বিতি কিচ্ছা
পর্ব-২৯,
আমরা নাকি আজ সভ্যতার স্বর্ণযুগে অবস্থান করছি। আজকাল পরকিয়া, শিশু হত্যা, শিশু ধর্ষণ এগুলো ক্ষমতাসীনদের এবং উপর তলার নাগরিকদের আয়ত্বে একচেটিয়াভাবে। হত্যা, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য সৃষ্টিতে কারো একক প্রভাব কার্যকরী নয় কোথাও। বরং এখানেও আছে চেইন অব কমান্ড। অর্থাৎ এগুলো পুরোদস্তুর প্রাতিষ্ঠানিক রুপ লাভ করেছে। পাশাপাশি সকল প্রতিষ্টানেই এগুলো মযবুতভাবে প্রাধান্য বিস্তার করে আছে। বিশেষ করে বিচার বাবস্তায় পক্ষপাতদুষ্টতা নৈতিকতার সীমা অতিক্রম করে চরমে পৌচেছে। তথাপিও এগুলোই এ যুগের মানবীয় মূল্যবোধ ও নৈতেকতার নিদর্শন। ঘুষের রমরমা বাজার, প্রতিযোগিতামমুলক উর্ধ্বগতিতে ঘুষের হার, আর প্রতিহিংসা চরিতার্থ করণে বিভিন্ন বাহিনীর ফরমায়েশি নিয়োগ লাভ আমাদের সভ্যতার সাক্ষ্য বহন করছে। এতসব কিন্তু ধর্মীয় গোড়ামী থেকে বের হয়ে যাবার আপ্রাণ চেষ্টার ফলেই সম্ভব হয়েছে।
আজিকার অভিধানে ধর্মীয় গোড়ামীটা আসলে তা ই, যা আমার মন চায় না। আর ধর্ম, সেটা আমার মনের মত রঙ মাখানো কিছু কর্মসূচীর নাম। তবে এতো আধুনিকতা আর এতো সভ্যতার শিখরে আরোহনের পরও কিন্তু কোথায় জানি রয়ে যায় এক বিশাল শুন্যতা। সেই শুন্যতাকে পূর্ণতা দিতে চলছে য়ার পর নাই চেষ্টা।এতে যাদের সহযোগীতা দরকার ছিল বেশী- সেখানে কিন্তু ঘাপটি মেরে বসে আছে এক বিশাল বিশ্বাসহীনতা। কি এই বিশ্বাসহীনতা? আসলে এই বিশ্বাসহীনতারই নাম আধুনিকতা তথা আধুনিক সভ্যতা।
ফলে ওরা পারিবারিক জীবনে এতোই হতাশার মধ্যে আছে তার প্রমান হিসাবে হাল আমলের আত্বহত্তাগুলোর দিকে নজর দিলেই প্রমান জাজল্যমান হয়ে উটে। আজকাল সব আত্বহত্তাই ঠাঁই নিয়েছে উপরতলার জীবগুলোরই আঙ্গিনয়। এতএব অনেকেই এখন তাদের ভাষায় যা "ধর্মীয় গোড়ামী", তার পক্ষেই কথা বলা শুরু করেছেন। অনেকটা "ভুতের মুখে রাম নাম" এর মতনই শোনায়। সুতরাং আমাদের কিন্তু ধর্য্যহারা না হয়ে এখন দেখার পালা।
------------------------------------------------
0 Comments