Recent Tube

পার্লামেন্টারি রাজনীতি ওআল্লামা মুশাহিদ বায়মপুরী (রাহ)-এর আদর্শ! মুফতী খন্দকার হারুনুর রশীদ।



 
 পার্লামেন্টারি রাজনীতি ও
আল্লামা মুশাহিদ বায়পুরী (রাহঃ)-এর আদর্শ!
-------------------------------------

  বাঙালি আলেমসমাজের অহঙ্কার, অনন্য প্রতিভাধর, প্রথিতযশা এক সংগ্রামী ও সাধক আলেমের নাম মাওলানা মুশাহিদ বায়মপুরী (রাহঃ)।

   উপমহাদেশসহ সমকালীন ইসলামী দুনিয়ায় তিনি "শাইখুল ইসলাম ও শাইখুল হাদীস" অভিধায় খ্যাতিমান ছিলেন।

   ইসলামী জ্ঞান-বিজ্ঞানজগতের উজ্জ্বল এই নক্ষত্রপুরুষ শরয়ী সকল শাস্ত্রে সমান পাণ্ডিত্য রাখতেন। যার এলেমী কিরণরশ্মি ছড়িয়ে পড়েছিলো সমসাময়িক ইসলামী বিশ্বময়।
আজকের আলোচনায় আমরা তার জীবনের রাজনৈতিক সাধনা ও ভূমিকা নিয়ে কিঞ্চিৎ আলোকপাতের প্রয়াস পাবো ইনশা আল্লাহ।

   মাওলানা মুশাহিদ বায়মপুরী (রাহ) ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দ মোতাবেক ১৩২৭ হিজরি সনে বর্তমান সিলেট জেলাধীন কানাইঘাট উপজেলার বায়মপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

  তিনি দীর্ঘ প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শেষে উচ্চশিক্ষার অন্বেষায় ২৯ বছর বয়সে ১৯৩৬ খ্রিস্টব্দ মোতাবেক ১৩৫৬ হিজরি সনে বিশ্বখ্যাত ইসলামী বিদ্যাপীঠ দারুল উলূম দেওবন্দে গিয়ে হাদীস বিভাগে ভর্তি হন।

  দেওবন্দে তিনি প্রায় দেড়বছর সময় হাদীস অধ্যয়ন করেন। তিনি তার পড়ালেখা জীবনের সকল পরীক্ষায় একাধারে ১ম স্থান ধরে রাখেন। এটা তার শিক্ষাজীবনের অসাধার মেধার প্রমাণবাহী বৈশিষ্ট্য।

  দারুল উলূম দেওবন্দে হাদীসের চূড়ান্ত পরীক্ষায় ১৮০ জন আলেমের মাঝে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে তিনি ১ম বিভাগে ১ম স্থান অধিকার করেন।

  এসময় তার হাদীসের সর্বোচ্চ উস্তাদ ছিলেন, জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সমকালীন মহামান্য সভাপতি, উপমহাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অগ্নিপুরুষ, শাইখুল ইসলাম আল্লামা সাইয়েদ হুসাইন আহমদ মাদানী (রাহ)।

  তখন অখণ্ড ভারতের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা আদায়ের অভিপ্রায়ে আল্লামা সাইয়েদ হুসাইন আহমদ মাদানী (রাহ), মাওলানা আবুল কালাম আযাদ (রাহ) প্রমূখের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা গণআন্দোলন একেবারে তুঙ্গে। অন্যদিকে মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ ও আল্লামা শাব্বীর আহমদ উসমানী (রাহ) প্রমূখেরর নেতৃত্বে মুসলমানদের জন্য পৃথক আবাসভূমি স্বাধীন পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার আন্দোলন জোরালো গতিতে অগ্রসরমান।

   প্রকৃতপক্ষে এই সূত্র ধরেই মাওলানা মুশাহিদ বায়মপুরী (রাহ) এর রাজনীতিতে অভিষেক ঘটে। দেওবন্দে থাকাকালেই মূলতঃ তিনি তার শ্রদ্ধেয় উস্তাদের 'অখণ্ডভারত' দর্শনের রাজনীতির প্রতি দুর্বল হয়ে পড়েন। যা থেকে তিনি পরবর্তীকালে দেশে ফিরে ইসলামী রাজনীতির প্রতি অনুপ্রানিত হন।

  বলা যায়, মাওলানা মুশাহিদ বায়মপুরী (রাহ) দারুল উলূম দেওবন্দে হাদীসে নববী শিক্ষার পাশাপাশি নববী আদর্শের রাজনৈতিক দীক্ষাও গ্রহণ করেন।

  ফলে দেশে আগমনের পর তিনি উপমহাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বীরবিক্রমে ঝাপিয়ে পড়েন।
এতে তাকে স্থানীয় মুসলিমলীগপন্থীদের তোপের মুখে পড়তে হয়। তিনি সকল প্রতিকূলতা ডিংগিয়ে স্বীয় উস্তাদের চিন্তাধারার ওপর অনঢ় থেকে আন্দোলন চালিয়ে যেতে থাকেন।

  ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে ভারত দ্বিখণ্ডিত হয়ে পৃথকভাবে স্বাধীন 'পাকিস্তান রাষ্ট্র' প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেলে অখণ্ড ভারতপন্থীদের ওপর গণনির্যাতন শুরু হয়।

  বিরোধীচিন্তার দুষ্কৃতিকারীরা মাওলানা মুশাহিদ বায়মপুরী (রাহ) এর বসতঘর পর্যন্ত পুড়িয়ে দেয়।
এতে তার বহু অমূল্য রচনাবলীর পাণ্ডুলিপিও পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

  মুসলিমলীগ সমর্থকদের জুলুম ও নির্যাতনের প্রেক্ষাপটে একপর্যায়ে মাওলানা মুশাহিদ বায়মপুরীসহ (রাহ) বহু আলেম পাকিস্তান ত্যাগ করে ভারতে চলে যান। মাওলানা মুশাহিদ বায়মপুরী (রাহ) চলে যান বদরপুরে।
এ বছরেই তিনি বদরপুর থেকে পবিত্র হজের সফরে গমন করেন।

  ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ৭ম জিলহজ হারামশরীফের তদানীন্তন ইমাম সাহেবের একটি মাসআলাভিত্তিক বক্তৃতাকে তিনি সহী হাদীসের আলোকে ভুল আখ্যায়িত করে সেখানে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন এবং পরবর্তীতে রাজকীয় মধ্যস্ততায় আয়োজিত সমাধানমূলক বৈঠকে জয়লাভ করলে তিনি ইসলামী দুনিয়ার নজর কাড়তে সক্ষম হন।

  মাওলানা মুশাহিদ বায়মপুরী (রাহ) তখনকার বাদশার অনুরোধক্রমে সউদির রাষ্ট্রীয় সংবিধান পর্যালোচনাপূর্বক চৌদ্দটি বিষয়ে সংশোধনীর সুপারিশ তুলে ধরেন।

 এতে বাদশা তাকে অশেষ মূল্যায়ন করেন এবং বাদশার নির্দেশে সদ্যপ্রতিষ্ঠিত মুসলিম রাষ্ট্র পাকিস্তানের একজন মন্ত্রীর মাধ্যমে সরকার তাকে স্বাধীন পাকিস্তানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় ফিরিয়ে আনেন।

 এই হজে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সাবেক সভাপতি, কায়েদুল ওলামা, মাওলানা হাফেয আব্দুল করীম শাইখে কৌড়িয়া (রাহ) ও তার সঙ্গে ছিলেন।

 ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে কার্জন হলে আয়োজিত "ইসলাম ও কম্যুনিজম" শীর্ষক এক সেমিনারে ভাইস চ্যান্সেলর মাহমুদ হাসানের নিমন্ত্রণে অংশ নিয়ে তিনি সারগর্ভ একটি বক্তৃতার দ্বারা দেশের প্রচলিত ধারার উচ্চশিক্ষিত চিন্তাবিদদের নিকট অপূর্ব মূল্যায়নের নজরে আসেন।

 মাওলানা মুশাহিদ বায়মপুরী (রাহ) ছিলেন, অখণ্ড-স্বাধীন ভারতকামী এবং সম্প্রীতির বন্ধনে বহুজাতীয় সহাবস্থানের মাদানী চিন্তার রাজনীতিতে কর্মতৎপর একজন মেধাবী জননেতা। বিধায় ৪৭-এ ভারতের স্বাধীনতা অর্জিত হলেও হিন্দু-মুসলিম জাতীয়তার ভিত্তিতে দেশের বিভক্তি পরবর্তীতে মাওলানা মুশাহিদ বায়মপুরী (রাহ) এর সম্মুখে এসে একসঙ্গে কয়েকটি প্রতিকূলতা নিজেদের মজবুত অস্তিত্বের জানান দেয়।
যা নিয়ে তিনি চরমভাবে চিন্তাগ্রস্ত ও বিব্রত হন।

 ০১. ভারতের নানা অঞ্চলে ছড়িয়ে থাকা মুসলিমগণের ওপর উগ্র হিন্দু - ব্রাহ্মণ্যবাদীদের পৈচাশিক হত্যা-নির্যাতন, মসজিদ-মাদরাসা ধ্বংস ও দখল, মাজার-কবর নির্মূলসহ মানবতাবিরোধী ঘটনাগুলো মাওলানা মুশাহিদ বায়মপুরীকে (রাহ) খুবই মর্মাহত করে।

 ০২. পাকিস্তান আন্দোলনের অন্যতম নেতা জিন্নাহকর্তৃক কুরআনী সংবিধানের দুহাই দিয়ে এবং ইসলামী হুকুমাতের স্বপ্ন দেখিয়ে পাকিস্তানের সরলমনা আলেমসমাজকে প্রতারিত করার দৃশ্যপট তিনি কোনোভাবেও মেনে নিতে পারেননি।

 ০৩. নবপ্রতিষ্ঠিত স্বাধীন পাকিস্তানে ''অখণ্ড ভারত দর্শনে'' বিশ্বাসী রাজনীতিকদের তৎপরতার সুযোগহীনতা এবং সমাজ ও সরকারের নানামুখী জুলুম ও বৈরিতায় তিনি চরমভাবে দুঃখভারাক্রান্ত হন।

 ০৪. পাকিস্তানপন্থী শীর্ষ আলেমদের সাথে তার ইতোপূর্বেকার রাজনৈতিক ধারাগত মতদ্বৈততায় তিনি একজন জাতীয় ব্যক্তিত্বরূপে স্বীয় কর্মতৎপরতায় সঙ্কুচিত হয়ে পড়েন।
তদানীন্তন সময়ের বিরাজমান পরিস্তিতির তাগিদেই হয়তোবা সুযোগ বুঝে মাওলানা মুশাহিদ বায়মপুরী (রাহ) এর সাথে সাইয়েদ আবুল আ'লা মওদুদী প্রতিষ্ঠিত জামাতে ইসলামীর লোকেরা সুসম্পর্ক গড়ে নিতে সক্ষম হয়।
 ষাটের দশকের মাঝামাঝি সময়ে তিনি ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রবর্তনের আন্দোলন হিসেবে জামাতে ইসলামীর প্রতি ঝুকে পড়েন।

  একই দশকের শেষের দিকের ঘটনা। মাওলানা মুশাহিদ বায়মপুরী (রাহ) তখন সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদী সাহেবের ভক্ত। জনাব মওদুদীর মতবাদের বিষাক্ত 'আকীদা' বিশ্বাসগুলো তখনো তার সামনে উদ্ভাসিত হয়নি। এতে দেশের শীর্ষস্থানীয় হক্কানী ওলামায়ে কেরাম দারুনভাবে উদ্বিগ্ন। জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সাবেক সভাপতি, মাওলানা শাইখ আশরাফ আলী বিশ্বনাথী (রাহ) ও মাওলানা আব্দুল করীম শাইখে কৌড়িয়া (রাহ) এর উদ্যোগে মাওলানা শফীকুল হক আকুনী (রাহ) ও মাওলানা ওয়ারিস উদ্দীন হাজিপুরী (রাহ) সহ একদা কানাইঘাট দারুল উলূম মাদরাসায় গিয়ে উপস্তিত হন।
তারা সাথে করে মওদুদী সাহেবের লিখিত কিছু পুস্তকও নিয়ে যান।
মাওলানা মুশাহিদ বায়মপুরী (রাহ) এর সামনে তারা সেগুলো তুলে ধরলে তিনি তা অবলোকনে শিহরিত হয়ে ওঠেন।

 তখন তিনি মাওলানা শাইখ আশরাফ আলী (রাহ) কে লক্ষ্য করে বলেছিলেন------
"ওরে ডাকাত! এগুলো আমাকে আরো আগে দেখাওনি কেনো? আমি কি ওসব উর্দূ পুস্তকাদি দেখার সময় পাই?"
এর পর থেকে তিনি জামাতে ইসলামীর সংশ্রব ত্যাগ করেন।

  মাওলানা মুশাহিদ বায়মপুরী (রাহ) আজীবন পার্লামেন্টারি রাজনীতিতেই সক্রিয় ছিলেন। তিনি পার্লামেন্টারি ইসলামী রাজনৈতিক চেতনায় বিশ্বাসী ছিলেন। নন পার্লামেন্টারি রাজনৈতিক দলের চিন্তা তার ভবনায় ও আদর্শে ছিলো না।

 তিনি জাতির বৃহত্তর ও কার্যকর খিদমাতের অভিপ্রায় এবং দায়িত্ববোধকে সামনে রেখে মোট তিনবার পার্লামেন্ট নির্বাচন করেন।
প্রথমবার স্বতন্ত্র, দ্বিতীয়বার মুসলিম লীগের মনোনয়নে এবং জীবনের শেষ মুহূর্তে তৃতীয়বারের মতো তিনি জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়েন।

 ০১. সর্বপ্রথম মাওলানা মুশাহিদ বায়মপুরী (রাহ) ১৯৬২ খ্রিস্টাব্দের এপ্রিল মাসে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। তখন তার প্রতীক ছিলো 'চেয়ার'। তিনি "চেয়ার মার্কা" নিয়ে নির্বাচন করে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন।

 ০২. দ্বিতীয়বার মাওলানা মুশাহিদ বায়মপুরী (রাহ) ১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দে দেশের সার্বিক পরিস্তিতি বিবেচনায় মুসলিম লীগের মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। তখন তার প্রতীক ছিলো 'গোলাপফুল'। তিনি এ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জনাব আজমল আলীর কাছে পরাজয় বরণ করেন।

 ০৩. শেষবারের মতো মাওলানা মুশাহিদ বায়মপুরী (রাহ) ইন্তেকালের মাত্র দু'মাস পূর্বে ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত বাঙালির জাতীয় ইতিহাসের সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনে তার প্রিয় দল, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের প্রার্থী হিসেবে লড়াই করেন। তখন তার প্রতীক ছিলো 'খেজুরগাছ'। এ নির্বাচনেও তিনি আওয়ামী লীগ প্রার্থী, জনাব এ্যাডভোকেট আব্দুর রহীমের কাছে পরাজিত হন।

  মাওলানা মুশাহিদ বায়মপুরী (রাহ) ছিলেন, সত্যিকারের একজন বিজ্ঞ, বিচক্ষণ আলেম ও প্রজ্ঞাবান রাজনীতিবিদ। তিনি ইসলামী রাষ্ট্র ও রাজনীতি বিষয়ে উর্দূ-আরবি ভাষায় একটি অসাধারন পুস্তক রচনা করেন। "ফাতহুল কারীম ফী সিয়াসাতিন নাবিয়্যিল আমীন" নামক এ অমূল্য পুস্তকটি আজো দেশের কওমী মাদরাসাসমূহের পাঠ্যভুক্ত আছে। এছাড়াও তার আরো এগারোটি গ্রন্থ বাজারে পাওয়া যায়।
 আমি মোট দশবার অনন্য পুস্তক 'ফাতহুল কারীম' পাঠদান বা অধ্যাপনার সুযোগ লাভ করি।

 মাওলানা মুশাহিদ বায়মপুরী (রাহ) এর জীবনের সকল রাজনৈতিক কার্যকলাপ, ত্যাগ-তিতিক্ষা ও সংগ্রামে প্রমাণিত সত্যরূপে আমরা যা দেখতে পাই তা হলো, পার্লামেন্টারি ইসলামী রাজনীতি।

 নন পার্লামেন্টারি দলগঠন বা রাজনৈতিক কার্যক্রম নয়। তিনি এপথের পথিক ছিলেন না। আর এই পার্লামেন্টারি রাজনৈতিক আদর্শই তিনি আমাদের জন্য ইন্তেকালের পূর্ব পর্যন্ত উম্মোচিত করে গিয়েছেন।
অন্ততঃ ১৯৬২ খ্রিস্টাব্দ থেকে ইন্তেকালের আগমুহূর্ত অবধি তিনি চর্চার মাধ্যমে পার্লামেন্টারি ইসলামী রাজনৈতিক চিন্তার রূপ ও কর্মধারা আমাদের সামনে রেখে যান।

 অবশেষে মাওলানা মুশাহিদ বায়মপুরী (রাহ) ১৩৯০ হিজরির জিলহজ মাসের ০৯ তারিখ শনিবার দিবাগত রাতে ইন্তকাল করেন।
ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
আজকের এই নাজুক সময়ে যারা প্রান্তিক পর্যায়ে থেকে হলেও দেশবাসীকে মাওলানা মুশাহিদ বায়মপুরী (রাহ) এর আদর্শের রাজনীতির কথা বলে নন পার্লামেন্টারি রাজনীতির পথে এগোচ্ছেন, তাদেরকে আমরা কি ইবা বলতে পারি?

 যে যাই করুন! মাওলানা মুশাহিদ বায়মপুরী (রাহ) এর আদর্শকে অক্ষুণ্ণ রেখে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে আজকের আলোচনা এখানেই সমাপ্ত করছি।
-------------
 তথ্যসূত্র:
আল্লামা মুশাহিদ (রহ.) জীবন ও কর্ম: মাওলানা মুহাম্মদ ফয়জুল বারী।
বিশিষ্ট পার্লামেন্টারিয়ান আল্লামা মুশাহিদ বায়মপুরী : মাওলানা আতাউর রহমান।
আল্লামা শায়খ আশরাফ আলী (রহঃ) জীবন ও সংগ্রাম : মাওলানা শাহ আশরাফ আলী মিয়াজানী।
আল্লামা মুশাহিদ বায়মপুরী (রাহ) : অধ্যাপক মাওঃ মুহিবুর রহমান।
সত্য উদ্ঘাটন : মাওলানা শফীকুল হক বুলবুল (রাহ)
-------------------
খন্দকার হারুনুর রশীদ,
১৮/০২/২০১৬ খ্রি.
সিলেট, বাংলাদেশ।

Post a Comment

0 Comments