Recent Tube

বিভিন্ন ধর্ম গ্রন্থে হযরত মুহাম্মদ (সা):-২, মুহাম্মদ তানজিল ইসলাম ।



   ইহুদী ধর্মে হযরত মুহাম্মদ (সা):
ইহুদীদের ধর্ম গ্রন্থে বলা হয়েছেঃ
"মহান ইশ্বর বলেছেন, (হে মূসা) আমি তোমার মত করে তোমাদের ভাইয়ের মধ্য হতে একজন নবী কে পাঠাবো। আমি তাঁকে ধর্ম প্রচার করতে বলব। তিনি আমার আদেশে সব কথা বলবেন।
-----------------
  (ওল্ড টেস্টামেন্ট, Book of Deuteronomy এর অধ্যায়:১৮, অনুচ্ছেদ:১৮)

    অনেক খ্রিষ্টান দাবি করে এই ভবিষ্যত বাণী দ্বারা ঈসা (আ) কে বুঝানো হয়েছে। কিন্তু তা সঠিক নয় বরং এ দ্বারা হযরত মুহাম্মদ (সা) কেই নির্দেশ করা হয়েছে। কারণঃ-
হযরত মুসা (আ) এর হযরত মুহাম্মদ (সা) এর সব দিক দিয়ে মিল রয়েছে। কিন্তু হযরত ঈসা (আ) এর সাথে তেমন মিল পাওয়া যায় না। যেমনঃ-
১. হযরত মুসা (আ) ও হযরত মুহাম্মদ (সা) তাঁরা দুজনেই জন্মে ছিলেন স্বাভাবিক ভাবে কিন্তু হযরত ঈসা (আ) কোন পুরুষের ঔরসজাত হয়ে জন্ম গ্রহণ করেন নি।
২. হযরত মুসা (আ) ও হযরত মুহাম্মদ (সা) দুজনেই বিবাহিত ছিলেন কিন্তু ঈসা (আ) বিবাহ করেন নি।
৩. হযরত মুসা (আ) ও হযরত মুহাম্মদ (সা) উভয়ের সন্তান ছিল কিন্তু ঈসা (আ) এর ছিল না।
৪. তাঁরা উভয়ে শাসক ছিলেন কিন্তু ঈসা (আ) শাসক ছিলেন না।
৫. তাঁদের অনুসারী বেশি ছিল কিন্তু ঈসা (আ) এর এত বেশি অনুসারী ছিল না।
৬. তাঁরা উভয়ে স্বাভাবিক ভাবে মৃত্যবরণ করেন কিন্তু ঈসা (আ) এখনো মৃত্যবরণ করেন নি। খ্রিষ্টানদের মতে মৃত্যবরণ করলেও সেটা স্বাভাবিক মৃত্য ছিল না।
৭. তাছাড়া বাইবেলে বলা হয়েছে, মুহাম্মদ (সা) ছিলেন মুসা (আ) এর মত কিন্তু ঈসা (আ) মুসা (আ) এর মত ছিলেন না।
-----------------
  ৷ (গসপেল অব ম্যাথিউর:১৮/৩৫)

৮. আরো বলা হয়েছে, "আসমানি কিতাব যাকে দেওয়া হবে তিনি হবেন নিরক্ষর।"
-----------------
(বুক অব আইজায়া, অধ্যায়:২৯, অনুচ্ছেদ:১২)


   আর এ বিষয়ে আল্লাহ তা'য়ালা বলেনঃ 

ٱلَّذِينَ يَتَّبِعُونَ ٱلرَّسُولَ ٱلنَّبِىَّ ٱلْأُمِّىَّ ٱلَّذِى يَجِدُونَهُۥ مَكْتُوبًا عِندَهُمْ فِى ٱلتَّوْرَىٰةِ وَٱلْإِنجِيلِ يَأْمُرُهُم بِٱلْمَعْرُوفِ وَيَنْهَىٰهُمْ عَنِ ٱلْمُنكَرِ وَيُحِلُّ لَهُمُ ٱلطَّيِّبَٰتِ وَيُحَرِّمُ عَلَيْهِمُ ٱلْخَبَٰٓئِثَ وَيَضَعُ عَنْهُمْ إِصْرَهُمْ وَٱلْأَغْلَٰلَ ٱلَّتِى كَانَتْ عَلَيْهِمْۚ فَٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ بِهِۦ وَعَزَّرُوهُ وَنَصَرُوهُ وَٱتَّبَعُوا۟ ٱلنُّورَ ٱلَّذِىٓ أُنزِلَ مَعَهُۥٓۙ أُو۟لَٰٓئِكَ هُمُ ٱلْمُفْلِحُونَ 

   যারা সেই নিরক্ষর রাসূলের অনুসরণ করে চলে যার কথা তারা তাদের নিকট রক্ষিত তাওরাত ও ইঞ্জীল কিতাবে লিখিত পায়, যে মানুষকে সৎ কাজের নির্দেশ দেয় ও অন্যায় কাজ করতে নিষেধ করে, আর সে তাদের জন্য পবিত্র বস্তুসমূহ বৈধ করে এবং অপবিত্র ও খারাপ বস্তুকে তাদের প্রতি অবৈধ করে, আর তাদের উপর চাপানো বোঝা ও বন্ধন হতে তাদেরকে মুক্ত করে। সুতরাং তার প্রতি যারা ঈমান রাখে, তাকে সম্মান করে এবং সাহায্য করে ও সহানুভূতি প্রকাশ করে, আর সেই আলোকের অনুসরণ করে চলে যা তার সাথে অবতীর্ণ করা হয়েছে, তারাই (ইহকালে ও পরকালে) সাফল্য লাভ করবে।
-----------------
 [আল কুরআন, সূরাঃ(০৭) আরাফ, আয়াতঃ১৫৭]

   এক কথায় বলা যায়, " আমি
তোমার মত করে তোমাদের ভাইয়ের
মধ্য হতে একজন নবী কে পাঠাবো।" 
এখানে নবী বলতে হযরত মোহাম্মদ (সা) কেই বুঝানো হয়েছে আর কাউ কে নয়।


     বলতে পারেন, ইহুদীরা হযরত মুহাম্মদ (সা) মানেন না কেন? 
  এ বিষয়ে মহান আল্লাহ তা'য়ালা বলেনঃ
ﭐﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺀَﺍﺗَﻴْﻨَٰﻬُﻢُ ﭐﻟْﻜِﺘَٰﺐَ ﻳَﻌْﺮِﻓُﻮﻧَﻪُۥ ﻛَﻤَﺎ ﻳَﻌْﺮِﻓُﻮﻥَ ﺃَﺑْﻨَﺎٓﺀَﻫُﻢْۖ ﻭَﺇِﻥَّ
ﻓَﺮِﻳﻘًﺎ ﻣِّﻨْﻬُﻢْ ﻟَﻴَﻜْﺘُﻤُﻮﻥَ ﭐﻟْﺤَﻖَّ ﻭَﻫُﻢْ ﻳَﻌْﻠَﻤُﻮﻥَ

   যাদেরকে আমি কিতাব প্রদান করেছি
তারা তাকে (হযরত মুহাম্মদ সাঃ কে)
এরূপভাবে চিনে, যেমন চিনে তারা
আপন সন্তানদেরকে এবং নিশ্চয়ই
তাদের এক দল জ্ঞাতসারে সত্যকে
গোপন করছে।
-----------------
[আল কুরআন, সূরাঃ(০২) বাকারা, আয়াতঃ১৪৬]
------------------------------------------------
লেখকঃ ইসলামি চিন্তাবিদ গ্রন্থপ্রনেতা গীতিকার ও বিশ্লেষক।           

Post a Comment

0 Comments