Recent Tube

তোমাকেই ঠিক করতে হবে যে গোত্রপ্রীতির অন্ধ অহমিকায় আল্লাহর হুকুমের বিরুদ্ধে গিয়ে তাগুতের আনুগত্যে তাগুতের খাঁটি বান্দা হবে, না তাগুতকে বর্জন করে আল্লাহর বান্দা হবে? ইবনে যুবাইর।

    



    তোমাকেই ঠিক করতে হবে যে গোত্রপ্রীতির অন্ধ অহমিকায় আল্লাহর হুকুমের বিরুদ্ধে গিয়ে তাগুতের আনুগত্যে তাগুতের খাঁটি বান্দা হবে, না তাগুতকে বর্জন করে আল্লাহর বান্দা হবে?
      
     খেলাফতের বাইয়াত নেয়ার পর হযরত উমর ইবনে আবদুৃল আযীয(র) জনসাধারণের সামনে যে ভাষণ দেন তা নিম্নরুপঃ
    হে লোকেরা!পবিত্র কুরআনের পর আর কোন গ্রন্থ নেই এবং রাসুলুল্লাহ(সা)-এর পর আর কোন নবী নেই।আমি কোন জিনিসের সূচনাকারী নই,বরং সমাপ্তকারী।
আমি মুবতাবি(বিদআতী)নই,বরং মুত্তাবি(অনুসরণকারী)। আমি কোন অবস্হাতেই তোমাদের চাইতে উকৃষ্ট নই।

    অবশ্য আমার কাঁধের বোঝা তোমদের চেয়ে অনেক ভারি।যে ব্যক্তি জালিম বাদশা হতে পালায়ণ করে সে জালিম হতে পারে না।

    স্বরণ রেখ,আল্লাহর হুকুমের বিরুদ্ধে কোন সৃষ্টির(মানুষের)আনুগত্য বৈধ নয়।
তিনি খেলাফতে অধিষ্ঠিত হবার সাথে সাথেই একটি নির্দশ জারি করেন যে,এখন থেকে হযরত আলী(রা.)সম্পর্কে কেউ যেন কোনরুপ অপ্রীতিকর ও শিষ্টাচার বিরোধী কোন শব্দ ব্যবহার না করে।

    তখন পর্যন্ত বনু উমাইয়াদের মধ্যে সাধারণভাবে এই রেওয়াজ চলে আসছিল যে,তারা হযরত আলী(রা.)-কে মন্দ বলত এবং জুমআর খুতবায় তাঁকে গালিগালাজ করতে দ্বিধা করত না।"ইসলামের ইতিহাস ২য় খন্ড,১৭৬ পৃষ্টা।

     অবশ্য হযরত আলী(রা.)-কে মন্দ বলা এবং জুমআর খুতবায় গালিগালাজ করার রীতি চালু হয় হযরত মুয়াবিয়া(রা.)এর শাসনামলে।তিনিই এই রীতি চালু করেন এবং হযরত উমর ইবনে আবদুল আযীয(র.) এই জঘন্য রীতির পরিসমাপ্তি ঘটান।

     এই জঘন্য রীতি নীতি এদেশের একটি গোষ্ঠীর জন্য অনুসরণীয় ও অনুকরণীয়। শুধু তাই নয়,তারা আল্লাহর হুকুমের বিরুদ্ধে সৃষ্টির আনুগত্যকে প্রাধান্য দেয়।

      এখন তোমাকেই ঠিক করতে হবে যে,গ্রোত্রপ্রীতির অন্ধ অহমিকায় আল্লাহর হুকুমের বিরুদ্ধে গিয়ে তাগুতের আনগত্য মেনে নিয়ে তাগুতের খাঁটি বান্দা হবে, না তাগুতকে বর্জন করে আল্লাহর বান্দা হবে?
--------------------------------- 
লেখকঃ ইসলামিক আর্টিকেল লেখক ও অনলাইন এক্টিভিস্ট। 

Post a Comment

0 Comments