Recent Tube

দ্বীনি প্রশ্নোত্তর।

📣 Sohih Amol Reminder📣

   কিছু গুরুত্বপূর্ণ হাদী

 বিদআত কি:

 বিদআত বলা হয় দ্বীন ও ইবাদতে নব আবিষ্কৃত কাজকে। অর্থাৎ দ্বীন বা ইবাদত মনে করে করা এমন কাজকে বিদআত বলা হবে,
যে কাজের কুরআন ও সহীহ সুন্নাহর কোন দলীল নেই।

 রাসুলুল্লাহ (সঃ) বলেন,
“তোমরা (দ্বীন) নব উদ্ভাবিত কর্মসমূহ (বিদআত) থেকে বেঁচে থাকবে। 
কারণ, প্রত্যেক বিদআতই ভ্রষ্টতা।”
 (আবূ দাঊদ, তিরমিযী)    

♥️ “যে ব্যক্তি আমার এই দ্বীনে (নিজের পক্ষ থেকে) কোন নতুন কিছু উদ্ভাবন করল--- যা তাঁর মধ্যে নেই, তা প্রত্যাখ্যানযোগ্য।” 
 (বুখারী ও মুসলিম)    

 মুসলিমের অন্য এক বর্ণনায় আছে,
 “যে ব্যাক্তি এমন কাজ করল, যে ব্যপারে আমাদের নির্দেশ নেই, তা বর্জনীয়।”

বিদআত হচ্ছে পবিত্র কুরআন ও সহীহ হাদীসের দলিল বিহীন আমল  যা ফজিলতের আশায় করা হয়।
বলা বাহুল্য, নব আবিষ্কৃত পার্থিব কোন বিষয়কে বিদআত বলা যাবে না। 
যেমন শরীয়াতে নিষিদ্ধ কোন কাজকে বিদআত বলা হয় না। বরং তাকে অবৈধ, হারাম বা মাকরূহ বলা হয়।

 ♥️‘নামাযের ভেতর দো‘আর সময় আকাশের দিকে দৃষ্টি ক্ষেপণকারীদের সতর্ক হওয়া উচিত তারা যেন তা দ্বিতীয়বার না করে। 
অন্যথায় তাদের দৃষ্টি হৃত-লুন্ঠিত হবে’’। (মুসলিম ৪২৯)

   ♥️‘‘কারোর জন্য হালাল হবে না যে, সে কোন কিছু দান করে তা আবার ফেরত নিবে। 
তবে পিতা কোন কিছু নিজ সন্তানকে দিয়ে তা আবার ফেরত নিতে পারে। 
যে ব্যক্তি কোন কিছু দান করে তা আবার ফেরত নেয় তার দৃষ্টান্ত সে কুকুরের ন্যায় যে পেট ভরে খেয়ে বমি করে দেয়। অতঃপর সে বমিগুলো আবার নিজে খায়’’।
(আবূ দাউদ ৩৫৩৯; নাসায়ী ৩৬৯২; ইব্নু মাজাহ্ ২৪০৬, ২৪০৭, ২৪১৩, ২৪১৪, ২৪১৫)

  ♦️‘‘তোমরা কবরের উপর বসোনা এবং 
উহার দিকে ফিরে নামাযও পড়ো না’’। 
(মুসলিম ৯৭২; আবূ দাউদ ৩২২৯ ইব্নু খুযাইমাহ্, হাদীস ৭৯৩)

   ♥️‘‘যে ব্যক্তি কোন জাতির সাথে যে কোনভাবে সাদৃশ্য বজায় রাখলো সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত’’।     (আবূ দাউদ ৪০৩১)

 ♥️যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য একটি মসজিদ নির্মাণ করে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে একটি গৃহ নির্মাণ করেন।(মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/৬৯৭, ‘ছালাত’ অধ্যায়-৪, অনুচ্ছেদ-৭।)

 📣 Sohih Amol Reminder📣

♥️শিরক করলে মহান আল্লাহকে অপমান করা হয়,
শিরক করলে পূর্বের সকল আমল নষ্ট হয়ে যায়,

♦️শিরক এমন একটি কাজ যা করলে ঈমান ও আমল সম্পূর্ণরূপে নষ্ট হয়ে যায়।

 রোগ বালাই থেকে রক্ষা করবে এমন নিয়তে তাবিজ,সুতা, আংটি,পিতলের বালা, শামুকের মালা শরীরে ঝোলানো শিরক।

মহান আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে কসম/মানত করা, মাজারে ওরশে মানত করা শিরক।

কোনো কিছুতে শুভ-অশুভ,কুলক্ষন আছে এমন বিশ্বাস করা শিরক।

খোদা বলে মহান আল্লাহকে ডাকবেন না। এটা মহান আল্লাহর গুনবাচক নাম নয়। এটা বলা শিরক,এমনটাই বলেছেন অনেক বিজ্ঞ আলেম।
মহান আল্লাহর পবিত্র গুনবাচক নামে আল্লাহর জিকির করবেন।

"আপনি চাইলে ও আল্লাহ চাইলে এই কাজটি হবে" এমন কথা বলা শিরক।

"তোর ভবিষ্যৎ অন্ধকার", "আমার পোড়া কপাল","কপালে শনি লাগছে" এমন কথা বলবেন না।

"কারো বিষয়ে আলোচনার সময় সে হঠাৎ চলে আসলে অনেকেই বলে তুই অনেক দিন বাঁচবি,তোর কথাই বলছিলাম" এমন কথা বলবেন না। কারণ হায়াত মউতের মালিক আল্লাহ।

 মহিলাদের নাকফুল, হাতে চুড়ি না পড়লে স্বামীর আয়ু কমে যায় এমন ধারণা করা শিরক।
এসব উদ্দেশ্যে নাকফুল, চুড়ি পড়বেন না।

  জড় বা মৃত বস্তু (পতাকা, শহীদ মিনার, স্মৃতিসৌধ, মাজার) বা মৃত ব্যক্তির সামনে মাথা নত করা,তার সামনে নীরবতা পালন করা,তাকে সম্মান দেখানো শিরক।

  গনকের কাছে যাওয়া ও গনক ভবিষ্যৎ জানে এমন বিশ্বাস করা শিরক।
এছাড়া আরো অনেক শিরক বিদ্যমান আমাদের সমাজে।

  ইয়া আল্লাহ্, আমাদেরকে সকল শিরক থেকে বাঁচার তৌফিক দান করুন।

  তওবা শুদ্ধ হবার শর্তাবলী :

 আল্লাহ ও বান্দার মধ্যকার বিষয় হ’লে তওবা শুদ্ধ হওয়ার শর্ত হ’ল তিনটি।
(১) ঐ পাপ থেকে বিরত থাকবে
(২) কৃত অপরাধের জন্য অনুতপ্ত হবে
(৩) ঐ পাপ পুনরায় না করার ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হবে।
 আর যদি পাপটি বান্দার সাথে সম্পৃক্ত হয়, 
 তাহ’লে তাকে ৪র্থ শর্ত হিসাবে বান্দার নিকটে ক্ষমা চাইতে হবে। কোন হক বা কিছু পাওনা থাকলে তাকে তা বুঝে দিতে হবে। 
নইলে তার তওবা শুদ্ধ হবে না’।


তওবার দো‘আ :
আস্তাগফিরুল্লা-হাল্লাযী লা ইলা-হা ইল্লা হুওয়াল হাইয়ুল ক্বাইয়ূমু ওয়া আতূবু ইলাইহে’

 (আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি। যিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। যিনি চিরঞ্জীব ও বিশ্বচরাচরের ধারক এবং আমি তাঁর দিকেই ফিরে যাচ্ছি (বা তওবা করছি)।

(তিরমিযী, আবুদাঊদ, মিশকাত হা/২৩৫৩)

Post a Comment

0 Comments