Recent Tube

মাদখালিদের কান্না,। ইবনে যুবাইর।

             
                  মাদখালিদের কান্না 

   মুসলিম  বিশ্বকে খেলাফতের মর্যাদা শূন্যকারী আধুনিক তুরস্কের পিতা মোস্তফা কামাল পাশা ১৯২২ সালে তুর্কি প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করেন। হয়তো তিনি ‘ইউরোপের রুগ্ণ পুরুষ’ খ্যাতি পাওয়া তুরস্ককে উন্নতি ও অগ্রগতির দিক থেকে পাশ্চাত্যের সমকক্ষ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য, তিনি সেই উন্নতির পথে প্রধান প্রতিবন্ধকরূপে চিহ্নিত করেছিলেন ইসলামকে। উসমানি খেলাফতের সর্বশেষ শায়খুল ইসলামের মাথায় পবিত্র কোরআন ছুড়ে তিনি বলেছিলেন, ‘তুরস্কের উন্নতির পথে এটাই সবচে বড় বাধা!’ মোস্তফা কামাল পাশা জাতীয় জীবন থেকে ইসলামের পরিচয় সূত্রগুলো মুছে ফেলার যে পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, তার একটি ছিল ‘আয়া সুফিয়াকে শিকলবন্দি করা’। তবে তিনি আয়া সুফিয়াকে অর্থোডক্স চার্চের হাতে তুলে দেননি; এমনকি মসজিদরূপে ব্যবহারের জন্য নির্মিত মেহরাবটিকেও অক্ষত রেখে শুধু শিকল দিয়ে ঘেরাও করে দিয়েছিলেন।

প্রশ্ন উঠতে পারে আরো যেসব ক্ষেত্রে,

সমালোচকরা স্পেন বিজেতা খ্রিস্টানদের সব নির্মমতা সম্পর্কে একেবারে নীরব। কর্ডোভা শহরটি খ্রিস্টানরা চুক্তির মাধ্যমে অধিকার করেছিল। চুক্তির একটি বড় শর্ত ছিল, কোনো মসজিদে কোনো রকম হস্তক্ষেপ করা হবে না। অথচ কর্ডোভা গ্র্যান্ড মসজিদের সঙ্গে কী ব্যবহার করা হয়েছে ইতিহাস জানে। শত শত মসজিদ ভেঙে গির্জা নির্মাণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ সীমান্তঘেঁষা ভারতে মালদহ জেলায় প্রাচীন গৌড় রাজ্যে প্রতিষ্ঠিত মসজিদগুলো নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলেছেন? লোটন মসজিদ, বড় সোনা মসজিদ বা বারো দুয়ারিকে শিকল পরিয়ে রাখা হয়েছে কেন? আয়া সুফিয়ায় যখন সালাত আদায়ের প্রসঙ্গ আসে তখন প্রবল আপত্তি আসে এথেন্সের পক্ষ থেকে। অথচ ইউরোপের সবচেয়ে প্রাচীন মসজিদে আগুন লাগিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনা তারা অস্বীকার করতে পারবে না। ঐতিহ্য রক্ষার নাম করে সুলতান মেহমেত মসজিদ, আসলান পাশা মসজিদ, মেহমেত বেই মসজিদ, উসমান শাহ মসজিদ, হামজা বেই মসজিদ, সুলাইমানিয়া মসজিদসহ মুসলিমদের প্রতিটি মসজিদ শিকল পরানো হয়েছে! বিগত অর্ধ শতাব্দীর প্রচেষ্টার পরও একটি মসজিদ নতুন করে প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়নি।

আয়া সুফিয়ায় মুসলিম অধিকার,

  মোস্তফা কামাল পাশা আরবি আজান নিষিদ্ধ করেছিলেন। তুর্কি সংসদে যখন একদিকে আজান নিষিদ্ধের প্রস্তাব পাস করতে থাকেন স্পিকার, আর অন্যদিকে একজন সংসদ সদস্য দাঁড়িয়ে আজান শুরু করেন। বিস্ময়ে স্তব্ধ যখন পার্লামেন্ট কক্ষ, তখনই রাইফেলের শব্দ শোনা গেল। মেঝেতে রক্তাক্ত এক সহকর্মীর লাশ সামনে রেখেও আরেক সংসদ সদস্য আজানের বাকি অংশ সমাপ্ত করেছিলেন। তারপর রাইফেলের আরেকটি শব্দ ভেসে আসে। মসজিদে আজানের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ফাঁসির দড়িতে ঝুলতে হয়েছিল। উন্নয়ন নামক ইউরোপীয় প্রতারণার শিকার কামাল পাশার নির্মমতা তুর্কিরা কোনো দিন ভুলবে না। তুর্কিরা প্রতারণার জাল ছিঁড়তে সক্ষম হয়েছে মনে করি। ফলে আয়া সুফিয়ার বর্তমান বাস্তবতা তার শিকল খুলে ফেলা। এখানে আজানের ধ্বনি দিয়ে কাতারবন্দি হয়ে সালাত আদায় তাদের অধিকার।

   ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক;
সহযোগী অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।১১ জুলাই,২০২০।
(হেডলাইন ব্যক্তিগত) 

   মন্তব্যঃ-এই যখন অবস্হা,কামাল পাশা আল কুরআনকে উন্নয়নের পথে প্রধান প্রতিবন্ধক ভেবে তা ছুঁড়ে মারল,আজান নিষিদ্ধ করা হল,মসজিদকে বানানো হল যাদুঘর,ইসলামী কৃষ্টি কালচারের পরিবর্তে কুফুরি মতবাদ জাতীর কাঁধে জোর করে চাপিয়ে দেয়া হল,আজ যখন যাদুঘর থেকে আবার সেটিকে মসজিদে রুপ দেয়া হল তখন মাদখালিরা তার বি রোধীতা করে কথা বলছে অমুসলিমদের সুরে।আসলে মাদখালিরা কারা?তারা কি মুসলিম নয়?যদি মুসলিম হয় তবে তুর্কি আয়া সোফিয়া মসজিদ খুলে দেয়াতে তাদের খুশি হয়ার কথা ছিল?
কিন্তু না,তারা তো কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছে,কেন?
--------------------------------------
লেখকঃ ইসলামিক আর্টিকেল লেখক ও অনলাইন এক্টিভিস্ট।          

Post a Comment

0 Comments