Recent Tube

ইউনুস আলাইহিস সালামের পক্ষ থেকে রিসালতের দায়িত্ব পালনে ত্রুটি-বিচ্যুতি প্রসঙ্গে মাওলানা মওদূদী(রহ)-এর প্রতি অভিযোগ ও তার জবাব। -- ইবনে যুবাইর ।

 ইউনুস আলাইহিস সালামের পক্ষ থেকে রিসালতের দায়িত্ব পালনে ত্রুটি-বিচ্যুতি প্রসঙ্গে মাওলানা মওদূদী(রহ)-এর প্রতি অভিযোগ ও তার জবাব। 
--------------------------------------------------------------

  লেখাটি বড়।অনেকেই পড়তে চাইবেন না,হয়তো।তবে দেওবন্দী ও ক্বওমী ওলামায়ে কেরামগণ জামায়াত এবং জামায়াতের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা মওদূদীর বিরুদ্ধে যে অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছেন সেই অভিযোগের দালিলিক জবাব এই লেখার মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে।পড়লে আশা করি অনেক কথার জবাব খোলসা হয়ে যাবে।

  মহান আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন,
فَلَوۡلَا كَانَتۡ قَرۡيَةٌ ءَامَنَتۡ فَنَفَعَهَآ إِيمَـٰنُہَآ إِلَّا قَوۡمَ يُونُسَ لَمَّآ ءَامَنُواْ كَشَفۡنَا عَنۡہُمۡ عَذَابَ ٱلۡخِزۡىِ فِى ٱلۡحَيَوٰةِ ٱلدُّنۡيَا وَمَتَّعۡنَـٰهُمۡ إِلَىٰ حِينٍ۬ (٩٨) 
অর্থঃ এমন কোন দৃষ্টান্ত আছে কি যে, একটি জনবসতি চাক্ষুস আযাব দেখে ঈমান এনেছে এবং তার ঈমান তার জন্য সুফলদায়ক প্রমাণিত হয়েছে? ইউনুসের কওম ছাড়া। (এর কোন নজির নেই) তারা যখন ঈমান এনেছিল তখন অবশ্যি আমি তাদের ওপর থেকে দুনিয়ার জীবনে লাঞ্ছনার আযাব হটিয়ে দিয়েছিলাম এবং তাদেরকে একটি সময় পর্যন্ত জীবন উপভোগ করার সুযোগ দিয়েছিলাম৷ (সুরা ইউনুস ১০:৯৮)।

  সুরা ইউনুস এই আয়াতের ব্যাখ্যায় তাফহিমুল কুরআনের লিখেন, কুরআনে এ ঘটনার দিকে তিন জায়গায় শুধুমাত্র ইংগিত করা হয়েছে। কোন বিস্তারিত বিবরণ সেখানে দেয়া হয়নি। তাই আযাবের ফায়সালা হয়ে যাবার পর কারোর ঈমান আনা তার জন্য উপকারী হয় না। আল্লাহ তার এ আইন থেকে হযরত ইউনুসের কওমকে কোন কোন কারণে নিষ্কৃতি দেন তা নিশ্চিতয়তার সাথে বলা সম্ভব নয়। তবুও কুরআনের ইশারা ও ইউনুসের সহীফার বিস্তারিত বিবরণ থেকে এত টুকি জানা যায় যে, ইউনুস আলাইহিস সালামের পক্ষ থেকে রিসালতের দায়িত্ব পালনে ত্রুটি হয়ে গিয়ে ছিল। এবং খুব সম্ভব সময় আসার পূর্বে অধৈর্য হয়ে তিনি তার স্থান ত্যাগ করে ছিলেন। এ কারনে আযাব আসার পূর্বাভা্স দেখতে পেয়ে তার কওমের লোকজন তওবা করল ও ক্ষমা চাইল। তখন আল্লাহ তাদের ক্ষমা করলেন।

   তার ব্যাখ্যার বলা হয়েছিল, “ইউনুস আলাইহিস সালামের পক্ষ থেকে রিসালতের দায়িত্ব পালনে ত্রুটি হয়ে গিয়ে ছিল”। যখন এই কথাটির উপর আপত্তি উঠে তখন তিনি তাফহিমূর কুরআনের সুরা ইউনুস এই আয়াতের ব্যাখ্যায় ৯৯ নম্বর টিকায় সংশোধন করে লিখেন,

  কুরআনে এ ঘটনার দিকে তিন জায়গায় শুধুমাত্র ইংগিত করা হয়েছে। কোন বিস্তারিত বিবরণ সেখানে দেয়া হয়নি। (দেখুন আম্বিয়া ৮৭-৮৮ আয়াত ,আস সাফফাত ১৩৯-১৪৮ আয়াত ও আল কলম ৪৮-৫০ আয়াত।) তাই আযাবের ফায়সালা হয়ে যাবার পর কারোর ঈমান আনা তার জন্য উপকারী হয় না। আল্লাহ তার এ আইন থেকে হযরত ইউনুসের কওমকে কোন কোন কারণে নিষ্কৃতি দেন তা নিশ্চিতয়তার সাথে বলা সম্ভব নয়। বাইবেলে যোনা ভাববাদীর পুস্তক নাম দিয়ে যে সংক্ষিপ্ত সহীফা লিপিবদ্ধ হয়েছে তাতে কিছু বিবরণ পাওয়া গেলেও বিভিন্ন কারণে তা নির্ভরযোগ্য নয়। প্রথমত তা আসমানী সহীফা নয় এবং ইউনুস (আ) এর লেখাও না। বরং তার তিরোধানের চার পাচশো বছর পর কোন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি ইউনূসের ইতিহাস হিসেবে লিখে এটিকে পবিত্র গ্রন্থসমূহের অন্তরভুক্ত করেন। দ্বিতীয়ত এর মধ্যে কতক একেবারেই আজেবাজে কথাও পাওয়া যায়। এগুলো মেনে নেবার মত নয়। তবুও কুরআনের ইশারা ও ইউনুসের সহীফার বিস্তারিত বিবরণ সম্পর্কে চিন্তা ভাবনা করলে কুরআনের তাফসীরকরগণ যে কথা বলেছেন তাই সঠিক বলে মনে হয়। তারা বলেছেন, হযরত ইউনূস (আ) যেহেতু আযাবের ঘোষনা দেবার পর আল্লাহর অনুমতি, ছাড়াই নিজের আবাস্থল ত্যাগ করে চলে গিয়েছিলেন তাই আযাবের লক্ষণ দেখে যখন আসিরীয়ারা তওবা করলো এবং গোনাহের জন্য ক্ষমা চাইলো তখণ মহান ও সর্বশক্তিমান আল্লাহ তাদের কে ক্ষমা করে দিলেন। কুরআন মজীদে আল্লাহর বিধানের যে মৌলক নিয়ম কানুন বর্ণনা করা হয়েছে তার একটি স্বতন্ত্র ধারা হচ্ছে এই যে, আল্লাহ কোন জাতিকে ততক্ষণ আযাব দেন না যতক্ষণ না পূর্নাঙ্গ দলীল প্রমাণ সহকারে সত্যকে তাদের সামনে সুষ্পষ্ট করে তোলেন। কাজেই নবী যখন সংশ্লিষ্ট জাতির জন্য নির্ধারিত অবকাশের শেষ মূহূর্তে পর্যন্ত উপদেশ বিতরণের কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে পারেননি এবং আল্লাহর নির্ধারিত সময়ের আগেই নিজ দায়িত্বে হিজরাত করে চলে গেছেন তখন আল্লাহর সুবিচার নীতি এ জাতিকে আযাব দেখা সমীচীন মনে করেনি। কারণ তার কাছে পূর্নাঙ্গ দলীল প্রমাণ সহকারে সত্যকে সুষ্পষ্ট করে তুলে ধরার আইনগত শর্তাবলী পূর্ণ হতে পারেনি।

 মহান আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন,
وَذَا ٱلنُّونِ إِذ ذَّهَبَ مُغَـٰضِبً۬ا فَظَنَّ أَن لَّن نَّقۡدِرَ عَلَيۡهِ فَنَادَىٰ فِى ٱلظُّلُمَـٰتِ أَن لَّآ إِلَـٰهَ إِلَّآ أَنتَ سُبۡحَـٰنَكَ إِنِّى ڪُنتُ مِنَ ٱلظَّـٰلِمِينَ (٨٧)

  অর্থঃ আর মাছওয়ালাকেও আমি অনুগ্রহ ভাজন করেছিলাম৷স্মরণ করো যখন সে রাগান্বিত হয়ে চলে গিয়েছিল এবং মনে করেছিল আমি তাকে পাকড়াও করবো না৷ শেষে সে অন্ধকারের মধ্য থেকে ডেকে উঠলো। “তুমি ছাড়া আর কোনো ইলাহ নেই, পবিত্র তোমার সত্তা, অবশ্যই আমি অপরাধ করেছি৷” (সুরা আম্বিয়া ২১:৮৭)।

  সুরা আম্বিয়া এই আয়াতের ব্যাখ্যায় তাফহিমুল কুরআনের ৮৭ নম্বর টিকায় লিখেন, তিনি (ইউনুস আঃ) নিজের সম্প্রদায়ের প্রতি অসন্তুষ্ট হয়ে চলে যান। আল্লাহর পক্ষ থেকে তখনো হিজরত করার হুকুম আসেনি, যার ফলে তাঁর পক্ষ থেকে নিজের কর্তব্য ত্যাগ করা জায়েয হতে পারতো।

  এই আয়াতের ও সুরা ইউনুস ৯৮ আয়াত যা পূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে তার ব্যাখ্যার অভিযোগ ব্যাপারে তিনি নিজেই সুরা আম্বিয়া ৮৫ নম্বর টিকায় লিখেন, 
হযরত ইউনুসের (আ) এ ঘটনা সম্পর্কে আমি সূরা ইউনুস ও সূরা আম্বিয়ার ব্যাখ্যায় যা কিছু লিখেছি সে সম্পর্কে কেউ কেউ আপত্তি উঠিয়েছেন । তাই সংগতভাবেই এখানে অন্যান্য মুফাসসিরগণের উক্তিও উদ্ধৃত করছিঃ
বিখ্যাত মুফাসসির কাতাদা সুরা ইউনুসের ৯৮ আয়াতের ব্যাখ্যার বলেন, “এমন কোন জনপদ দেখা যায়নি যার অধিবাসীরা কুফরী করেছে এবং আযাব এসে যাবার পরে ঈমান এনেছে আর তারপর তাদেরকে রেহাই দেয়া হয়েছে। একমাত্র ইউনুসের সম্প্রদায় এর ব্যতিক্রম। তারা যখন তাদের নবীর সন্ধান করে তাঁকে না পেয়ে অনুভব করলো আযাব নিকটে এসে গেছে তখন আল্লাহ তাদের মনে তাওবার প্রেরণা সৃষ্টি করলেন। (ইবনে কাসীর, ২ খণ্ড , ৪৩৩ পৃষ্ঠা )।
একই আয়াতে ব্যাখ্যায় আল্লামা আলূসী লিখছেন, এ জাতির কাহিনী হচ্ছে, “হযরত ইউনুস আলাইহিস সালাম মসুল এলাকায় নিনেভাসসীদের কাছে আগমন করেছিলেন। তারা ছিল কাফের ও মুশরিক । হযরত ইউনুস তাদেরকে এক ও লা শরীক আল্লাহর প্রতি ঈমান আনার ও মূর্তিপূজা পরিত্যাগ করার আহবান জানান। তারা তাঁর দাওয়াত প্রত্যাখ্যান কর এবং তাঁর প্রতি মিথ্যা আরোপ করে। হযরত ইউনুস তাদেরক জানিয়ে দেন , তৃতীয় দিন আযাব আসবে এবং তৃতীয় দিন আসার আগেই অর্ধ রাতে তিনি জনপদ থেকে বের হয়ে পড়েন। তারপর দিনের বেলা যখন এ জাতির মাথার ওপর আযাব পৌঁছে যায় এবং তাদের বিশ্বাস জন্মে যে, তারা সবাই ধবংস হয়ে যাবে তখন তারা নিজেদের নবীকে খুঁজতে থাকে কিন্তু তাঁকে খুঁজে পায় না। শেষ পর্যন্ত তারা সবাই নিজেদের ছেলেমেয়ে , পরিবার , গবাদি পশু নিয়ে খোলা প্রান্তরে বের হয়ে আসে এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান আনে ও তাওবা করে। আল্লাহ তাদের প্রতি করুণা করেন এবং তাদের দোয়া কবুল করেন। (রূহুল মা 'আনী, ১১ খণ্ড, ১৭০ পৃষ্ঠা )

  সূরা আম্বিয়ার ৮৭ আয়াতের ব্যাখ্যায় আল্লামা আলূসী লিখেছেন, “হযরত ইউনুসের নিজের জাতির প্রতি অসন্তুষ্ট হয়ে বের হয়ে যাওয়া ছিল হিজরাতের কাজ। কিন্তু তাঁকে এর হুকুম দেয়া হয়নি। (রুহুল মা'আনী, ১৭ খণ্ড, ৭৭ পৃষ্ঠা)।
তারপর তিনি হযরত ইউনুসের দোয়ার বাক্যাংশ বর্ণনা করেছেন এভাবে, “অর্থাৎ আমি অপরাধী ছিলাম। নবীদের নিয়মের বাইরে গিয়ে হুকুম আসার আগেই হিজরাত করার ব্যাপারে আমি তাড়াহুড়া করেছিলাম। হযরত ইউনুস আলাইহিস সালামের পক্ষ থেকে এটি ছিল তাঁর নিজের গোনাহের স্বীকৃতি এবং তাওবার প্রকাশ , যাতে আল্লাহ তাঁকে বিপদ থেকে উদ্ধার করেন। " (রূহুল মা"আনী ১৭ খণ্ড, ৭৮ পৃষ্ঠা )।

  এ আয়াতাটির টীকায় মওলানা আশরাফ আলী থানবী লিখেছেন, “তাঁর নিজের জাতি তাঁর প্রতি ঈমান না আনায় তিনি ক্রুদ্ধ হয়ে চলে যান এবং জাতির ওপর থেকে আযাব হটে যাবার পরও নিজে তাদের কাছে ফিরে আসেননি । আর এ সফরের জন্য আল্লাহর হুকুমের অপেক্ষাও করেননি।" (বায়ানুল কুরআন)

  এ আয়াতের টীকার মওলানা শাব্বির আহমদ উসমানী লিখেছেনঃ " জাতির কার্যকলাপে ক্ষিপ্ত হয়ে ক্রুদ্ধচিত্তে শহর থেকে বের হয়ে যান। আল্লাহর হুকুমের অপেক্ষা করেননি এবং প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান যে, তিনি দিনের মধ্যে তোমাদের ওপর আযাব নেমে আসবে, বলে নিজের অপরাধ স্বীকার করেন এ মর্মে যে, অবশ্যই আমি তাড়াহুড়া করেছি, তোমার হুকুমের অপেক্ষা না করেই জনপদের অধিবাসীদের ত্যাগ করে বের হয়ে পড়ি।

   সূরা সাফফা‌তের ওপরে উল্লেখিত আয়াতের ব্যাখ্যায় ইমাম রাযী লিখেছেন, হযরত ইউনুসের অপরাধ ছিল, তাঁর যে জাতি তাঁর প্রতি মিথ্যা আরোপ করেছিল আল্লাহ তাকে ধবংস করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তিনি মনে করেছিলেন, এ আযাব নির্ঘাত এসে যাবে। তাই তিনি সবর করেননি। জাতিকে দাওয়াতে দেবার কাজ বাদ দিয়ে বাইরে বের হয়ে গিয়েছিলেন। অথচ দাওয়াতের কাজ সবসময় জারী রাখাই ছিল তাঁর দায়িত্ব। কারণ আল্লাহ তাদেরকে ধবংস না করার সম্ভাবনা তখনো ছিল।" (তাফসীরে কবীর, ৭ খণ্ড, ১৬৮ পৃষ্ঠা )।

   আল্লামা আলুসী এ সম্পর্কে লিখেছেন, “আবাকা এর আসল মানে হচ্ছে , প্রভুর কাছ থেকে দাসের পালিয়ে যাওয়া । যেহেতু হযরত ইউনুস তাঁর রবের অনুমতি ছাড়াই নিজের জাতির কাছ থেকে পলায়ন করেছিলেন তাই তাঁর জন্য এ শব্দটির ব্যবহার সঠিক হয়েছে।" তারপর সামনের দিকে তিনি আরো লিখেছেনঃ "তৃতীয় দিনে হযরত ইউনুস আল্লাহর অনুমতি ছাড়াই বের হয়ে গেলেন। এখন তাঁর জাতি তাঁকে না পেয়ে তাদের বড়দের ছোটদের ও গবাদি পশুগুলো নিয়ে বের হয়ে পড়লো। আযাব অবতীর্ণ হবার বিষয়টি তাদের কাছে এসে পৌছেছিল ।তারা আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করলো এবং ক্ষমা প্রার্থনা করলো। আল্লাহ তাদেরকে মাফ করে দিলেন। (রূহুল মা'আনী, ২৩ খণ্ড, ১০৩ পৃষ্ঠা)।
মাওলানা শব্বির আহমদ উসমানী এ ব্যাখ্যা প্রসংগে লিখেছেন, “অভিযোগ এটিই ছিল যে, ইজতিহাদী ভুলের দরুন আল্লাহর হুকুমের অপেক্ষা না করে জনপদ থেকে বের হয়ে পড়েন এবং আযাবের দিন নির্ধারণ করে দেন্‌”।

  আবার সূরা আল কলম এর একটি আয়াতের টীকার মাওলানা শাব্বির আহমদ উসমানী লিখেছেন, “মাছের পেটে প্রবেশকারী পয়গম্বরের (হযরত ইউনুস আলাইহিস সালাম ) মতো মিথ্যা আরোপকারীদের ব্যাপারে সংকীর্ণমনতা ও ভাতি আশংকার প্রকাশ ঘটাবে না। অর্থাৎ জাতির বিরুদ্ধে ক্রোধে ক্ষিপ্ত হয়েছিলেন। বিরক্ত হয়ে দ্রুত আযাবের জন্য দোয়া এবং ভবিষ্যদ্বাণী করে বসলেন।
মুফাসসিরগণের এসব বর্ণনা থেকে একথা সুম্পষ্ট হয়ে যায় যে, তিনটি ভুলের কারণে হযরত ইউনুসের (আ ) ওপর অসন্তোষ ও ক্রোধ নেমে আসে ।
১। তিনি নিজেই আযাবের দিন নির্দিষ্ট করে দেন। অথচ আল্লাহর পক্ষ থেকে এ ধরনের কোন ঘোষণা হয়নি।
২। সেদিন আসার আগেই হিজরাত করে দেশ থেকে বের হয়ে যান। অথচ আল্লাহর হুকুম না আসা পর্যন্ত নবীর নিজ স্থান ত্যাগ করা উচিত নয়।
৩। সে জাতির ওপর থেকে আযাব হটে যাওয়ার পর তিনি নিজে তাদের মধ্যে ফিরে যাননি।
জামায়াতে ইসলামি-০২
সংকলনেঃ মোহাম্মাদ ইস্রাফিল হোসাইন।
চলবে.......

Post a Comment

0 Comments