Recent Tube

তাহিয়্যাতুল ওযুর সালাত চমৎকার একটি সুন্নত: -- ব্যারিস্টার নাজির আহমেদ।



 
তাহিয়্যাতুল ওযুর সালাত চমৎকার একটি সুন্নত:

তাহিয়্যাতুল ওযু তথা ওযু করার পর দু’রাকাত সালাত  আদায় করা একটি গুরুত্বপূর্ণ নফল এবাদত যা আমরা সহজেই আদায় করতে পারি। দরকার শুধুমাত্র ইচ্ছার। এটি একটি চমৎকার সুন্নত। এটি নিয়মিত আদায়ের মাধ্যমে কোথায় পৌঁছা যায় তা কল্পনার বাহিরে! এটির সওয়াব ও গুরুত্ব অকল্পনীয়। রাসুলুল্লাহ (সা:) বলেছেন, “যে ব্যক্তি এভাবে (সুন্দর করে) অজু করবে, তারপর দুই রাকাত নামাজ আদায় করবে, যাতে (দুনিয়ার) কোনো খেয়াল করবে না, তার পেছনের সকল (ছগিরা) গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।” (সহীহ বুখারি, হাদিস: ১৫৯; সহীহ মুসলিম, হাদিস: ২২৬)। অপর সহীহ হাদিসে এসেছে প্রিয় নবী (সা:) বলেন, “যে ব্যক্তি উত্তমরূপে অজু করল এবং নিষ্ঠার সঙ্গে দুই রাকাত নামাজ আদায় করল তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব।” (সহীহ মুসলিম, হাদিস: ২৩৪)।

তাহিয়্যাতুল ওযুর সালাতের মাধ্যমে শুধু গুনাহই মাফ হয় না বরং এ আমলের দ্বারা মর্যাদাও বৃদ্ধি পায়। চিন্তা করতে পারেন নিয়মিত তাহিয়্যাতুল ওযুর সালাত আদায়ের অভ্যাস করে বেলাল (রা:) কোথায় পৌঁছেছিলেন? একদিন ফজরের সালাতের সময় বেলাল (রা:)-কে নবী (সা:) বললেন, “বেলাল! আমাকে বল দেখি, ইসলামে দাখেল হওয়ার পর থেকে তোমার কোন্ আমলটি তোমার কাছে (সওয়াবের আশার দিক থেকে) সবচেয়ে উত্তম বলে মনে হয়? কারণ, আমি জান্নাতে আমার সামনে সামনে তোমার জুতার আওয়াজ শুনেছি।” বেলাল (রা:) বললেন, “তেমন কোনো আমল আমার নেই; যার দ্বারা আমি (বিপুল সওয়াবের) আশা করতে পারি। তবে দিবা-রাত্রির যখনই অজু করি; তখনই সেই অজুর মাধ্যমে যে কয় রাকাত সম্ভব হয়, নামাজ আদায় করি।” (সহীহ বুখারি, হাদিস: ১১৪৯; সহীহ মুসলিম, হাদিস: ২৪৫৮)।

নিষিদ্ধ ও মাকরূহ সময় ছাড়া যে কোন সময় অযুর পর এই দু’রাকাত সালাত বা নামায় আদায় করা যায়। আসুন আমরা সব সময় ওযু অবস্থায় থাকার চেষ্টা করি। আর যখন ওযু চলে যায়, তখন নতুন করে ওযু করি এবং ওযু করার সাথে সাথে দু’রাকাত তাহিয়্যাতুল ওযুর সালাত আদায়ের চেষ্টা করি। মহান মা’বুদ আমাদের ইচ্ছাশক্তি ও সক্ষমতা দান করুন। আ-মীন।

Post a Comment

0 Comments