Recent Tube

কুরআন ও হাদীসের আলোকে বিবাহের গুরুত্ব ফজিলত না করার পরিনতি এবং করণীয়- বর্জনীয়। -শামীম আজাদ।

  
কুরআন ও হাদীসের আলোকে বিবাহের গুরুত্ব ফজিলত না করার পরিনতি এবং করণীয়- বর্জনীয়।   
          পর্ব--৬;

পাত্র-পাত্রীর সম্মতি ও অভিভাবকদের সম্মতি এবং দায়িত্ব ;-

বিবাহের শর্তাবলী ও রুকন :

বিবাহের শর্ত হ’ল চারটিঃ

(১) পরস্পর বিবাহ বৈধ এমন পাত্র-পাত্রী নির্বাচন। সূরা নিসাঃ ২৫, সূরা মায়েদাঃ ৫

(২) উভয়ের সম্মতি। বুখারী, মুসলিম, মিশকাত ৩১২৬

(৩) মেয়ের অলী/ অভিভাবক থাকা। আহমাদ, তিরমিযী; মিশকাত ৩১৩০

(৪) দু’জন ন্যায়নিষ্ঠ সাক্ষী থাকা। সূরা ত্বালাকঃ ২, ত্বাবারাণী, ছহীহুল জামে‘ ৭৫৫৮

বিবাহের দু’টি রুকন হ’ল ইজাব ও কবুল।
সূরা নিসা ১৯

এক. ইজাব বা প্রস্তাবনা: এটি হচ্ছে বরের কাছে মেয়ের অভিভাবক বা তার প্রতিনিধির পক্ষ থেকে বিয়ের প্রস্তাব উপস্থান করা। যেমন, ‘আমি অমুককে তোমার কাছে বিয়ে দিলাম’ অথবা এ ধরনের অন্য কোনভাবে প্রস্তাব পেশ করা।

দুই: কবুল বা গ্রহণ করা: এটি বর বা তার প্রতিনিধির সম্মতিসূচক বাক্য। যেমন, ‘আমি কবুল বা গ্রহণ করলাম’ ইত্যাদি।

অর্থাৎ, বর-কনে উভয়ে বিয়ে সংঘটিত হওয়ার ক্ষেত্রে সব ধরনের প্রতিবন্ধকতা থেকে মুক্ত হওয়া।

উক্ত শর্তাবলীর কোন একটি পূরণ না হ’লে বিবাহ শুদ্ধ হবে না। উল্লেখ্য যে, যে মেয়ের অলী/ অভিভাবক নেই, তার অলী/ অভিভাবক  হবেন সরকার।
আহমাদ, তিরমিযী, মিশকাত ৩১৩১

বিবাহ শুদ্ধ হওয়ার জন্য ন্যায়পরায়ণ ঈমানদার দু’জন সাক্ষী থাকবে। সাক্ষীগণ মোহরের পরিমাণ ও বরের স্বীকারোক্তি নিজ কানে শুনবেন। 
আল্লাহ তা'আলা বলেন, 
فَإِذَا بَلَغْنَ أَجَلَهُنَّ فَأَمْسِكُوْهُنَّ بِمَعْرُوْفٍ أَوْ فَارِقُوْهُنَّ بِمَعْرُوْفٍ وَأَشْهِدُوْا ذَوَيْ عَدْلٍ مِّنكُمْ- 
‘যখন তারা ইদ্দতে পৌঁছে যায়, তখন যথাবিধি তাদেরকে রেখে দিবে, নতুবা তাদেরকে যথাবিধি বিচ্ছিন্ন করে দিবে এবং তোমাদের মধ্য হ’তে দু’জন ন্যায়পরায়ণ লোককে সাক্ষী রাখবে’।
সূরা তালাক্বঃ ২

সাক্ষীগণ পুরুষই হ’তে হবে। একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলা কিংবা চারজন মহিলা হ’লেও চলবে না।
শরহুল মুমতে আলা যাদিল মুসতাকনি ১২/৯৭ পৃঃ

কেননা রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেছেন 

لاَ نِكَاحَ إِلاَّ بِوَلِىٍّ وَشَاهِدَىْ عَدْلٍ  
‘বিবাহ সংগঠিত হবে না অভিভাবক ও দু’জন সাক্ষী ব্যতীত’।
বায়হাকী ৭/১১২, ইরওয়া হা/১৮৪৪, শরহুল মুমতে‘ ১২/৯৪

বিবাহের মূল হ’ল পাত্র-পাত্রী বা বর-কনে। যারা সারা জীবন একসাথে ঘর-সংসার করবে। সে কারণে বিবাহের পূর্বে তাদের সম্মতি থাকতে হবে। কোন অবস্থাতেই কোন ছেলে-মেয়েকে তার অসম্মতিতে বিবাহ করতে বাধ্য উচিত নয়। আল্লাহ বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوْا لاَ يَحِلُّ لَكُمْ أَن تَرِثُوْا النِّسَاءَ كَرْهاً 
‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের জন্য বৈধ নয় যে, তোমরা বলপূর্বক নারীদের উত্তরাধিকারী হবে’।
সূরা নিসাঃ ১৯

আল্লাহ তা'আলা বলেন, 
فَانْكِحُواْ مَا طَابَ لَكُم مِّنَ النِّسَاء 
‘তোমরা বিবাহ কর সেই স্ত্রীলোক, যাদেরকে তোমাদের ভাল লাগে’।
সূরা নিসাঃ ৩

فَانكِحُوهُنَّ بِإِذْنِ أَهْلِهِنَّ
অতএব, তাদের অভিভাবকদের অনুমতিক্রমে তাদেরকে বিবাহ কর,
সূরা নিসাঃ ২৫

مُحْصَنٰتٍ غَیْرَ مُسٰفِحٰتٍ وَّ لَا مُتَّخِذٰتِ اَخْدَانٍۚ 
অবাধ যৌন লালসা পরিতৃপ্ত করতে উদ্যোগী না হয় এবং লুকিয়ে লুকিয়ে প্রেম না করে বেড়াই।
সূরা নিসাঃ ২৫

مُحْصِنِیْنَ غَیْرَ مُسٰفِحِیْنَ وَ لَا مُتَّخِذِیْۤ اَخْدَانٍؕ 
তোমরা অবাধ যৌনচারে লিপ্ত হতে পারবে না অথবা লুকিয়ে লুকিয়ে প্রেম করতেও পারবে না।
সূরা মায়েদাঃ ৫

অলী (অভিভাবক) ব্যতীত বিয়ে হয় না 

অভিভাবক (অলী) ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোন বিবাহ নেই। 
সহীহুল জামে-৭৫৫৮

عَنْ أَبِي مُوسَى قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لَا نِكَاحَ إِلَّا بِوَلِيٍّ

আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ অভিভাবক ছাড়া বিবাহ হয় না। 
তিরমিযী ১১০১, আবূ দাউদ ২০৮৫, আহমাদ ১৯০২৪, ১৯২১১, ১৯২৪৭, দারেমী ২১৮২, ২১৮৩, ইরওয়াহ ১৮৩৯, মিশকাত ১৩৩০, আর-রাদ্দু আলা বালীক ১১০, সহীহ আবী দাউদ ১৮১৮, ইবনে মাজাহ ১৮৮১

عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَيُّمَا امْرَأَةٍ لَمْ يُنْكِحْهَا الْوَلِيُّ فَنِكَاحُهَا بَاطِلٌ فَنِكَاحُهَا بَاطِلٌ فَنِكَاحُهَا بَاطِلٌ فَإِنْ أَصَابَهَا فَلَهَا مَهْرُهَا بِمَا أَصَابَ مِنْهَا فَإِنْ اشْتَجَرُوا فَالسُّلْطَانُ وَلِيُّ مَنْ لَا وَلِيَّ لَهُ

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্নিত, তিনি বলেন রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, যে নারীকে তার অভিভাবক বিবাহ দেয়নি তার বিবাহ বাতিল, তার বিবাহ বাতিল, তার বিবাহ বাতিল। স্বামী তার সাথে সহবাস করলে তাতে সে মোহরের অধিকারী হবে। তাদের মধ্যে মতবিরোধ হলে সে ক্ষেত্রে যার অভিভাবক নেই, শাসক তার অভিভাবক। ইবনু মাজাহ-১৮৭৯, তিরমিযী-১১০২, মিশকাত-১৩৩১, ইরওয়া-১৮৪০, দারেমী-২১৮৪

এক মহিলা আরেক মহিলাকে বিবাহ দিতে পারবে না। অথবা মহিলা নিজে নিজেকে বিবাহ দিতে পারবে না। ব্যভিচারিনী নিজে নিজেকে বিবাহ দেয়।

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لَا تُزَوِّجُ الْمَرْأَةُ الْمَرْأَةَ وَلَا تُزَوِّجُ الْمَرْأَةُ نَفْسَهَا فَإِنَّ الزَّانِيَةَ هِيَ الَّتِي تُزَوِّجُ نَفْسَهَا

আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন মহিলা অপর কোন মহিলাকে বিবাহ দিবে না এবং কোন মহিলা নিজেকেও বিবাহ দিবে না। কেননা যে নারী স্বউদ্যোগে বিবাহ করে সে যেনাকারিণী। 
ইবনে মাজাহ ১৮৮২

বিধবাকে তার নির্দেশ গ্রহণ ব্যতীত বিবাহ দেয়া যাবে না এবং কুমারী মেয়েকেও তার সম্মতি গ্রহণ ব্যতীত বিবাহ দেয়া যাবে না।

مُعَاذُ بْنُ فَضَالَةَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ عَنْ يَحْيٰى عَنْ أَبِي سَلَمَةَ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ حَدَّثَهُمْ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لاَ تُنْكَحُ الأَيِّمُ حَتّٰى تُسْتَأْمَرَ وَلاَ تُنْكَحُ الْبِكْرُ حَتّٰى تُسْتَأْذَنَ قَالُوا يَا رَسُوْلَ اللهِ وَكَيْفَ إِذْنُهَا قَالَ أَنْ تَسْكُتَ.

আবূ সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

বর্ণিত। আবূ হুরায়রা (রাঃ) তাদের কাছে বর্ণনা করেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, কোন বিধবা নারীকে তার সম্মতি ব্যতীত বিয়ে দেয়া যাবে না এবং কুমারী মহিলাকে তাঁর অনুমতি ছাড়া বিয়ে দিতে পারবে না। লোকেরা জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহ্‌র রসূল! কেমন করে তার অনুমতি নেয়া হবে। তিনি বললেন, তার চুপ থাকাটাই তার অনুমতি।[৬৯৭০; মুসলিম ১৬/৮, হাঃ ১৪১৯, আহমাদ ৯৬১১] (আধুনিক প্রকাশনী- ৪৭৫৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৬০)

ফুটনোটঃ
[১৫] এ হাদীসের উপর ভিত্তি করে ইমাম আবূ হানীফা (রহঃ) বলেছেন - অলী বিবাহিত ও অবিবাহিত মেয়েকে কোন নির্দিষ্ট ছেলেকে বিয়ে করতে বাধ্য করতে পারে না। অতএব পূর্বে বিবাহিত মেয়েদের কাছ থেকে বিয়ের জন্য রীতিমত আদেশ পেতে হবে এবং অবিবাহিত বালেগ মেয়ে থেকে যথারীতি অনুমতি নিতে হবে। এ সম্পর্কে ইমাম মুসলিম হাদীস বর্ণনা করেছেন- পূর্বে বিবাহিত মেয়েরা তাদের নিজেদের বিয়ের মত জানানোর ব্যপারে তাদের অলী অপেক্ষাও বেশি অধিকার রাখে। আর পূর্বে অবিবাহিত মেয়েদের নিকট তাদের পিতা বিয়ের মত জানতে চাইলে তাদের চুপ থাকাই তাদের অনুমতিজ্ঞাপক। 
কিন্তু বড়ই দুর্ভাগ্যের ব্যাপার বর্তমান অধঃপতিত মুসলিম সমাজে মেয়েদের এ অধিকার বাস্তব ক্ষেত্রে কার্যকর হচ্ছে না। এর অপর একটি দিক বর্তমানে খুবই প্রাবল্য লাভ করেছে। আধুনিক ছেলেমেয়েরা তাদের বিয়ের ব্যাপারে তাদের বাপ-মা-গার্জিয়ানদের কোন তোয়াক্কাই রাখে না। তাদের কোন পরোয়াই করা হয় না। ‘বিয়ে নিজের পছন্দেই ঠিক’ এ কথার সত্যতা অস্বীকার করা হচ্ছে না, তেমনি এ কথাও এ কথাও অস্বীকার করার উপায় নেই, আধুনিক যুবক যুবতীরা যৌবনের উদ্দামতায় অবাধ মেলামেশার গড্ডালিকা প্রবাহে পড়ে দিশেহারা হয়ে যেতে পারে এবং ভাল-মন্দ, শোভন-অশোভন বিচারশূন্য হয়ে যেখানে সেখানে আত্মদান করে বসতে পারে। তাই উদ্দাম-উৎসাহের সঙ্গে সঙ্গে সুস্থ বিচার বিবেচনারও বিশেষ প্রয়োজন। কেননা বিয়ে কেবলমাত্র যৌন পরিতৃপ্তির মাধ্যম নয়; ঘর, পরিবার, সন্তান, সমাজ, জাতি ও দেশ সর্বপরি নৈতিকতার প্রশ্নও তাঁর সাথে গভীরভাবে জড়িত। তাই বিয়ের ব্যপারে ছেলেমেয়ের পিতা বা অলীর মতামতের গুরুত্ব আছে। কেননা সাধারণতঃ অলী-পিতা-মাতা নিজেদের ছেলেমেয়েদের কখনও অকল্যাণকামী হতে পারে না। তাই বাস্তব অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে পিতামাতার মতের গুরুত্ব কিছুতেই অস্বীকার করা চলেনা।
ছেলেরা বিয়েতে অলী তথা অভভাবকের বাধ্য বাধকতা নেই কিন্তু মেয়ের জন্য বাধ্যবাধকতা রয়েছে। মেয়ের বৈধ অলী থাকাবস্থায় তাকে না জানিয়ে নকল অলী বানিয়ে কোর্ট ম্যারেজের মাধ্যমে যত বিবাহ হয়ে থাকে তা সবই বাতিল। তাদের দাম্পত্য জীবন হবে ব্যভিচারী জীবনের মত। তাদের অর্জিত সন্তান সন্ততি জারজ হিসেবে পরিগণিত হবে। এ অভিশপ্ত জীবন থেকে পরিত্রাণের জন্য তাদের বৈধ অলীর মাধ্যমে পুনর্বিবাহ পড়াতে হবে। অনেক সময় দেখা যায় অলী বর্তমান থাকা সত্বেও তাকে গুরুত্ব না দিয়ে এবং তাঁর নির্দেশ ও সম্মতি ব্যতিরেকে অন্য কোন লোককে অলী হিসিবে দাঁড় করিয়ে বিবাহ কার্য সম্পন্ন করা হয়, এটা না-জায়িয। বরং মূল অলী নিজেই অথবা তার অবর্তমানে যাকে দায়িত্ব দিবে সে অলী হিসেবে বিবাহ কার্য সম্পাদন করবে। 
উল্লেখ্য অলী কর্তৃক মেয়ের পক্ষ থেকে পূর্ব অনুমতি বা সমর্থন নিতে হবে ঠিক আছে। কিন্তু বৈধ অলীর [অভিভাবকের] সমর্থন ও অনুমতি ব্যতীত কোন মেয়ের বিয়েই বৈধ হবে না। কারণ আয়েশা হতে বর্ণিত হয়েছে তিনি বলেন, রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ (আরবী) “যে মেয়েকে তার অভিভাবক বিয়ে না দিবে [সে নিজে বিয়ে করলে] তার বিয়ে বাতিল, তার বিয়ে বাতিল, তার বিয়ে বাতিল...।“ [হাদীসটি ইবনু মাজাহ্‌ বর্ণনা করেছেন, হাদীসটি সহীহ্‌, দেখুন “সহীহ্‌ ইবনু মাজাহ্‌” (১৮৭৯)।
অন্য বর্ণনায় আয়েশা(রাঃ) হতে বর্ণিত হয়েছে রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ (আরবী) “যে মেয়েই তার অভিভাবকের অনুমতি ব্যতীত বিয়ে করবে তার বিয়ে বাতিল। এ কথাটি তিনবার উল্লেখ করেন।“ [এ ভাষায় হাদীসটি ইমাম আবূ দাউদ (২০৮৩), তিরমিযী (১১০২) বর্ণনা করেছেন। হাদীসটি সহীহ্‌, দেখুন “সহীহ্‌ আবূ দাউদ”, “সহীহ্‌ তিরমিযী”, “সহীহ্‌ জামে’ইস সাগীর” (২৭০৯) ও “মিশকাত” (৩১৩১)]। 
বুখারী-৫১৩৬, ৬৯৭০, মুসলিম-১৪১৯, তিরমিযী-১১০৭, ইবনু মাজাহ-১৮৭১

কোন অবিবাহিতা মেয়ের জন্য যখন কোন উপযুক্ত পাত্র পাবে তখন তাকে পাত্রস্থ করা থেকে বিলম্ব করা যাবে না

عَنْ عَلِيٍّ أَنَّ النَّبِيَّ ﷺ قَالَ يَا عَلِيُّ ثَلَاثٌ لَا تُؤَخِّرْهَا الصَّلَاةُ إِذَا آنَتْ وَالْجَنَازَةُ إِذَا حَضَرَتْ وَالْأَيِّمُ إِذَا وَجَدْتَ لَهَا كُفْوا. رَوَاهُ التِّرْمِذِىُّ

আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ হে ‘আলী! তিনটি বিষয়ে দেরী করবে নাঃ 
(১) সালাতের সময় হয়ে গেলে আদায় করতে দেরী করবে না। 
(২) জানাযাহ্‌ উপস্থিত হয়ে গেলে তাতেও দেরী করবে না। 
(৩) স্বামীবিহীন নারীর উপযুক্ত বর পাওয়া গেলে তাকে বিয়ে দিতেও দেরী করবে না।  তিরমিযী ১০৭৫, মিশকাতুল মাসাবিহ ৬০৫

ইনশাআল্লাহ   চলবে.....।
--------------------------------- 
লেখকঃ  ইসলামিক  আর্টিকেল  লেখক  ও  অনলাইন  এক্টিভিস্ট । 

Post a Comment

0 Comments