আহমাদ শফি রহঃ এর মৃত্যুর পুর্ব মুহুর্তের ঘটে যাওয়া ঘটনা ও তাহার ছেলে আনাস মাদানির লজ্জাজনক বিদায়ের মধ্যে দিয়ে আমরা কি শিক্ষা পেলাম?
আমার আজকের এই লেখাটি ঝড় ফুরিয়ে আম কুড়ানোর মতই।হাটহাজারি উত্তাপ থেমে গেছে।যে যার স্হানে চলে গেছে...।যাই হোক,দু চারটে পাঠক যদি কুড়িয়ে পাই,তবু ভাল।
যদি আমরা এ ঘটনার পূর্বাপর বিশ্লেষণ করে দেখতে পারি তবে অনেক কিছু শেখার আছে।
পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতে বড় ধরণের কোন দুর্ঘটনা ঘটলে একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়-যদি ভুল হয়ে থাকে সেই ভুল থেকে শিক্ষা নেয়ার জন্য।যাতে করে পরবর্তীতে একই ভুলের পূণরাবৃত্তি না ঘটে।
হাটহাজারি ছাত্র আন্দোলন ছিল বহুদিনের জমে থাকা ক্ষোভের ছোট একটা বিস্ফোরণ।মাদরাসায় ছাত্র নির্যাতন,বিভিন্নভাবে হয়রানি,আনাস ও বাপের অনিয়ম দুর্নীতি ও একক আধিপত্য বিস্তারের বিরুদ্ধে ছিল এই আন্দোলন।
ঘটনা থেকে শিক্ষা,
[ক] শাপলার ঘটনার পর হেফাজতের একাংশ-তথা আনাস ও আহমাদ শফির নিয়ন্ত্রন শেখ হাসিনার হাতে চলে যায়।বাপ ছেলের সর্বনাশটা ঘটে এখানেই। নিরাপদ জীবন-যাপন,দুনিয়ার মোহ,পদপদবি টিকিয়ে রাখতে ফ্যাসিবাদ ও ইসলাম বিদ্বেষীর হাতে নিজেদের আদর্শ বিকিয়ে দিয়ে আহমাদ শফির আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা ধীরে ধীরে শূণ্যের কোটায় নেমে আসে।ইতিহাসের নায়ক থেকে পরিচিতি লাভ করে ইতিহাসখ্যাত ভিলেন হিসাবে।সেকুলার হাসিনার ক্যাশিরমার নিকট হিরো থেকে ভিলেন হওয়ার ইতিহাস নির্ভর গল্প প্রজন্মের পর প্রজন্ম পড়বে এবং যুগযুগান্তর ধরে বাপ ছেলে মানুষের ঘৃণায় কুড়াবে।এটা হচ্ছে ইতিহাসের দায় শোধ।
[খ]কোন স্বৈরাশাসক স্হায়ী নয়। তবে শর্ত হল জনগণকে প্রতিবাদী হতে হবে এবং প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।উদাহারণ হাটহাজারি ছাত্র আন্দোলন।
বাপ ছেলের অপরসাণের মধ্য দিয়ে কওমী সমাজ তাদের মাদরাসার ঐতিহ্য ধরে রাখার চেষ্টা করবে।কতটুকু সফল হবে সেটা নির্ভর করবে তাদের কর্মকৌশলের উপর।তবে হেফাজত জাতির জাতীয় বৃহত্তর স্বার্থে দেশি ও আন্তর্জাতিক বেনিয়াদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হবে এবং ইসলাম বিদ্বেষী হাসিনার সরকারে বিরুদ্ধ কোন দিন কোন এ্যাকশনে যাবে এমনটা ভাববার সুযোগ নেই।
--------------------------------------------------------------
লেখকঃ ইসলামিক আর্টিকেল লেখক ও অনলাইন এক্টিভিস্ট।
0 Comments