Recent Tube

কাঁকড়া খাওয়ার বিধান কি? এটি কি হালাল, হারাম নাকি মাকরুহ? কাঁকড়া চাষ করে বিদেশে রফতানি করাও কি হারাম হবে? ব্যাখ্যা সহ জানালে খুব উপকৃত হব।



 

প্রশ্ন: কাঁকড়া খাওয়ার বিধান কি? এটি কি হালাল, হারাম নাকি মাকরুহ? কাঁকড়া চাষ করে বিদেশে রফতানি করাও কি হারাম হবে? ব্যাখ্যা সহ জানালে খুব উপকৃত হব।
ত্ত:
ইসলামের দৃষ্টিতে ক্ষতিকর ও হিংস্র প্রাণী ব্যতীত সমস্ত সামুদ্রিক প্রাণী-ই খাওয়া হালাল। সুতরাং এ দৃষ্টিতে কাঁকড়াও হালাল প্রাণীর অন্তর্ভূক্ত।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
..أُحِلَّ لَكُمْ صَيْدُ الْبَحْرِ وَطَعَامُهُ
“তোমাদের জন্য সমুদ্রের শিকার ও সুমুদ্রের খাদ্য হালাল করা হয়েছে তোমাদের উপকারার্থে”। (সূরা মায়িদাহ: ৯৬)

★★★ আল্লাহ তায়ালা আরও বলেন: قُلْ لَا أَجِدُ فِي مَا أُوحِيَ إِلَيَّ مُحَرَّمًا إِلَّا أَنْ يَكُونَ مَيْتَةً أَوْ دَمًا مَسْفُوحًا أَوْ لَحْمَ خِنْزِيرٍ فَإِنَّهُ رِجْسٌ
“আপনি বলে দিনঃ যা কিছু বিধান ওহীর মাধ্যমে আমার কাছে পৌঁছেছে, তন্মধ্যে আমি কোন হারাম খাদ্য পাই না কোন ভক্ষণকারীর জন্যে, যা সে ভক্ষণ করে; কিন্তু মৃত অথবা প্রবাহিত রক্ত অথবা শুকরের মাংস এটা অপবিত্র অথবা অবৈধ। (সূরা আনআম:৫)
★★★ রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সাহাবী শুরাইহ বলেন; পানিতে বসবাসকারী সমস্ত প্রাণী খাওয়া বৈধ।” (বুখারী ৫/২০৯১)

★★★ রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরও বলেন:« هو الطهور ماؤه الحل ميتته »
“নদী বা সাগরের পানি পবিত্র, এবং পানিতে বসবাসকারী মৃতপ্রাণীও খাওয়া বৈধ।” তিরমিযী ৬৯, আবু দাউদ ৮৩, হাদীসটি আলবানী (রহ.) ইরওয়াতে সহীহ বলেছেন: ১/২১)

★★★ রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা‘আলা যা হালাল করেছেন, তা হালাল, আর যা হারাম করেছেন, তা হারাম, আর যে বিষয়ে নীরবতা অবলম্বন করেছেন, তা মাফ করা হয়েছে। সুতরাং তোমরা আল্লাহর পক্ষ থেকে মাফকৃত বস্তু গ্রহণ কর। কেননা আল্লাহ কোন বিষয়ে ভুলেন না। অতঃপর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এই আয়াত তেলাওয়াত করেন। আর তোমার রব্ব কিছুই ভুলেন না।” (সূরা মারইয়ম : ৬৪)

★★★ তাছাড়া ইসলামের একটি অন্যতম মূলনীতি হল, দুনিয়াবী সকল বস্তুই বৈধ যতক্ষণ না ইসলামে সে ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা পাওয়া যায়। আর কাঁকড়া খাওয়ার ব্যাপারে কোন নিষেধাজ্ঞা কুরআন-সুন্নায় নিষেধাজ্ঞা পাওয়া যায় না।
সুতরাং উপরোক্ত আলোচনা থেকে এ কথা প্রতিয়মান হল যে, কাঁকড়া খাওয়া বৈধতার ব্যাপারে কোন বাধা নেই। মাকরূহ বলাও প্রমাণ সাপেক্ষ নয়। তবে কারও যদি তা খেতে রুচি না হয় তবে সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু এটাকে হারাম বা মাকরূহ বলার কোন যৗক্তিকতা নাই।
কাঁকড়া চাষ ও রপ্তানী করা
ইসলামের দৃষ্টিতে যে জিনিস খাওয়া হালাল তার চাষ, ব্যবসা বা তা রপ্তানী করাও বৈধ। সুতরাং কাঁকড়া খাওয়া যেহেতু হালাল সেহেতু তা চাষ করা বা বিদেশে রপ্তানী করাও বৈধ।আল্লাহু আলাম।
 --------------------------
 উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সউদী আরব।

Post a Comment

0 Comments