Recent Tube

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু গাজা পুনর্গঠনের ওপর জোর দিয়েছেন। ইবনে যুবাইর।

   
 

  
 ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু গাজা পুনর্গঠনের ওপর জোর দিয়েছেন।

     কথা অবিশ্বাস্য হলেও সত্য।অতি সাম্প্রতিক জায়নবাদ কতৃক গাজায় ধ্বংশ যজ্ঞ এবং নারী শিশু ও বেসামরিক মানুষ হত্যা নিয়ে সবচেয়ে বেশি সরব ছিল তুর্কি ও ইরান।

     পাকিস্তানও ফিলিস্তিনিদের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করে।পাকিস্তানের এই সমর্থনের আড়ালে চীনের উপস্হিতি টের পায় জায়নবাদ ইসলরাইল তার প্রধান মিত্র আমেরিকা।

     এরদোয়ানের ভূরাজনৈতিক মিত্র রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে কড়া বার্তা দেন।ফিলিস্তিনিদের পাশে থেকে যুদ্ধ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে ইরাক।ইরাকের ভূখন্ড ব্যবহার করে তুর্কি যে কোন মুহূর্তে ইসরাইলে হামলা চালাতে পারে এই আশঙ্কা ও ভয় নিয়ে যুদ্ধ বিরতির জন্য প্রায় উন্মাদের মত ছুটাছুটি শুরু করে জায়নবাদী নেতানিয়াহু।

    অবস্হা বেগতিক দেখে মানবতার ফেরিওয়ালা বাইডেন প্রশাসন বাধ্য হয়ে সুর নরম করে এবং মিশরের দালালিতে যুদ্ধ বিরতী কার্যকর হয়।

     সম্প্রতি ১২ দিনের যুদ্ধে দখলদার ইসরাইল শোচনীয়ভাবে পরাজিত হওয়ার পর তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে পাশ্চাত্যের কর্মকর্তারা যুদ্ধবিরতি টিকিয়ে রাখা এবং আবারো যাতে সংঘাত শুরু না হয় সেজন্য তারা মধ্যপ্রাচ্য সফর শুরু করেছেন। ইসরাইল ও তাদের পাশ্চাত্য মিত্ররা গোপন লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য মিশর ও জর্দানের উপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি অব্যহত রেখেছে।

     মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্থনি ব্লিংকেন গতকাল ইসরাইল সফরে এসেছেন এবং জায়নবাদ নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এরপর তিনি ফিলিস্তিন স্বশাসন কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য রামাল্লা গেছেন। মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি প্রথমে মিশর এরপর জর্দান সফরে যাবেন বলে কথা রয়েছে।

     সাম্প্রতিক এ যুদ্ধে আল-কুদস, রামাল্লা ও গাজা উপত্যকার ফিলিস্তিনি মুসলমানদের মধ্যে নজিরবিহীন ঐক্য ও সংহতি তৈরি হওয়ায় ইসরাইল ও তার মিত্রদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। 

     মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু গাজা পুনর্গঠনের ওপর জোর দিয়েছেন।

     নেতানিয়াহু গাজা পুনর্গঠনে সহযোগিতার জন্য কিছু শর্ত বেঁধে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন হামাসকে নিরস্ত্র হতে হবে এবং তাদের হাতে আটক চার ইসরাইলিকে ছেড়ে দিতে হবে।

    এদিকে, ফিলিস্তিনিদের জনমত  মাহমুদ আব্বাসের বিরুদ্ধে চলে যাওয়ায় দখলদার ইসরাইল ও তার মিত্ররা আসন্ন নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে আরো বেশি চিন্তিত হয়ে পড়েছে।

      বিশেষ করে সাম্প্রতিক যুদ্ধে ইসরাইল পরাজিত হওয়ায় জনমত আরো বেশি প্রতিরোধ সংগঠনগুলোর দিকে ঝুঁকে পড়েছে যা ইসরাইলের জন্য খুবই চিন্তার বিষয়। এ কারণে ইসরাইলের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য গাজা পুনর্গঠনের নামে আরব রাষ্ট্রগুলোর সহয়তায় নতুন ষড়যন্ত্র নিয়ে মার্কিন কর্মকর্তারা দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন।
--------------------------------- 
লেখকঃ ইসলামিক আর্টিকেল লেখক ও অনলাইন এক্টিভিস্ট। 

Post a Comment

0 Comments