Recent Tube

বিতি কিচ্ছা-৫১ --নুর মুহাম্মদ চৌধূরী।

  
     
                     বিতি কিচ্ছা;
                        র্ব-১;

    থাকবো না আর এই জঙ্গলায়ঃ-

            বেফাস গালাগালি আর চাপাবাজিতে উচ্চতর ডিগ্রির নাম এম বি এ, বি বি এ। আর সেই সাথে মিথ্যাচারিতায় উচ্চতর ডিগ্রি নিলে হওয়া যায় পলিটিক্যাল স্কলার। ইদানিং পলিটিক্যাল স্কলাররা গুজব দিয়ে গুজব দমনের কর্মসুচী বাস্তবায়ন করতে যেয়ে নিজেরাই হচ্ছেন গুজবের উদ্গাতা। হালে আবার বেহেস্তের টিকেট প্রদানে তৎপর আছেন কেউ কেউ। ওরাই আসলে উচ্ছ শিক্ষার বদৌলতে প্রাপ্ত আমাদের উজ্জল নক্ষত্ররাজি। তবে এদের কারো কারো কার্যকলাপ দেখে বাপের জনমেও যে হাসি শিখে নাই সেই পেঁচার মুখেও আজ দারুন হাসি। কথাগুলো জংল্যাণ্ডের মন্ত্রী এম পি দের ব্যাপারে জুৎসই হলেও মেনে নিতে পারছেনা জংল্যাণ্ডের নির্বোধ বাসিন্দা পেঁচাও। তাইতো এই ক্রুর হাসি।

            পরিকল্পনা মন্ত্রীর দায়ীত্বে থাকা মান্যবর শিম্পাঞ্জী মহোদয় ইদানিং বিষম চিন্তিত। চাটুকারিতার নতুন কোন অধ্যায় আজ রচনা করবেন এই ভাবনায় এক পেয়ালা কফির অপেক্ষায় থেকে কিছুটা সময় আয়েশ করে নিচ্ছেন। গুজব হোক বা আজব হোক একটা কথাতো আবিষ্কার করতেই হবে। সুতরাং ঘুম তাড়ানোর মহৌষধ হিসাবে জংলী কফি তার অবশ্যই চাই। 

           আয়েশী শিম্পাঞ্জীর আয়েশ অবলোকনে ভীত সন্ত্রস্ত মৎস্য কুমার পুকুরের গহীনে আশ্রয় খোজতে পেরেশান। কারণ মৎস্যখোর শিম্পাঞ্জী এ সময় খিদের কথা ভুলে না ও থাকতে পারে। শিম্পাঞ্জী  ভাবছে তার সীমানা রাজ্যে সালাম মেম্বার নামক তারই জনৈক শিশ্য কথিত মোবাইল চোরকে বাদুর ঝুলা করে পিটিয়েছে। যা নাকি আজ সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গেছে। তার চিন্তা সালাম মেম্বারকে কিভাবে হেফাজত করা যায়? কারণ দুষ্টের লালন আর শিষ্টের দমন কর্মসুচী বাস্তবায়নে সালাম মেম্বারদের ভুমিকা উল্লেখযোগ্য। যতই হোক ওরা তো তাদের একই দলীয় সদস্য। 

          পৃথীবির আর কোথাও না হোক এই জংল্যাণ্ডে আইন অপ-প্রয়োগের মহেৎসব পুরোদস্তুর উৎসাহিত আছে। নিজ দলীয় চেলা চামুণ্ডাদের জন্য সাত খুন মাফ। স্বয়ং আইন প্রয়োগকারীরাই অপরাধী চক্রের সাথে যোগ সাজস রেখে পুরো জংল্যাণ্ডকে রীতিমত মগের মুল্লুকে পরিনত করে ছাড়ছে। ২৭৯টি এন্ড্রোয়েড চোরাই মোবাইল ফোন সেট সহ গ্রেফতার হয় পুলিশের এ এস আই জাহাঙ্গীর। তবে এই গ্রেফতার আসলে কোন লোক দেখানো নাটক নয় তো? অতীতে এ রকম আরো কত লোক দেখানো নাটিকা অবলোকন করেছে জনতা। তাই ও গুলোতে বেশ ভরষা পাওয়া যায় না। এগুলো আজ নিত্য দিনের ঘটনা। তাইতো নিরিহ পেঁচা ফান করে গান গায় , "থাকবো না আর এই জঙ্গলায়, চলরে মনা অন্য জায়গায়।"

Post a Comment

0 Comments