Recent Tube

আল-কুরআনে বর্ণিত আরবের তিন প্যাগান দেবী- লাত, উজ্জা, মানাত। - শামীম আজাদ ।


আল-কুরআনে বর্ণিত আরবের তিন প্যাগান দেবী- লাত, উজ্জা, মানাত। 

লাত বা আল-লাত 
(আরবী: اللات) ছিল আরবের প্রাক-ইসলামী যুগের একজন দেবী। সে মক্কার তিনজন প্রধান দেবীর একজন। মুসলমানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কুরআন শরীফের ৫৩ নম্বর সুরা নজমের ১৯ নম্বর আয়াত বা বাক্যে লাতের কথা বর্ণিত হয়েছে যা থেকে জানা যায় ইসলাম পূর্ববর্তী সময়ে আরবের অধিবাসীগন মানাত ও উজ্জার সাথে লাতকে ঈশ্বরের মেয়ে হিসেবে বিবেচনা করত। 
أَفَرَأَيْتُمُ اللَّاتَ وَالْعُزَّى
তোমরা কি ভেবে দেখেছ লাত ও ওযযা সম্পর্কে। 
وَمَنَاةَ الثَّالِثَةَ الْأُخْرَى
এবং তৃতীয় আরেকটি মানাত সম্পর্কে? 
সূরা আন নজম-১৯-২০

লাত, উজ্জা ও মানাত
পুরাতন উৎস থেকে জানা যায় আল-লাত ছিলো মেসোপটেমীয়দের পাতালের দেবী, যিনি এরেশকিগাল নামে পরিচিত, কার্থেজে তাকে আল্লাতু নামে ডাকা হতো। পেত্রার নবতাঈগণ এবং হাত্রার জনসাধারণ লাতের পূজা করতো। তাকে গ্রীক দেবী এথেনা ও টাইচি এবং রোমান দেবী মিনার্ভার সাথে তুলনা করা হতো। প্রাচীন পূঁথিতে তাকে মহান দেবী নামে সম্বোধন করা হয়েছে।গ্রীক ঐতিহাসিক হেরোডোটাস খ্রিষ্টপূর্ব ৫ম শতকে তার লেখায় লাতকে আফ্রোদিতির সমতুল্য বলে উল্লেখ করেছেন। 

লাত-মিনার্ভা। ২য় খ্রিস্টাব্দ। সিরিয়ার আস সুয়েদায় প্রাপ্ত। দামাস্কাসের জাতীয় জাদুঘর

The Assyrians call Aphrodite Mylitta, the Arabians Alilat [Greek spelling: Ἀλιλάτ], and the Persians Mithra. In addition that deity is associated with the Indian deity Mitra.
হেরোডোটাসের মতানুসারে প্রাচীন আরবগণ দুইজন ঈশ্বরে বিশ্বাস করতঃ
They believe in no other gods except Dionysus and the Heavenly Aphrodite; and they say that they wear their hair as Dionysus does his, cutting it round the head and shaving the temples. They call Dionysus, Orotalt; and Aphrodite, Alilat.
Museum of Fine Arts of Lyo
আল কুরআনের সুরা নজমে উজ্জা এবং মানাতের সঙ্গে লাতকে উল্লেখ করা হয়েছে ১৯ নম্বর আয়াতে। আল কোরআন, সুরা নজম, আয়াত ১৯,২০হিশাস্ম ইবনে আল কালবি লিখিত কিতাব আল আসনাম (মূর্তি সম্পর্কিত বই) থেকে জানা যায় ইসলাম পূর্ববর্তী যুগে আরবগণ বিশ্বাস করতেন লাত কাবা শরীফে বাস করেন। এবং সেখানেও তার একটি মূর্তি স্থাপিত ছিলো।
Her custody was in the hands of the Banū Attāb ibn Mālik of the Thaqīf, who had built an edifice over her. The Quraysh, as well as all the Arabs, venerated al-Lāt. They also used to name their children after her, calling them Zayd al-Lāt and Taym al-Lāt. [...] Al-Lāt continued to be venerated until the Thaqīf embraced Islam, when the Apostle of God dispatched al-Mughīrah ibn-Shu‘bah, who destroyed her and burnt her temple to the ground.
 তায়েফ বাসী লাতের পূজা করত। তাবুক যুদ্ধ[১] পরিচালিত হওয়ার একই বছরে ৬৩০ খ্রিস্টাব্দে[২] মুহাম্মদ (সঃ) এর নির্দেশে আবু সুফিয়ান ইবনে হার্বের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে তায়েফে লাতের মন্দির ধ্বংস করা হয়। এর পূর্বে ইসলাম ধর্ম গ্রহনকারী বনু হাওয়াজিন গোত্র মালিকের নেতৃত্রে তায়েফ অবরোধ করে রাখে।
 
উজ্জা

 উজ্জা  হল প্রাক-ইসলামিক যুগে কাবাঘরে সংরক্ষিত দেবতামূর্তিসমূহের মধ্যে তিনটি প্রধান দেবীমূর্তির মাঝে একটি। উজ্জা ছিল লাত ও মানাত সহ তিনটি দেবীমূর্তির একটি, যাদেরকে আল্লাহর তিন কন্যা হিসেবে ধারণা করা হত। হুবাল দেবতার মতই উজ্জাকেও সমৃদ্ধি ও কল্যাণের আশায় কুরাইশরা পূজা করত। মক্কা বিজয়ের পর মুহাম্মদ (সাঃ) এর নির্দেশে খালিদ বিন ওয়ালিদ তার একটি অভিযানের মাধ্যমে নাখলা নামক স্থানে উজ্জার প্রতি উৎসর্গীকৃত একমাত্র মন্দির ও তার ভেতরে অবস্থিত উজ্জার মূর্তি দুটোই ধ্বংস করে দেন।

পেট্রায় মানাতু মন্দিরে উজ্জার মূর্তি
 মক্কা বিজয়ের অব্যবহিত পর নবী মুহাম্মদ (সাঃ) মক্কার আশেপাশে মুর্তিপুজা প্রথা বিলোপের ব্যবস্থা নিলেন। মক্কার অদুরে নাখলা নামক স্থানে উজ্জার মুর্তিসহ একটি মন্দির ছিল যেখানে কুরাইশ ও অন্য একটি গোত্র উজ্জার পূজা করত। মুহাম্মদ খালিদ বিন ওয়ালিদকে নির্দেশ দিলেন সেটিকে ধ্বংস করে দিতে। ৮ই হিজরী রমজান মাসে খালিদ বিন ওয়ালিদ ৩০ জন ঘোড়াসওয়ারী সৈন্যসহ সেখানে যান। পূরাহিতরা তাকে বাধা দিতে চাইলে তাদের প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে খালিদ ও তার সেনারা মন্দির ও মুর্তিটিকে ভেঙে গুড়িয়ে দিয়ে ফিরে আসেন। ফিরে এসে নবী মুহাম্মদকে সব কথা বললে নবী মুহাম্মদ খালিদকে প্রশ্ন করেন 

উজ্জার প্রতিমূর্তি
সেখানে সে কিছু দেখতে পেয়েছে কি না। খালিদ না সূচক উত্তর দিলে তিনি খালিদকে আবার ফিরে গিয়ে কিছু খুঁজে দেখতে বলেন। নির্দেশমতে খালিদ ফিরে গেলে এক জীর্ণাকৃতি চুলের কৃষ্ণাঙ্গ নগ্ন মহিলাকে সেখানে দন্ডায়মান দেখতে পান। তখন খালিদ বিন ওয়ালিদ মহিলাটিকে তার তলোয়ার দিয়ে আঘাত করে সরাসরি মাথা থেকে পা পর্যন্ত চিরে দ্বিখন্ডিত করে ফেলেন। ফিরে এসে নবী মুহাম্মদকে ঘটনা বললে নবী বলেন যে, হ্যাঁ এবার ঠিক আছে এবং তিনি আরও বললেন যে, "ঐ মহিলাটিই ছিল আসল উজ্জা। এখন থেকে আর কখনোই সে তোমাদের এলাকায় পূজিত হবে না।"
 
মানাতঃ

মানাত হল ইসলাম পূর্ব যুগে মক্কায় পৌত্তলিকদের তিন প্রধান দেবীর অন্যতমা ।
১। আল লাত, উজ্জা ও মানাতপ্রাক ইসলামি যুগের আরবগণ তাঁকে ভাগ্যের দেবী হিসেবে পূজা করত । তিনি মানাওয়াত নামে পেত্রা বাসীদের কাছে পূজিতা হতেন এবং তাঁকে গ্রেকো-রোমান দেবী নেমেসিস এর সমতুল মনে করা হয় । তাঁকে দেবতা হুবাল এর স্ত্রী মনে করা হয় ।

২। প্রাক ইসলামি আরবগণ তিন দেবী আল লাত, উজ্জা ও মানাতকে ইশ্বরের তিন কন্যা মনে করত। বুক অফ আইডলস এ আছে -
এই তিন দেবীর মধ্যে মানাত সবচেয়ে প্রাচীন । আরবগণ তাদের সন্তানদের নামকরণ আবদ মানাত এবং যায়িদ মানাত করত । মানাতের মূর্তি কুদায়িদ এর নিকটবর্তী সমুদ্র উপকূলে ছিল যা মক্কা ও মদিনার মধ্যবর্তী স্থান । আরবগণ তাঁকে অর্চনা ও তাঁর কাছে উৎসর্গ করত । আউস, খাজরায, মক্কা-মদিনা ও তাঁর আশেপাশের নাগরিকরা তাঁর পূজা করত, তাঁর কাছে বলি দিত এবং তাঁকে নৈবেদ্য প্রদান করত । আউস, খাজ্রায এবং ইয়াশ্রিবরা তীর্থযাত্রায় নির্দিষ্ট স্থানগুলোতে নিশিপালন করত কিন্তু মস্তক মুণ্ডন করত না । তীর্থযাত্রার পরে তারা বাড়ি ফিরত না বরং যেখানে মানাত পূজা হয়েছিল সেখানে মস্তক মুণ্ডন করত এবং কিছু সময় অতিবাহিত করত । মানাত দর্শন না করা পর্যন্ত তারা তীর্থযাত্রা অসম্পূর্ণ মনে করত ।—বুক অফ আইডলস
মুহাম্মদের (সাঃ) আবির্ভাবের পূর্ব পর্যন্ত আরবগণ মানাতের পূজা করত । মানাতের মন্দির মুহাম্মদের নির্দেশে সাদ ইবনে যায়িদ আল আশহালি জানুয়ারি ৬৩০ খ্রিস্টাব্দে ধ্বংস করেন। 
অনেক ধর্মীয় ইতিহাসবিদ এই তিন দেবীর সাথে হিন্দু ধর্মের তিন দেবী লক্ষ্মী পার্বতী ও সরস্বতীর সাথে তুলনা করে। 

পূর্ব-পশ্চিম, মুশরিক যেখানের হোক, তাদের মাঝে সাধারণ একটা স্বভাব হচ্ছেঃ নারী পূজা করা।

মহান আল্লাহ বলেন,
إِن يَدْعُونَ مِن دُونِهِ إِلاَّ إِنَاثًا وَإِن يَدْعُونَ إِلاَّ شَيْطَانًا مَّرِيدًا 
তারা (মুশরিকরা) আল্লাহকে পরিত্যাগ করে শুধু নারীর পূঁজা করে এবং শুধু বিদ্রোহী শয়তানের পূজা করে।
সুরা নিসাঃ ১১৭

উবাই ইবনু কা’ব রাদিয়াল্লাহু আ’নহু বলেন,
“প্রত্যেকটা মূর্তির সাথে একটা করে নারী জ্বিন থাকে।” আহমাদঃ ২১২৬৯, সনদ হাসান, ইবনু কাসীর, তাফসীর সুরাহ নিসাঃ আয়াত-১১৭।

মক্বা বিজয়ের পরে রাসুলু্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম-এর আদেশ অনুযায়ী খালিদ বিন ওয়ালিদ বিখ্যাত “উযযা” মূর্তি ধ্বংস করার সময় সেখান থেকে কালো কুচকুচে রঙ্গের, উস্কু-খুস্কু চুল বিশিষ্ট একটা নগ্ন নারী জ্বিন বের হয়ে আসে। তিনি সেই জিনকে তলোয়ার দিয়ে আঘাত করে দ্বিখন্ডিত করে ফেলেন। নাসাঈ কুবরাঃ ১১৫৪৭, তাবাকাত ইবনু সা’দঃ ২/১৪৫-১৪৬।

কুরআনে আল্লাহ পাক ‘ফিতনাহ’ শব্দ দ্বারা কয়েকটি বিষয়কে বুঝিয়েছেনঃ

(১) পরীক্ষা (test, trail)
(২) আযাব বা শাস্তি punishment, torment)
(৩) শিরক (associating partner with Allah)

যেমন মহান আল্লাহ তাআ’লা বলেন, 
“ফিতনাহ মানুষ হত্যার চাইতে জঘন্য।” 
সুরা আল-বাক্বারাহঃ ১৯১।

এই আয়াতের তাফসীর সম্পর্কে আবুল আলিয়া, মুজাহিদ, আল-হাসান, জাহহাক, ইকরিমা, সাঈদ ইবনে জুবায়ের, কাতাদাহ (আল্লাহ তাদের সকলের প্রতি রহম করুন), কুরআনের তাফসীরকারক হিসেবে প্রসিদ্ধ এই সমস্ত “তাবেয়ী”রা বলেছেন, এই ফিতনার অর্থ হচ্ছেঃ “শিরক”। অর্থাৎ এই আয়াতের উদ্দিষ্ট অর্থ হচ্ছে, শিরকের পাপ মানুষ খুনের চাইতে নিকৃষ্ট। 

সুতরাং, হিন্দুদের দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে যারা শুভেচ্ছা জানাবে, তাদের উৎসবে শরীক হবে, তারা খুনের চাইতে নিকৃষ্ট পাপকে সমর্থন জানালো। 

আজকাল অনেক পূজা মন্ডপে হিন্দুদের চাইতে মুসলমানধারী অনেক মানুষ বেশি দেখা যায়। এইভাবে আস্তে আস্তে এরা এক সময় ‘ঈমান’ থেকে বের হয়ে ‘কুফুরীতে’ নিমজ্জিত হবে।

-----------------------------
(১) কেয়ামতের পূর্বে মুসলিমরা মূর্তি পূঁজা করবেঃ

আবু হুরায়রাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নাবী (সাঃ)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেনঃ ‘‘কিয়ামত ততক্ষণ পর্যন্ত সংঘটিত হবে না, যতক্ষণ ‘যুল-খালাসার’ পাশে দাওস গোত্রের মহিলারা কোমর দুলিয়ে নাচবে।’’
সহীহ বুখারীঃ ৭১১৬; সহীহ মুসলিমঃ ৭১৯০ (৫১/২৯০৬)।

নোটঃ যুল-খালাসাহ হল দাওস গোত্রের মূর্তি। ইয়ামানের যুলখালাস নামক স্থানে দাওস বংশের এই মূর্তি ছিল, কোন বর্ণনায় এই স্থানের নাম তাবালাহ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞতার যুগে তারা এই মূর্তির ইবাদত করতো, সেখানে তাওয়াফ (চক্কর) দেয়া হতো।

(২) মুসলিমদের কোনো কোনো বংশ মূর্তি পূজা আরম্ভ করবে আর কিছু সংখ্যক মুশরিকদের সাথে মিলে যাবেঃ

রাসুল (সাঃ) এর আযাদকৃত দাস সাওবান (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ ‘‘আমি আমার উম্মাতের ব্যাপারে পথভ্রষ্ট ইমাম বা নেতাদেরকে ভয় করছি। অচিরেই আমার উম্মাতের কোনো কোনো গোত্র বা সম্প্রদায় প্রতিমা পূজায় লিপ্ত হবে, এবং আমার উম্মতের কতগুলো গোত্র মুশরিকদের সাথে যোগ দিবে।’’ 
সুনানে আবু দাউদঃ ৪২৫২; সুনানে ইবনু মাযাহঃ ৩৯৫২; 

(৩) কেয়ামতের পূর্বে ‘লাত’ ও ‘উজ্জার’ পূজা এমনভাবে শুরু হবে যেইভাবে জাহেলিয়াতের সুময় (অন্ধকার যুগে) প্রচলিত ছিলঃ
আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কে বলতে শুনেছি, ‘‘রাত ও দিন শেষ হবে না, যতক্ষন না লাত ও উযযা দেবতার পূজা আবার শুরু করা হবে।

এ কথা শুনে আমি (আয়িশায় রাঃ) বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ নাযিল করেছেন, ‘‘তিনি তাঁর রাসুলকে পাঠিয়েছেন হিদায়াত ও সত্য দ্বীন সহকারে, সকল দ্বীনের উপর বিজয়ী করার জন্য, যদিও মুশরিকরা তা অপছন্দ করে।’’ [সুরা আত-তাওবাঃ৩৩]

এই আয়াত নাযিলের পর আমি (আয়িশাহ) তো মনে করেছিলাম যে, এ প্রতিশ্রুতি পূরন করা হবে।

রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বললেনঃ ‘‘তা অবশ্যই হবে। তবে যতদিন আল্লাহ ইচ্ছা করবেন ততদিন পর্যন্ত তা বলবৎ থাকবে। অতঃপর তিনি এক মনোরম বাতাস প্রেরন করবেন। ফলে যাদের অন্তরে সরিষার দানা পরিমান ঈমান আছে তাদের প্রত্যেকেই মৃত্যুবরণ করবে। পরিশেষে যাদের মাঝে কোন কল্যাণ (অর্থাৎ, ঈমান) নেই তারাই শুধু বেঁচে থাকবে। অতঃপর তারা আবার পিতৃ-পুরুষদের ধর্মের (শিরকের) দিকে ফিরে যাবে।’’ সহীহ মুসলিমঃ ৭১৯১ (৫২/২৯০৭)।

মহান আল্লাহ আমাদেরকে এবং আমাদের পরিবারকে প্রকাশ্য ও গোপন, নামে ও বেনামে সকল ধরনের মূর্তি পূজা এবং যাবতীয় শিরকি কর্মকাণ্ড থেকে হেফাযত করুন।

যাই হোক একটি সূরা দিয়ে শেষ করতে চাই যার মাধ্যমে আল্লাহ তা'আলা নিজেই নিজের পরিচয় তুলে ধরেছেন মুহাম্মদ সা. এর মাধ্যমে 
  قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ 
اللَّهُ الصَّمَدُ 
لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ 
وَلَمْ يَكُن لَّهُ كُفُوًا أَحَدٌ 
বলুন, তিনি আল্লাহ, এক, আল্লাহ অমুখাপেক্ষী, তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কেউ তাকে জন্ম দেয়নি এবং তার সমতুল্য কেউ নেই। 
সূরা ইখলাস-১-৪
-----------------------------------------------------------------
লেখকঃ ইসলামিক আর্টিকেল লেখক ও অনলাইন এক্টিভিস্ট।          

Post a Comment

0 Comments