মানুষ ফতুয়া খুঁজে বেড়ায়, জামায়াত ইসলামী আসলে ইসলামী দল কিনা? জামায়াতের প্রতিষ্ঠাতা সাইয়েদ আবুল আ'লা মওদূদী কোন আলিম ছিলেন কিনা?
জাময়াতের নেতা-কর্মী এবং অন্যান্য ইসলামী দলের নেতা-কর্মীদের দিকে একটু তাকালেই উত্তরটা মিলিয়ে নেয়া যাবে।
জামায়াতের নেতা-কর্মীদের জন্য ইসলাম বিদ্বেষী যে হাসিনা সরকারের জেলখানাগুলো ,ফাঁসির মঞ্চগুলো প্রস্তুত অথচ,সে হাসিনার সাথে অন্যান্য ইসলামী দলের নেতা-কর্মীদের সম্পর্ক অত্যন্ত সোহাদ্যপূর্ণ, আন্তরিক।
এখন এটাও মিলিয়ে নেয়া সহজ হবে যে,সাইয়েদ আবুল আ'লা মওদূদী কোন মাপের আলিম ছিলেন যার প্রতিষ্ঠিত জামায়াতের নেতা-কর্মীদের ঈমান বাতিলের সাথে আপোস করে না।তিনি কোন মাপের আলিম ছিলেন যিনি কুরআনের কথা বলতে গিয়ে অংখ্যবার জেলে গিয়েছেন,ফাঁসির আদেশ শুনে বিচলিত হন নি।তিনি কোন আলিম ছিলেন যার ক্ষুরধার লিখনি বাতিলের বুকে কাঁপন ধরায়।
যে সমস্ত কথিত হক্কনী আলিম আজীন বাতিলের পদলেহন করে এলো,সকালে মুখ ফসকে একটি হক কথা বলে চাপের মুখে তা আবার বিকেলেই অস্বীকার করে নিল তারা যদি জামায়তকে ইসলামী দল বলে অস্বীকার না করে,বিরুদ্ধে ফতুূয়া না দেয় তবে তাদের জন্য এক দিকে যেমন দরবারের বেতনভাতা বন্ধ হয়ে যাবে,অন্যদিকে নিজেদের জারিজুরি জাতির নিকটে প্রকাশ পেয়ে গিয়ে হাত পেতে ভিক্ষে চাওয়া ব্যবসাও বন্ধ হয়ে যাবে।
জামায়াতকে বাতিল ফতুয়া দিয়ে যদি দরবারি সেলামী পাওয়া যায়,অবৈধ সরকারের ছত্রছায়াতে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলা যায়,নিরুদ্বেগ, নির্বিঘ্নে জীবন অতিবাহিত করা যায়,তাহলে এই আরাম আয়েশের জীবন ছেড়ে কাঁটা বিছানো পথে চলবার দরকার কি?
দ্বীন কায়েমের পথ তো মসৃণ,মোলায়েম নয়,এই পথ বড় সরু,দুর্গম,কন্টাকৃর্ণ।এই পথে যারাই যখন অগ্রসর হয়েছে তখন তাদের উপর পাহাড়সম বিপদ নেমে এসেছে।অপবাদ,অপপ্রচারে নেমে পড়েছে কাফির,মুশরিক আর মুনাফিকগোষ্ঠী এক হয়ে।
এই মুনাফিকরাই একদিকে বাতিলের সাথে বসে হালুয়ারুটি ভক্ষণ করবে আবার ইসলাম কায়েমও করবে।বড় আজিব, অদ্ভূদ প্রতারণা মাইরি!
0 Comments