উত্তর: বন্ধককৃতো বস্তু থেকে উপকার হাসিল করা অথবা ব্যাবহার করা জায়েজ নয়। সেটা মোবাইল, হাতঘড়ি, গহনা, মূল্যবান বস্তু ইত্যাদি হোক না কেনো। কেনোনা, এটা দুই প্রকার সুদের মধ্যে রিবা নাসিয়্যাহ এর অন্তর্ভুক্ত, অর্থাৎ এক প্রকার সুদ।
মুহাম্মাদ ইবনে সিরিন (রহঃ) থেকে বর্ণিতো, তিনি বলেন,
اسْتَقْرَضَ رَجُلٌ مِنْ رَجُلٍ خَمْسَ مِائَةِ دِينَارٍ عَلَى أَنْ يُفْقِرَهُ ظَهْرَ فَرَسِهِ فَقَالَ ابْنُ مَسْعُودٍ : مَا أَصَبْتَ مِنْ ظَهْرِ فَرَسِهِ فَهُوَ رِبًا.
এক লোক আরেক লোক থেকে পাঁচশোতো দীনার ঋণ নিয়েছে এই মর্মে যে, সে তার কাছ থেকে একটি ঘোড়া বন্ধক নিয়ে তাতে সে আরহণ করবে। তখন আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) ওই ব্যক্তিকে বললেন, তুমি তার ঘোড়ার পিঠ থেকে (আরোহণ করে) যে উপকৃতো হয়েছো তা সুদের অন্তর্ভুক্ত। (মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক ১৪১৭৫)।
❇লেনদেন, ক্রয়বিক্রয় অথবা টাকা-পয়সা ধার দেওয়ার শর্তে বন্ধক রাখা জায়েজ।
আয়িশা (রাঃ) বলেছেন,
أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم اشْتَرَى مِنْ يَهُودِيٍّ طَعَامًا إِلَى أَجَلٍ وَرَهَنَهُ دِرْعَهُ.
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জনৈক ইয়াহূদীর কাছ হতে নির্দিষ্ট মেয়াদে খাদ্য শস্য খরিদ করেন এবং নিজের বর্ম তার কাছে বন্ধক রাখেন। (সহিহ বুখারী ২৫০৯)।
0 Comments