পাগলা মসজিদ সহ যে কোন মসজিদের টাকা বন্যার্তদের দেয়া যাবে কি?
উত্তর-
মসজিদের কোন জিনিসের জন্য যদি খাস করে দান করা না হয় ৷ যদি অনির্দিষ্ট ভাবে দান করা হয়, এবং তা মসজিদের প্রয়োজনের অতিরিক্ত হয় ৷ তাহলে তা অবশ্যই বন্যার্তদের জন্য ব্যায় করা যাবে ৷ যেমন হাদিসে আছে-
لَوْلاَ أَنَّ قَوْمَكِ حَدِيثُو عَهْدٍ بِجَاهِلِيَّةٍ أَوْ قَالَ بِكُفْرٍ - لأَنْفَقْتُ كَنْزَ الْكَعْبَةِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَلَجَعَلْتُ بَابَهَا بِالأَرْضِ وَلأَدْخَلْتُ فِيهَا مِنَ الْحِجْرِ
অর্থ-
রাসুল সাঃ আয়েশা রযি. কে বলেন- তোমার সম্প্রদায়ের লোকেরা যদি জাহিলী যুগের কাছাকাছি না হতো অথবা নিকট অতীতে কুফরি ত্যাগ না করত, তবে আমি অবশ্যই কা’বায় পুঞ্জীভূত সম্পদ আল্লাহর রাস্তায় খরচ করতাম, এর দরজা ভূমির সমতলে স্থাপন করতাম এবং হাতীমকে কা’বার অন্তর্ভুক্ত করে দিতাম।
حوالہ:- صحیح مسلم ۱/۴۲۹
এই হাদিসে রাসুল সাঃ কা'বার প্রয়োজনের অতিরিক্ত মানুষের দানকৃত সম্পদ বিভিন্ন ভালো কাজে খরচ করতে চেয়েছিলেন ৷ যার দ্বারা বুঝা যায়, অবশ্যই মসজিদের অতিরিক্ত টাকা বন্যার কাজে ব্যায় করা যাবে ৷
হ্যা ফতোয়ার কিতাবে আছে - মানুষ মসজিদে যেই কাজের জন্য দান করে সেই কাজেই দানকৃত টাকা ব্যায় করতে হয় ৷ অন্যত্র ব্যবহার করা যাবে না ৷ অনেক ওলামায়ে কেরাম এই ফতোয়াটি প্রচার করতেছে ৷ তাদের জানা উচিত যে ফতোয়া আরো একটু বাকী আছে, তা হলো- যারা দান করেছেন তাদের অনুমতি নিয়ে অবশ্যই দানকৃত টাকা ভিন্ন যে কোন কাজে ব্যায় করা যাবে ৷
মসজিদে প্রতি শুক্রুবারে মুসল্লিরা যেই টাকা দেয় ৷ মসজিদে এলান করে তাদের অনুমতি নিয়ে অবশ্যই মসজিদে দানকৃত টাকা বন্যার্তদের জন্য ব্যায় করা যাবে ৷
পাগলা মসজিদে যে সকল টাকা মানুষ দান করেছেন, তাদের থেকে ও সহজে অনুমতি নেয়া যাবে ৷ তাদের অফিশিয়াল পেইজে প্রচার করলে, যারা দান করেছে তারা যদি অনুমতি দিয়ে দেয়, তাহলে অবশ্যই পাগলা মসজিদের টাকা বন্যার্তদের জন্য ব্যায় করা যাবে ৷
তা ছাড়া পাগলা মসজিদে কোটি কোটি টাকা জমা আছে, যা মসজিদের কোন কাজে লাগছে না ৷ কমিটির লোকেরা কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি করতেছে ৷ এর চেয়ে কৌশল বৈধ করে বন্যার্তদের জন্য দান করে দেয়া অতি উত্তম হবে ৷ কারন সকল ফতোয়ার কিতাবে লেখা আছে-
إن الفتوى تتغير بتغير الزمان والمكان والعوائد والاحوال وذالك كله من دين الله ....
بدائع الصنائع ۶/۲۷۰
قالوا مراعاة غرض الواقفین
0 Comments