Recent Tube

একজন স্বৈরশাসককে ক্ষমতা থেকে সরাতে কত মানুষকে রাস্তায় নামতে হয়? --ইবনে যুবাইর।

  একজন স্বৈরশাসককে ক্ষমতা থেকে সরাতে কত মানুষকে রাস্তায় নামতে হয়?

  কত মানুষ রাস্তায় নামলে স্বৈরশাসকের পতন ঘটানো সম্ভব?

  একজন স্বৈরশাসকের পতন ঘটাতে কোন কৌশল সবচেয়ে বেশি কার্যকরী? সহিংস প্রতিবাদ নাকি অহিংস আন্দোলন? আর ক্ষমতা থেকে কোন রাজনীতিককে সরাতে এরকম বিক্ষোভ কত বড় হতে হবে? কত মানুষকে জড়ো করতে হবে? বিবিসির ডেভিড এডমন্ডসের রিপোর্ট:
হার্ভার্ডের একজন গবেষক এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গবেষণা চালিয়েছেন বিগত কয়েক দশকে বিশ্বের দেশে দেশে যেসব গণআন্দোলন-গণবিক্ষোভ হয়েছে সেগুলোর ওপর।
এই গবেষণার ভিত্তিতে তিনি বলছেন, কোন জনগোষ্ঠীর মাত্র ৩ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ যদি গণবিক্ষোভে যোগ দেন, তাতেই তারা সফল হতে পারেন।
বিগত কয়েক দশকে বিশ্বে স্বৈরতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার পতন ঘটানোর সফল আন্দোলনের অনেক নজির আছে।

১৯৮০র দশকে কমিউনিষ্ট শাসনামলের পোল্যান্ডে হয়েছিল সলিডারিটি আন্দোলন। এর নেতৃত্বে ছিল শ্রমিকদের ইউনিয়নগুলো।
দক্ষিণ আফ্রিকায় দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে চলেছে বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলন। চিলির স্বৈরশাসক অগাস্তো পিনোশের পতন ঘটেছিল গণআন্দোলনের মুখে। সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট স্লোবোদান মিলোসেভিচকে ক্ষমতা থেকে সরানো হয় সফল আন্দোলনের মাধ্যমে।
একেবারে অতি সাম্প্রতিককালের উদাহারণও আছে। তথাকথিত আরব বসন্তের সূচনা হয়েছিল তিউনিশিয়ায় স্বৈরশাসক জিনে আল-আবেদিন বেন আলীকে ক্ষমতা থেকে সরানোর মাধ্যমে। সেখানে এই গণঅভ্যুত্থানের নাম দেয়া হয়েছিল 'জাসমিন বিপ্লব।'
মাত্র গত বছর এরকম আরেকটি সফল বিপ্লবের উদাহারণ হচ্ছে সুদান। সেখানে আন্দোলনের মুখে ক্ষমতা ছাড়তে হয়েছে ওমর আল-বশিরকে। একইভাবে আলজেরিয়ায় ক্ষমতা ছাড়তে হয়েছে আবদেল আজিজ বুতেফ্লিকাকে।
 গণতান্ত্রিক দেশের মতো স্বৈরতান্ত্রিক দেশে সরকারকে ভোট দিয়ে ক্ষমতা থেকে সরানো যায় না। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সরকারের নীতি যদি অজনপ্রিয় হয়ে ওঠে, তখন পরের নির্বাচনে এমন রাজনীতিকদের নির্বাচিত করা যায় যারা প্রতিশ্রুতি দেবেন এই নীতি বাতিলের। কিন্তু স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থা সেটা সম্ভব নয়।"

    কিন্তু এ দেশে রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন ব্যবস্হার মাধ্যমে স্বৈরাশাসক হাসিনা পতনের স্বপ্ন দেখে।এই স্বপ্ন দুঃস্বপ্নই রয়ে যাবে।
দেশের সকল রাজনৈতিক দলগুলোকে দুটি ইস্যু নিয়ে রাস্তায় নামতে হবে এবং আন্দোলন হতে হবে অহিংস।পৃথিবীতে সহিংস আন্দোলনের চেয়ে অহিংস আন্দোলনের সফলতা বেশি। 

 ইস্যু (১)নিশি রাতের ভোটের অবৈধ সরকারের পদত্যাগ দাবি।

ইস্যু (২) সীমাহীন দুর্নীতি ও হরিলুট দায় নিয়ে অবৈধ সরকারের অপসারণ। 
এ ক্ষেত্রে প্রথমেই এগিয়ে আসতে হবে প্রধান বিরোধী দল বিএনপিকে।অন্দরে বসে দায় সারা বক্তব্য জাতি পছন্দ করে না।রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মনে করছেন যে, বিএনপি ঘুরে দাঁড়ানোর মত সম্ভবনা নেই বললেই চলে।

বিনএনপির শূণ্য  জায়গায় নুরুকে নিয়ে জল্পনা কল্পনা রয়েছে দেশি ও বিদেশি রাজনৈতিক খেলুয়াড়দের।নুৃরুর সামনে রয়েছে সম্ভবনার নতুন দিগন্ত।বিছিন্ন কোন ইস্যু নিয়ে নয়,জাতীয় ইস্যু নিয়ে রাজপথে দাঁড়াতে হবে নুরুকে।তিনি কি পারবেন একটি ডুবে যাওয়া জাতির সামনে কান্ডারি হয়ে দাঁড়াতে?
--------------------------------------------------------------
লেখকঃ ইসলামিক আর্টিকেল লেখক ও অনলাইন এক্টিভিস্ট।          

Post a Comment

0 Comments