড়েছিল  । 

    বাঙাল মুলুকে খবর ছড়িয়ে পড়েছিল এক আরব্য জাহাজ নোঙর করেছে চাটগাঁও বন্দরে । স্থানীয় উৎসুক জনগণ তাদেরকে দেখতে তীরে এসে ভীড় করেছিল। এখানে তারা কয়দিন থেকেছিলেন তা বলা যাচ্ছেনা তবে ঐ এলাকার মানুষেরা সাহাবীদের মাঝে ইসলামের সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়েছিল। । এখান থেকে তাঁরা চলে যান লালমনিরহাটে । সেখানে কিছু সংখ্যক লোক ইসলামের ছায়ায় অাশ্রয় গ্রহণ করেন । 

   উল্লেখ্য যে, হযরত সা'দ বিন আবি ওয়াক্কাস (রা) ৬৩৬ সালে পারস্য বিজয়ের নেতৃত্ব ও শাসনের জন্য  অধিক পরিচিত।

  ৬১৬ ও ৬৫১ সালে তাঁকে কূটনৈতিক দায়িত্ব দিয়ে চীনে দু'বার  পাঠানো হয়েছিল।

    চীনা মুসলিমরা দাবী করেন,তাদের দেশেই আল্লাহর দ্বীনের পথের এই অভিযাত্রী সাহাবী শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছিলেন । অবশ্য আজও চীনে একটি কবর রয়েছে যে কবরে পাশে লিখা রয়েছে রাওদ্বাতু সাঁদ বিন অাবি ওয়াক্কাস (রা) ।

 তবে নির্ভরযোগ্য ঐতিহাসিক তথ্যমতে তিনি মদীনায় ইন্তেকাল করেছেন ।

    যাইহোক বলতেছিলাম,হুজুর (স) এর জন্মের পঞ্চাশ বছরের মধ্যেই অর্থাৎ ৬২০ খৃষ্টানদে এদেশে ইসলাম আসন গেড়েছিল। তাঁর পেছনে রয়েছে একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্বত্বতা। 

   বিভিন্ন গবেষণা ও প্রাপ্ত শিলালিপি এমন দাবিই জোরালো করেছে। এতে দেখা যায়, ৬৯০ খ্রিষ্টাব্দে দেশের প্রথম মসজিদটিও নির্মিত হয় এই লালমনিরহাট জেলার পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের ‘মজেদের আড়া’ নামক গ্রামে। এটির নাম সাহাবায়ে কেরাম জামে মসজিদ রাখা হয়েছে ] ১৯৮৭ সালে পঞ্চগ্রামে জঙ্গল খননের সময় প্রাচীন মসজিদের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়। এর একটি ইটে কালেমা তাইয়্যেবা ও ৬৯ হিজরি লেখা রয়েছে। এ থেকে অনুমান করা হয়, মসজিদটি হিজরি ৬৯ অর্থাৎ ৬৯০ খ্রিষ্টাব্দের দিকে স্থাপন কিংবা সংস্কার করা হয়।

   সূতরাং এটি অনায়াসে বলা যায় যে,এখানে হযরত সা'দ বিন আবি ওয়াক্কাস (রা) বাংলায় ইসলামের শিকড় গেড়েছিলেন এবং এই মসজিদটি হয়তো তিনি অথবা তাঁর হাতে ইসলাম ইসলাম গ্রহণকারী মুসলিমরা এক আল্লাহকে সেজদা এবং তাঁর ইবাদতের জন্য এ মসজিদটি নির্মান করেছিলেন ।

   উল্লেখ্য যে, হযরত সা'দ বিন আবি ওয়াক্কাস (রা) ৬৩৬ সাোলে পারস্য বিজয়ের নেতৃত্ব ও শাসনের জোোোো অধিক পরিচিত।

  ৬১৬ ও ৬৫১ সালে তাঁকে কূটনৈতিক দায়িত্ব দিয়ে চীনে দু'বার  পাঠানো হয়েছিল।

   চীনা মুসলিমরা দাবী করেন,তাদের দেশেই আল্লাহর দ্বীনের পথের এই অভিযাত্রী সাহাবী শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছিলেন । অবশ্য আজও চীনে একটি কবর রয়েছেোো যে কবরে পাশে লিখা রয়েছে রাওদ্বাতু সাঁদ বিন আবি ওয়াক্কাস (রা) ।
   তবে নির্ভরযোগ্য ঐতিহাসিক তথ্যমতে তিনি মদরনায় ইন্তেকাল করেছেন ।

     যাইহোক বলতেছিলাম,হুজুর (স) এর জন্মের পঞ্চাশ বছরের মধ্যেই অর্থাৎ ৬২০ খৃষ্টানদে এদেশে ইসলাম আসন গেড়েছিল। তাঁর পেছনে রয়েছে একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্বত্বত।। 

     সাহাবীদের দ্বারা ইসলামের দাওয়াত ছড়িয়ে পড়ার ৬০০ বছর পর ইখতিয়ার উদ্দীন মুহাম্মাদ বিন বখতিয়ার খিলজীর বঙ্গবিজয়ের মধ্য দিয়ে ইসলাম এতদঞ্চলে বিকশিত হয়েছিল।।
---------------------------------- 
লেখক : প্রবন্ধ লেখক, কলামিস্ট ও অনলাইন এক্টিভিস্ট।

Post a Comment

0 Comments