Recent Tube

নবীদের দু‘আ ; শামীম আজাদ।


       
               নবীদের দু‘আ 



  আদম আলাইহিস্ সালাম ও তার স্ত্রী ক্ষমা চেয়ে দু‘আ করেছিলেন 

رَبَّنَا ظَلَمْنَا أَنْفُسَنَا وَإِنْ لَمْ تَغْفِرْ لَنَا وَتَرْحَمْنَا لَنَكُونَنَّ مِنَ الْخَاسِرِينَ
  হে আমাদের রব! আমরা নিজেদের উপর অন্যায় করেছি, আর যদি আপনি আমাদেরকে ক্ষমা না করেন আর আমাদেরকে রহমত না করেন, তাহলে অবশ্যই আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাব। 
আ‘রাফ, ৭/২৩

  নূহ আলাইহিস্ সালামের দু‘আ

رَبِّ اغْفِرْ لِي وَلِوَالِدَيَّ وَلِمَنْ دَخَلَ بَيْتِيَ مُؤْمِنًا وَلِلْمُؤْمِنِينَ وَالْمُؤْمِنَاتِ وَلا تَزِدِ الظَّالِمِينَ إِلا تَبَارًا
  হে আমার রব! আমাকে ও আমার পিতা-মাতাকে ক্ষমা করুন, আর যে মুমিন হয়ে আমার ঘরে প্রবেশ করে তাকেও ক্ষমা করুন এবং মুমিন পুরুষদেরকে ও মুমিন নারীদেরকে ক্ষমা করুন এবং যালেমদের ধ্বংস ছাড়া অন্য কিছু বৃদ্ধি করবেন না। নূহ, ৭১/২৮

رَبِّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ أَنْ أَسْأَلَكَ مَا لَيْسَ لِي بِهِ عِلْمٌ وَإِلا تَغْفِرْ لِي وَتَرْحَمْنِي أَكُنْ مِنَ الْخَاسِرِينَ
  হে আমার রব! নিশ্চয় আমি আপনার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি যে সম্বন্ধে আমার জ্ঞান নেই সে সম্পর্কে প্রশ্ন করা হতে, আর যদি আমাকে ক্ষমা ও রহমত না করেন তাহলে আমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাব। হুদ, ১১/৪৭

   নূহ আলাইহিস্ সালাম নৌকায় উঠার সময় দু‘আ করেছিলেন 
بِسْمِ اللَّهِ مَجْرِاهَا وَمُرْسَاهَا إِنَّ رَبِّي لَغَفُورٌ رَحِيمٌ
আল্লাহর নামে এর চলা ও থামা, নিশ্চয় আমার রব অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। হুদ, ১১/৪১

  নূহ আলাইহিস্ সালাম নৌকায় উঠার পর দু‘আ করেছিলেন
رَبِّ أَنْزِلْنِي مُنْزَلا مُبَارَكًا وَأَنْتَ خَيْرُ الْمُنْزِلِينَ
  হে আমার রব! আমাকে অবতরণস্থানে বরকতপূর্ণভাবে অবতরণ করান, আপনি উত্তম অবতারণকারী। আল-মু’মিনুন, ২৩/২৯

  ইবরাহীম আলাইহিস্ সালামের দু‘আ 
رَبِّ اجْعَلْ هَذَا بَلَدًا آمِنًا وَارْزُقْ أَهْلَهُ مِنَ الثَّمَرَاتِ مَنْ آمَنَ مِنْهُمْ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ
  হে আমার রব! আপনি একে নিরাপদ নগরীতে পরিণত করুন এবং তার অধিবাসীদের মধ্যে যারা আল্লাহ ও পরকালের প্রতি ঈমান আনে তাদেরকে সব রকম ফল-মূল হতে রিযিক দান করুন। আল-বাকারাহ, ২/১২৬

  رَبَّنَا تَقَبَّلْ مِنَّا إِنَّكَ أَنْتَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ
 হে আমাদের রব! আমাদের থেকে আপনি কবুল করুন, নিশ্চয়ই আপনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞানী। আল-বাকারাহ, ২/১২৭

رَبَّنَا وَاجْعَلْنَا مُسْلِمَيْنِ لَكَ وَمِنْ ذُرِّيَّتِنَا أُمَّةً مُسْلِمَةً لَكَ وَأَرِنَا مَنَاسِكَنَا وَتُبْ عَلَيْنَا إِنَّكَ أَنْتَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ
  হে আমাদের রব! আমাদেরকে আপনার অনুগত করুন এবং আমাদের বংশধরদের মধ্য থেকে আপনার অনুগত একটি দল বানিয়ে দিন এবং আমাদেরকে আমাদের ইবাদাতের পন্থা দেখিয়ে দিন এবং আমাদের উপর ক্ষমাশীল হন। নিশ্চয় আপনি তওবা কবুলকারী, পরম দয়ালু। আল-বাকারাহ, ২/১২৮

رَبَّنَا وَابْعَثْ فِيهِمْ رَسُولا مِنْهُمْ يَتْلُو عَلَيْهِمْ آيَاتِكَ وَيُعَلِّمُهُمُ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَيُزَكِّيهِمْ إِنَّكَ أَنْتَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ
  হে আমাদের রব, তাদের মধ্যে তাদের থেকে একজন রাসূল প্রেরণ করুন, যে তাদের নিকট আপনার আয়াতসমূহ তিলওয়াত করবে এবং তাদেরকে কিতাব ও সুন্নাত শিক্ষা দিবে আর তাদেরকে পবিত্র করবে; নিশ্চয় আপনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। আল-বাকারাহ, ২/১২৯

أَسْلَمْتُ لِرَبِّ الْعَالَمِينَ
 আমি বিশ্বজগতের রবের নিকট আত্মসমর্পণ করলাম। আল-বাকারাহ, ২/১৩১

رَبِّ اجْعَلْ هَذَا الْبَلَدَ آمِنًا وَاجْنُبْنِي وَبَنِيَّ أَنْ نَعْبُدَ الأصْنَامَ
  হে আমার রব! এই শহরকে নিরাপদ করে দিন এবং আমাকে ও আমার সন্তানদেরকে মূর্তি পূজা করা থেকে দূরে রাখুন। ইবরাহীম, ১৪/৩৫

رَبَّنَا إِنِّي أَسْكَنْتُ مِنْ ذُرِّيَّتِي بِوَادٍ غَيْرِ ذِي زَرْعٍ عِنْدَ بَيْتِكَ الْمُحَرَّمِ رَبَّنَا لِيُقِيمُوا الصَّلاةَ فَاجْعَلْ أَفْئِدَةً مِنَ النَّاسِ تَهْوِي إِلَيْهِمْ وَارْزُقْهُمْ مِنَ الثَّمَرَاتِ لَعَلَّهُمْ يَشْكُرُونَ
  হে আমাদের রব, নিশ্চয় আমি আমার কতক বংশধরদেরকে অনুর্বর উপত্যকায় তোমার পবিত্র ঘরের নিকট বসতি স্থাপন করালাম, হে আমাদের রব, যাতে তারা সালাত কায়েম করে, সুতরাং কিছু মানুষের অন্তর আপনি তাদের দিকে ঝুঁকিয়ে দিন এবং তাদরেকে ফল-ফলাদি থেকে জীবিকা প্রদান করুন, যাতে করে তারা শুকরিয়া আদায় করে। ইবরাহীম, ১৪/৩৭

رَبَّنَا إِنَّكَ تَعْلَمُ مَا نُخْفِي وَمَا نُعْلِنُ وَمَا يَخْفَى عَلَى اللَّهِ مِنْ شَيْءٍ فِي الأرْضِ وَلا فِي السَّمَاءِ
 হে আমাদের রব! নিশ্চয় আপনি জানেন যা আমরা গোপনে করি ও যাহা আমরা প্রকাশ করি এবং আল্লাহর কাছে কোন কিছুই গোপন নেই, না জমিনে আর না আসমানে। ইবরাহীম, ১৪/৩৮

الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي وَهَبَ لِي عَلَى الْكِبَرِ إِسْمَاعِيلَ وَإِسْحَاقَ إِنَّ رَبِّي لَسَمِيعُ الدُّعَاءِ
   সকল প্রশংসা আল্লাহর, যিনি আমাকে বৃদ্ধ বয়সে ঈসমাঈল ও ইসহাককে দান করেছেন, নিশ্চয় আমার রব দু‘আ শ্রবণকারী। ইবরাহীম, ১৪/৩৯

رَبِّ اجْعَلْنِي مُقِيمَ الصَّلاةِ وَمِنْ ذُرِّيَّتِي رَبَّنَا وَتَقَبَّلْ دُعَاءِ
    হে আমার রব! আমাকে সালাত কায়েমকারী বানান ও আমার বংশধরদের মধ্য থেকেও, হে আমাদের রব! আর আপনি আমার দু‘আ কবুল করুন। ইবরাহীম, ১৪/৪০

رَبَّنَا اغْفِرْ لِي وَلِوَالِدَيَّ وَلِلْمُؤْمِنِينَ يَوْمَ يَقُومُ الْحِسَابُ
  হে আমাদের রব! আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে ও মুমিনদেরকে সেদিন ক্ষমা করুন, যেদিন হিসাব কায়েম হবে। ইবরাহীম, ১৪/৪১

وَإِذَا مَرِضْتُ فَهُوَ يَشْفِينِ وَالَّذِي يُمِيتُنِي ثُمَّ يُحْيِينِ وَالَّذِي أَطْمَعُ أَنْ يَغْفِرَ لِي خَطِيئَتِي يَوْمَ الدِّينِ
  আর যখন আমি রোগাক্রান্ত হই তখন তিনিই আমাকে আরোগ্য দান করেন আর যিনি আমাকে মৃত্যু দেবেন এরপর আবার তিনি আমাকে জীবত করবেন; আর আমি আশা করি বিচারের দিবসে তিনি আমার ক্রটিসমূহ ক্ষমা করবেন। আশ্-শু‘আরা, ২৬/৮০-৮২

رَبِّ هَبْ لِي حُكْمًا وَأَلْحِقْنِي بِالصَّالِحِينَ وَاجْعَلْ لِي لِسَانَ صِدْقٍ فِي الآخِرِينَ وَاجْعَلْنِي مِنْ وَرَثَةِ جَنَّةِ النَّعِيمِ
  হে আমার রব! আমাকে প্রজ্ঞা দান করুন এবং আমাকে সৎকর্মশীলদের সাথে মিলিত করুন; এবং পরবর্তীদের মধ্যে আমাকে সত্যভাষী করুন এবং আমাকে নেয়ামতে ভরা জান্নাতের অধিকারীদের অন্তর্ভুক্ত করুন। আশ্-শু‘আরা, ২৬/৮৩-৮৫

رَبِّ هَبْ لِي مِنَ الصَّالِحِينَ
  হে আমার রব! আমাকে সৎকর্মশীল সন্তান দান কর। আস-সাফফাত, ৩৭/১০০

رَبَّنَا عَلَيْكَ تَوَكَّلْنَا وَإِلَيْكَ أَنَبْنَا وَإِلَيْكَ الْمَصِيرُ رَبَّنَا لا تَجْعَلْنَا فِتْنَةً لِلَّذِينَ كَفَرُوا وَاغْفِرْ لَنَا رَبَّنَا إِنَّكَ أَنْتَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ
  হে আমাদের রব! আমরা আপনার উপরই ভরসা করছি, এবং আপনারই দিকেই আমরা অভিমুখী এবং আপনার কাছে প্রত্যাবর্তনস্থল। হে আমাদের রব! আপনি আমাদেরকে অবিশ্বাসীদের জন্য ফিতনার কারণ করবেন না এবং আমাদের ক্ষমা করুন; হে আমাদের রব, নিশ্চয় আপনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। আল-মুমতাহিনাহ, ৬০/৪-৫

  লুত আলাইহিস্ সালামের দু‘আ
رَبِّ نَجِّنِي وَأَهْلِي مِمَّا يَعْمَلُونَ
হে আমার রব! তারা যা করছে তা হতে আমাকে এবং আমার পরিবারবর্গকে রক্ষা করুন। আশ্-শু‘আরা, ২৬/১৬৯

رَبِّ انْصُرْنِي عَلَى الْقَوْمِ الْمُفْسِدِينَ
হে আমার রব! বিপর্যয় সৃষ্টিকারী লোকদের উপর আমাকে সাহায্য করুন। ‘আল-আনকাবূত, ২৯/৩০

  ইউসুফ আলাইহিস্ সালামের দু‘আ 
مَعَاذَ اللَّهِ إِنَّهُ رَبِّي أَحْسَنَ مَثْوَايَ إِنَّهُ لا يُفْلِحُ الظَّالِمُونَ
আমি আল্লাহর আশ্রয় চাই, নিশ্চয় তিনি আমার রব, তিনি আমার থাকার উত্তম ব্যবস্থা করেছেন, নিশ্চয় যালিমগণ সফল হয় না। ইউসুফ, ১২/২৩

رَبِّ السِّجْنُ أَحَبُّ إِلَيَّ مِمَّا يَدْعُونَنِي إِلَيْهِ وَإِلا تَصْرِفْ عَنِّي كَيْدَهُنَّ أَصْبُ إِلَيْهِنَّ وَأَكُنْ مِنَ الْجَاهِلِينَ
 হে আমার রব, তারা আমাকে যেদিকে আহবান করছে তার চাইতে কারাগারই আমি বেশি পছন্দ করি, আর আপনি যদি আমার থেকে তাদের ছলনা না ফিরান তাহলে আমি তাদের দিকে আকৃষ্ট হয়ে পড়ব এবং আমি অজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাব। ইউসুফ, ১২/৩৩

فَاطِرَ السَّمَاوَاتِ وَالأرْضِ أَنْتَ وَلِيِّي فِي الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ تَوَفَّنِي مُسْلِمًا وَأَلْحِقْنِي بِالصَّالِحِينَ
 হে আসমান ও জমিনের স্রষ্টা, আপনিই আমার অভিভাবক দুনিয়াতে ও আখেরাতে, আমাকে মুসলিম হিসেবে মৃত্যুদান করুন এবং আমাকে সৎলোকদের সাথে মিলিত করুন। ইউসুফ, ১২/১০১

  রোগমুক্তি কামনায় আইউব আলাইহিস্ সালাম দু‘আ করেছিলেন 
أَنِّي مَسَّنِيَ الضُّرُّ وَأَنْتَ أَرْحَمُ الرَّاحِمِينَ
 নিশ্চয় আমাকে দুঃখকষ্টে (অসুখে) ধরেছে আর আপনি হলেন দয়াবানদের সর্বশ্রেষ্ঠ দয়াবান। আল-আম্বিয়া, ২১/৮৩

أَنِّي مَسَّنِيَ الشَّيْطَانُ بِنُصْبٍ وَعَذَابٍ
 নিশ্চয় শয়তান আমাকে কষ্ট ও আযাবে ফেলেছে। সোয়াদ, ৩৮/৪১

 শু‘আইব আলাইহিস্ সালামের দু‘আ
عَلَى اللَّهِ تَوَكَّلْنَا رَبَّنَا افْتَحْ بَيْنَنَا وَبَيْنَ قَوْمِنَا بِالْحَقِّ وَأَنْتَ خَيْرُ الْفَاتِحِينَ
  আমরা আল্লাহর উপর ভরসা করছি। হে আমাদের রব! আমাদের মাঝে ও আমাদের সম্প্রদায়ের মাঝে সঠিক ফয়সালা করে দিন এবং আপনি উত্তম ফয়সালাকারী। আ‘রাফ, ৭/৮৯

  মুসা আলাইহিস্ সালামের দু‘আ
رَبِّ اغْفِرْ لِي وَلأخِي وَأَدْخِلْنَا فِي رَحْمَتِكَ وَأَنْتَ أَرْحَمُ الرَّاحِمِينَ
হে আমার রব! আমাকে ও আমার ভাইকে ক্ষমা করুন এবং আমাদেরকে আপনার রহমতের মধ্যে প্রবেশ করান আর আপনি হলেন দয়াবানদের সর্বশ্রেষ্ঠ দয়াবান। আ‘রাফ, ৭/১৫১

اللَّهُمَّ أَنْتَ وَلِيُّنَا فَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا وَأَنْتَ خَيْرُ الْغَافِرِينَ وَاكْتُبْ لَنَا فِي هَذِهِ الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الآخِرَةِ
হে আল্লাহ! আপনি আমাদের অভিভাবক তাই আমাদেরকে ক্ষমা করে দিন ও আমাদেরকে রহমত করুন আর আপনিই সর্বশ্রেষ্ঠ ক্ষমাকারী। আর আমাদের জন্য দুনিয়া ও আখেরাতে কল্যাণ লিখে দিন। আ‘রাফ, ৭/১৫৫-১৫৬

رَبِّ اشْرَحْ لِي صَدْرِي وَيَسِّرْ لِي أَمْرِي وَاحْلُلْ عُقْدَةً مِنْ لِسَانِي يَفْقَهُوا قَوْلِي
হে আমার রব! আমার জন্যে আমার বক্ষকে প্রশস্ত করে দিন এবং আমার জন্যে আমার কাজ সহজ করে দিন এবং আমার জিহবা হতে জড়তা দূর করে দিন যাতে আমার কথা তারা বুঝতে পারে। ত্ব-হা, ২০/২৫-২৮

رَبِّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي فَاغْفِرْ لِي فَغَفَرَ لَهُ إِنَّهُ هُوَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ
হে আমার রব! নিশ্চয় আমি নিজের উপর জুলুম করেছি, তাই আমাকে ক্ষমা করুন; অতঃপর তিনি তাকে ক্ষমা করলেন, নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল, দয়ালু। আল-কাসাস, ২৮/১৬

رَبِّ بِمَا أَنْعَمْتَ عَلَيَّ فَلَنْ أَكُونَ ظَهِيرًا لِلْمُجْرِمِينَ
হে আমার রব! আপনি আমার উপর অনেক কিছু দ্বারা অনুগ্রহ করেছেন, তাই কখনও আমি অপরাধীদের জন্যে সাহায্যকারী হব না। আল-কাসাস, ২৮/১৭

رَبِّ نَجِّنِي مِنَ الْقَوْمِ الظَّالِمِينَ
হে আমার রব! আমাকে জালেম সম্প্রদায়ের হতে রক্ষা করুন। আল-কাসাস, ২৮/২১

رَبِّ إِنِّي لِمَا أَنْزَلْتَ إِلَيَّ مِنْ خَيْرٍ فَقِيرٌ
হে আমার রব! নিশ্চয় আমার প্রতি আপনি যে কল্যাণ অবতীর্ণ করবেন আমি তার মুখাপেক্ষী। আল-কাসাস, ২৮/২৪

ইউনুস আলাইহিস্ সালামের দু‘আ 
لا إِلَهَ إِلا أَنْتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِينَ
আপনি ব্যতীত কোন (সত্য) ইলাহ নেই, আপনি পবিত্র মহান, নিশ্চয় আমি সীমালংঘনকারীদের অন্তর্ভুক্ত হয়েছি। আল-আম্বিয়া, ২১/৮৭

দাউদ ও সোলায়মান আলাইহিস্ সালামের দু‘আ 
الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي فَضَّلَنَا عَلَى كَثِيرٍ مِنْ عِبَادِهِ الْمُؤْمِنِينَ
সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি আমাদেরকে অনেক মুমিন বান্দাদের উপরে শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন। আন্-নাম্‌ল, ২৭/১৫

সোলায়মান আলাইহিস্ সালামের দু‘আ 
رَبِّ أَوْزِعْنِي أَنْ أَشْكُرَ نِعْمَتَكَ الَّتِي أَنْعَمْتَ عَلَيَّ وَعَلَى وَالِدَيَّ وَأَنْ أَعْمَلَ صَالِحًا تَرْضَاهُ وَأَدْخِلْنِي بِرَحْمَتِكَ فِي عِبَادِكَ الصَّالِحِينَ
হে আমার রব! আপনি আমাকে সামর্থ্য দিন, আমি যেন আপনার নিয়ামতের শোকর করতে পারি, যা নিয়ামত আমার উপর ও আমার পিতা-মাতার উপর আপনি দান করেছেন এবং আমি যেন আপনার পছন্দনীয় সৎকাজ করতে পারি এবং আমাকে আপনার রহমতের দ্বারে প্রবেশ করিয়ে আপনার সৎবান্দাদের অন্তর্ভুক্ত করুন। আন্-নাম্‌ল, ২৭/১৯

رَبِّ اغْفِرْ لِي وَهَبْ لِي مُلْكًا لا يَنْبَغِي لأحَدٍ مِنْ بَعْدِي إِنَّكَ أَنْتَ الْوَهَّابُ
হে আমার রব! আমাকে ক্ষমা করুন এবং আমাকে এমন রাজত্ব দান করুন, যা কারও জন্য আমার পরে শোভনীয় হবে না। নিশ্চয় আপনি মহাদাতা। সোয়াদ, ৩৮/৩৫

যাকারিয়া আলাইহিস্ সালাম সন্তান কামনায় দু‘আ করেছিলেন 
رَبِّ هَبْ لِي مِنْ لَدُنْكَ ذُرِّيَّةً طَيِّبَةً إِنَّكَ سَمِيعُ الدُّعَاءِ
হে আমার রব! আমাকে আপনার নিকট হতে পবিত্র সন্তান দান করুন, নিশ্চয় আপনি দু‘আ শ্রবণকারী। আলে‘ইমরান, ৩/৩৮

رَبِّ إِنِّي وَهَنَ الْعَظْمُ مِنِّي وَاشْتَعَلَ الرَّأْسُ شَيْبًا وَلَمْ أَكُنْ بِدُعَائِكَ رَبِّ شَقِيًّا وَكَانَتِ امْرَأَتِي عَاقِرًا فَهَبْ لِي مِنْ لَدُنْكَ وَلِيًّا
হে আমার রব! আমার হাড়গুলো দুর্বল হয়ে গেছে আর বার্ধক্যে মাথার চুলগুলো সাদা হয়েছে; হে আমার রব! আপনাকে ডেকে আমি কখনও ব্যর্থ্ হইনি। আর আমার স্ত্রী হল বন্ধ্যা, তাই আপনি আমাকে আপনার পক্ষ থেকে একজন উত্তরাধিকারী দান করুন। মারইয়াম, ১৯/৪-৫

رَبِّ لا تَذَرْنِي فَرْدًا وَأَنْتَ خَيْرُ الْوَارِثِينَ
হে আমার রব! আমাকে একাকী রাখবেন না আর আপনি সর্বোত্তম উত্তরাধিকারী। আল-আম্বিয়া, ২১/৮৯

ঈসা আলাইহিস্ সালামের দু‘আ 
اللَّهُمَّ رَبَّنَا أَنْزِلْ عَلَيْنَا مَائِدَةً مِنَ السَّمَاءِ تَكُونُ لَنَا عِيدًا لأوَّلِنَا وَآخِرِنَا وَآيَةً مِنْكَ وَارْزُقْنَا وَأَنْتَ خَيرُ الرَّازِقِينَ
হে আল্লাহ! আমাদের রব, আমাদের প্রতি আসমান হতে খাদ্যভর্তি পাত্র অবতীর্ণ্ করুন, যা আমাদের জন্যে হবে খুশীর উপলক্ষ, আমাদের পূর্ববর্তীদের জন্য ও পরবর্তীদের জন্য আপনার পক্ষ হতে নিদর্শন হবে এবং আমাদের রিযিক দিন এবং আপনি উত্তম রিযিকদাতা। আল-মায়িদাহ, ৫/১১৪

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু‘আ করেছিলেন 
رَبِّ أَدْخِلْنِي مُدْخَلَ صِدْقٍ وَأَخْرِجْنِي مُخْرَجَ صِدْقٍ وَاجْعَلْ لِي مِنْ لَدُنْكَ سُلْطَانًا نَصِيرًا
হে আমার রব! আমাকে সত্যসহকারে প্রবেশ করান আর আমাকে সত্যসহকারে বের করে আনুন এবং আমাকে আপনার নিকট হতে সাহায্যকারী শক্তি দান করুন। আল-ইস্‌রা, ১৭/৮০

رَبِّ احْكُمْ بِالْحَقِّ وَرَبُّنَا الرَّحْمَنُ الْمُسْتَعَانُ عَلَى مَا تَصِفُونَ
হে আমার রব! আপনি ন্যায়ভাবে ফয়সালা করে দিন। আর আমাদের রব হলো পরম করুণাময়। তোমরা যা বলছ সে বিষয়ে তিনিই একমাত্র সহায়স্থল। আল-আম্বিয়া, ২১/১১২

رَبِّ إِمَّا تُرِيَنِّي مَا يُوعَدُونَ رَبِّ فَلا تَجْعَلْنِي فِي الْقَوْمِ الظَّالِمِينَ
হে আমার রব! যে বিষয়ে তাদেরকে ওয়াদা দেয়া হচ্ছে তা যদি আপনি আমাকে দেখাতে চান, তবে হে আমার রব! আপনি আমাকে যালিম দলের অন্তর্ভুক্ত করবেন না। মু’মিনুন, ২৩/৯৪

কুরআনের আরও কিছু দু‘আ 

ফেরাউনের যাদুকররা ঈমান এনে বলেছিল 
آمَنَّا بِرَبِّ الْعَالَمِينَ
আমরা ঈমান এনেছি বিশ্বজাহানের রবের প্রতি। আ‘রাফ,৭/১২১, আশ্-শু‘আরা, ২৬/৪৭

ফেরাউনের যাদুকররা ক্ষমা চেয়ে দু‘আ করেছিল 
إِنَّا آمَنَّا بِرَبِّنَا لِيَغْفِرَ لَنَا خَطَايَانَا وَمَا أَكْرَهْتَنَا عَلَيْهِ مِنَ السِّحْرِ وَاللَّهُ خَيْرٌ وَأَبْقَى
নিশ্চয় আমরা আমাদের রবের প্রতি ঈমান এনেছি, যাতে তিনি আমাদের অপরাধসমূহ ক্ষমা করেন এবং যে যাদু তুমি আমাদেরকে করতে বাধ্য করেছো তাও ক্ষমা করেন এবং আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ ও চিরস্থায়ী। ত্ব-হা, ২০/৭৩

মুসা আলাইহিস্ সালামের সম্প্রদায় দু‘আ করেছিল 
رَبَّنَا أَفْرِغْ عَلَيْنَا صَبْرًا وَتَوَفَّنَا مُسْلِمِينَ
হে আমাদের রব! আমাদের উপর ধৈর্যধারণের ক্ষমতা প্রদান করুন এবং আমাদেরকে মুসলিম হিসাবে মৃত্যু দান করুন। আ‘রাফ, ৭/১২৬

عَلَى اللَّهِ تَوَكَّلْنَا رَبَّنَا لا تَجْعَلْنَا فِتْنَةً لِلْقَوْمِ الظَّالِمِينَ وَنَجِّنَا بِرَحْمَتِكَ مِنَ الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ
আমরা আল্লাহর উপর ভরসা করছি। হে আমাদের রব! আমাদেরকে যালেম সম্প্রদায়ের ফিতনায় পরিণত করবেন না এবং আপনার রহমতে আমাদেরকে অবিশ্বাসী সম্প্রদায় হতে রক্ষা করুন। ইউনুস, ১০/৮৫-৮৬

ফেরাউনের স্ত্রী আছিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু দু‘আ করেছিলেন 
رَبِّ ابْنِ لِي عِنْدَكَ بَيْتًا فِي الْجَنَّةِ
হে আমার রব! আমার জন্যে আপনার নিকটে জান্নাতের মধ্যে একটি ঘর তৈরি করুন। আত-তাহরীম, ৬৬/১১

তালুত ও তার সৈন্যবাহিনীর দু‘আ 
رَبَّنَا أَفْرِغْ عَلَيْنَا صَبْرًا وَثَبِّتْ أَقْدَامَنَا وَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ
হে আমাদের রব! আমাদের উপর ধৈর্যধারণের শক্তি দান করুন এবং আমাদের পদক্ষেপ সুদৃঢ় করুন, আর আমাদেরকে অবিশ্বাসী সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সাহায্য করুন। আল-বাকারাহ, ২/২৫০

সাবা জাতির রানী বিলকিস ঈমান এনে বলেছিল 
رَبِّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي وَأَسْلَمْتُ مَعَ سُلَيْمَانَ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ
হে আমার রব! নিশ্চয় আমি নিজের প্রতি যুলুম করেছি আর আমি সুলায়মানের সাথে বিশ্ব জাহানের রব আল্লাহর নিকট আত্নসমর্পণ করলাম। আন্-নাম্‌ল, ২৭/৪৪

ঈসা আলাইহিস্ সালাম এর অনুসারীরা ঈমান এনে বলেছিল
رَبَّنَا آمَنَّا بِمَا أَنْزَلْتَ وَاتَّبَعْنَا الرَّسُولَ فَاكْتُبْنَا مَعَ الشَّاهِدِينَ
হে আমাদের রব! আপনি যা নাযিল করেছেন আমরা তার প্রতি ঈমান এনেছি এবং আমরা রাসূলকে অনুসরণ করছি, তাই আমাদের নাম সাক্ষ্যদাতাদের সাথে লিপিবদ্ধ করুন। আলে‘ইমরান, ৩/৫৩

গুহাবাসী যুবকদের দু‘আ 
رَبَّنَا آتِنَا مِنْ لَدُنْكَ رَحْمَةً وَهَيِّئْ لَنَا مِنْ أَمْرِنَا رَشَدًا
হে আমাদের রব! আপনার পক্ষ থেকে আমাদেরকে রহমত দান করুন এবং আমাদের জন্যে আমাদের কাজ-কর্ম্ সঠিকভাবে গড়ে দিন। আল-কাহ্‌ফ, ১৮/১০

আরশের ফেরেশতাগণ ঈমানদারদের জন্য দু‘আ করছে
رَبَّنَا وَسِعْتَ كُلَّ شَيْءٍ رَحْمَةً وَعِلْمًا فَاغْفِرْ لِلَّذِينَ تَابُوا وَاتَّبَعُوا سَبِيلَكَ وَقِهِمْ عَذَابَ الْجَحِيمِ رَبَّنَا وَأَدْخِلْهُمْ جَنَّاتِ عَدْنٍ الَّتِي وَعَدْتَهُمْ وَمَنْ صَلَحَ مِنْ آبَائِهِمْ وَأَزْوَاجِهِمْ وَذُرِّيَّاتِهِمْ إِنَّكَ أَنْتَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ وَقِهِمُ السَّيِّئَاتِ وَمَنْ تَقِ السَّيِّئَاتِ يَوْمَئِذٍ فَقَدْ رَحِمْتَهُ وَذَلِكَ هُوَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ
হে আমাদের রব! আপনি রহমত ও জ্ঞান দ্বারা সবকিছুকে পরিব্যাপ্ত করে আছেন, তাই যারা তওবা করে ও আপনার পথ অনুসরণ করে তাদেরকে ক্ষমা করুন এবং তাদেরকে জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা করুন। হে আমাদের রব! আপনি তাদেরকে চিরস্থায়ী জান্নাতে প্রবেশ করান, যার ওয়াদা আপনি তাদেরকে দিয়েছেন এবং তাদের বাপ-দাদা, পতি-পত্নী ও বংশধরদের মধ্যে যারা সৎকর্ম করেছে তাদেরকেও; নিশ্চয় আপনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। এবং আপনি তাদেরকে মন্দকাজসমূহ হতে রক্ষা করুন, এবং আপনি যাকে বিচারের দিন যাবতীয় মন্দকাজ হতে রক্ষা করবেন, নিশ্চয় তার প্রতি রহমত করবেন আর এটাই মহাসাফল্য। আল-মুমিন, ৪০/৭-৯

জান্নাতে জান্নাতবাসীরা দু‘আ করবে 

الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَذْهَبَ عَنَّا الْحَزَنَ إِنَّ رَبَّنَا لَغَفُورٌ شَكُورٌ
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্যে, যিনি আমাদের হতে দুঃখ-কষ্ট দূর করেছেন; নিশ্চয় আমাদের রব ক্ষমাশীল, গুণগ্রাহী। ফাত্বির, ৩৫/৩৪
--------------------------------- 
লেখকঃ ইসলামিক আর্টিকেল লেখক ও অনলাইন এক্টিভিস্ট। 

Post a Comment

0 Comments