Recent Tube

অজস্র আলোকোজ্জ্বল সৃষ্টিশীল পাণ্ডিত্য ও কর্মের অম্লান স্মৃতির মাঝে চিরভাস্বর তিনি চলে গেলেন আল্লাহর সান্নিধ্যে...। -ওহিদুল ইসলাম।





 অজস্র আলোকোজ্জ্বল সৃষ্টিশীল পাণ্ডিত্য ও কর্মের অম্লান স্মৃতির মাঝে তিনি চিরভাস্বর।

""যুগশ্রেষ্ঠ এক স্বপ্নদ্রষ্টা পণ্ডিত ও উম্মাহর সুযোগ্য অভিভাবক চলে গেলেন প্রভুর সান্নিধ্যে""
--------------
পর্ব-:

   আমি অশ্রুসিক্ত চোখে ও গভীর বেদনায় ভারাক্রান্ত হৃদয়ে বলছি শাহ আব্দুল হান্নান (Shah Abdul Hannan) এর কথা। তিনি গত ৮ মে থেকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২ জুন বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে ইন্তেকাল করেন। [إنا لله وإنا إليه راجعون.‏ ‏اللهم اغفر له، وارحمه، وعافه، واعف عنه، وأكرم نزله، ووسع مدخله واغسله بالماء والثلج والبرد ونقه من الخطايا، كما نقيت الثوب الأبيض من الدنس، وأبدله داراً خيراً من داره، وأهلاً خيراً من أهله، وزوجاً خيراً من زوجه، وأدخله الجنة، وأعذه من عذاب القبر، ومن عذاب النار] “ওগো আল্লাহ! তুমি তাকে ক্ষমা করে দাও, তার উপর তুমি রহমত নাজিল করো, তাকে তুমি সুরক্ষা দাও এবং মার্জনা করো, (তোমার কাছে মেহমান হয়ে তোমার সান্নিধ্যে) তার আগমনকে তুমি সম্মানিত করো এবং তার কবরকে প্রশস্ত করে দাও; তাকে পানি, তুষার ও শিলা দিয়ে ধুয়ে পাক-ছাফ করে দাও এবং তাকে গুনাহ-খাতা থেকে পূত-পবিত্র করে দাও যেমন তুমি সাদা কাপড়কে ময়লা আবর্জনা থেকে পরিস্কার করো; তাকে তার বর্তমানের বাসস্থানের পরিবর্তে আরও ভাল বাসস্থান দাও, বর্তমানের আপনজনদের পরিবর্তে আরও উত্তম পরিবার-পরিজন দাও এবং তার বর্তমান জীবনসাথীর পরিবর্তে আরও ভাল জীবনসাথী দাও; আর তাকে জান্নাতে অভ্যর্থনা করো, এবং কবরের ও জাহান্নামের শাস্তি থেকে তাকে তুমি রক্ষা করো। [দোয়াটি আওফ ইবন মালিক থেকে বর্ণিত, সহীহ মুসলিমে উদ্ধৃত রাসুল (সাঃ) এর মুখ নিঃসৃত]”

     শাহ আবদুল হান্নান ছিলেন একজন বিদগ্ধ পণ্ডিত, উঁচুমানের ইসলামী চিন্তাবিদ, শিক্ষাবিদ, লেখক, অর্থনীতিবিদ ও সমাজসেবক। তিনি তার বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংকিং বিভাগ, সমাজ কল্যাণ ও সর্বশেষ অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব ছিলেন। এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ও দুর্নীতি দমন ব্যুরোর মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি একসময় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন যখন তিনি জাতীয় রাজস্ব বৃদ্ধির পরিকল্পনায় প্রথম ভ্যাট পদ্ধতি চালুর মাধ্যমে অনেক খ্যাতি অর্জন করেন। এছাড়াও তিনি দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা উদ্যোক্তা, চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি আরও সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক সংস্থা ও তৎপরতার সাথে জড়িত ছিলেন।

     এই সুপরিচিত মহান ব্যক্তির জীবনের যেসব বিষয় সবার জানা তার পূণরাবৃত্তি এই লেখার উদ্দেশ্য নয়। আমার একান্ত ব্যক্তিগত স্মৃতিকে যে নক্ষত্রতূল্য শাহ আব্দুল হান্নানের পরম স্নেহমাখা অভিভাবকত্বের ছোয়া ধন্য ও মহিমান্বিত করেছে তা হয়তো অনেকের অজানা। আমি আমার এ ক্ষুদ্র জীবনের পিছনের দিন গুলো থেকে হাতড়ে হাতড়ে সেই সুখকর স্মৃতিগুলো বের করে আনতে চাই। 

    যখন ষষ্ট শ্রেণীতে পড়ি, তখন তার লেখা “ইসলামী অর্থনীতিতে সরকারের ভূমিকা” বইটি পড়ে তার নাম ও ক্ষুরধার পাণ্ডিত্যের সাথে পরিচিত হই। সেসময় থেকে দেশে অধ্যয়নকালে (১৯৮২-১৯৯২) এই মনীষীকে অনেক জেনেছি চিনেছি কিন্তু কখনোই তার ব্যক্তিগত সান্নিধ্যে আসার সৌভাগ্য আমার হয়নি। আমি যখন ১৯৯৮ সালে হার্ভার্ডে অধ্যয়নরত তখন বন্ধু সুহৃদ ইমরান চৌধুরী (Imran Chowdhury) ভাইয়ের মাধ্যমে অনেকের সাথে পরিচয় হয় এবং গভীর হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারা সবাই দেশে অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী ছিলেন এবং নক্ষত্রতূল্য এরা সবাই তাদের একাডেমিক কৃতিত্বের  পাশাপাশি শাহ আব্দুল হান্নানের সরাসরি ছাত্র-ছাত্রী ছিলেন। এখানে যাদের নাম উল্লেখ না করলে শাহ আবুদল হান্নানের সাথে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্কের পাদপীঠ স্মৃতির প্রতি অবিচার করা হবে তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন ইমরান চৌধুরী ভাই ও তার স্ত্রী সিলভিয়া (ববী) আপা, ববী আপার ঘনিষ্ঠ বান্ধবী MIT তে অধ্যয়নরত সারাহ আহমেদ (Sarah Ahmed) আপা,  তার স্বামী Stanford University তে Ph.D. অধ্যয়নরত জাহিদ হাসান তাপস ভাই, Purdue University তে অধ্যয়নরত দম্পতি নাজমুন নাহার (Nahar Nazmun আপা ও হাফিজ আব্দুর রহমান (Hafiz Abdur Rahman) ভাই, কানাডার University of Alberta তে Ph.D. অধ্যয়নরত সাইয়্যেদা সুলতানা রাজিয়া তুষার (Syeda Sultana Razia) আপা ও তার স্বামী মাহবুবুর রাজ্জাক (Mahbubur Razzaque) ভাই, ইংল্যান্ডে Ph.D. অধ্যয়নরত হাসান শহীদ ভাই এবং টেক্সাসে Ph.D. অধ্যয়নরত বাকী বিল্লাহ ভাই। তাদের কাছে শুনেছি শাহ আব্দুল হান্নান Witness এবং Pioneer নামে নিজের বাসায় দু’টি ক্লাস চালাতেন। BUET এবং Dhaka Medical সহ দেশের সেরা প্রতিভাবান ছাত্র-ছাত্রীরা সে ক্লাসে যোগ দিয়ে উনার বুদ্ধিবৃত্তিক আলোচনায় মুগ্ধ হয়ে ইসলামী জ্ঞানার্জন ও ইসলামী জীবন যাপনে অনুপ্রাণিত হন। Witness ছিলো ছাত্রীদের ক্লাস আর Pioneer ছিলো ছাত্রদের ক্লাস। ছাত্র-ছাত্রীরা সবাই শাহ আব্দুল হান্নানকে চাচা বলে ডাকতেন এবং উনি সবাইকে আপন ভাতিজা-ভাতিজির মতো অপত্য স্নেহের সাথে গড়ে তুলতেন। আমি উপরে যেসব ভাই-বোনদের নাম উল্লেখ করলাম তারা সবাই উনার ছাত্র-ছাত্রী ছিলেন এবং পরে উচ্চশিক্ষার্থে দেশের বাইরে বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করছেন। প্রত্যেকেই দূরে থাকা সত্ত্বেও তাদের প্রত্যেকের মধ্যে গভীর পারস্পারিক সম্পর্ক ছিলো। সবাই নিজেদের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন এবং প্রত্যেকেই চাচার সাথে নিয়মিত ব্যক্তিগত যোগাযোগ রাখতেন। সময় সুযোগ করে হাজার মাইল ব্যবধান ঘুচিয়ে একে অপরের সাথে দেখা করতেন।  উনাদের আন্তরিকতা আমাকেও স্পর্শ করলো। উনাদের কাছে শাহ আব্দুল হান্নানের কথা শুনে আমিও তার প্রতি শ্রদ্ধায় বিণীত হলাম।  উনি আমার মনের অজান্তেই আমারও চাচা হয়ে গেলেন।

    ইমরান ভাইয়ের  সাথে ইমেইল এবং ফোনে যোগাযোগ তখনো। এর আগে কখনো তার সাথে সরাসরি দেখা হয়নি। ইমরান ভাই খুবই কর্ম চঞ্চল এবং সম্পর্কের ক্ষেত্রে খুবই আন্তরিক ও আবেগী। তিনি তখন লেখাপড়ার পর চাকুরীরত। দেশে গিয়ে সবেমাত্র হান্নান চাচার ছাত্রী ববী আপাকে বিয়ে করে নিয়ে এসেছেন। তাদের নতুন সুখ-সম্প্রীতি ও আবেগের ছোট্ট সংসার। ইমরান ভাই চাকরী করছেন আর ববী আপা লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছেন। দু’জন মিলে প্রায় প্রতিদিন রাতে হান্নান চাচার সাথে কথা বলেন, তার উপদেশ নেন এবং তার সাথে বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ ও পরিকল্পনা করেন।  সিদ্ধান্ত হয় Witness-Pioneer নামে একটা সমন্বিত প্লাটফর্ম সংগঠিত করে বিদেশে অবস্থানরত চাচার সব ছাত্র-ছাত্রীকে ঐ প্লাটফর্মে আনতে হবে। ইমরান ভাই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়লেন আর তার পাশাপাশি ববী আপার উৎসাহ ও সহযোগিতা। অতি অল্প সময়ে Witness-Pioneer সুসংগঠিত হয়ে তার বেগবান যাত্রা শুরু করলো। ইমরান ভাই দক্ষ IT অভিজ্ঞ। আমেরিকাসহ সারা দুনিয়ায় যখন ডটকম ব্যবসার উন্মেষ, সেই ৯০ এর দশকের শেষপ্রান্তে তিনি দিনে চাকরীর পাশাপাশি বিকেল ও রাতে তার অভিজ্ঞতা, দক্ষতা, শৈল্পিক মন ও আবেগ-উৎপ্রেক্ষার সমন্বয়ে গড়ে তুললেন Witness-Pioneer এর এক অনবদ্য আকর্ষণীয় ওয়েবসাইট। ইমরান ভাই যেমন নিজে ব্যস্ত, তেমনই অক্লান্ত পরিশ্রম ও সময় ব্যয়ে সবার মধ্যে বৈপ্লবিক আবেগ ও চেতনার জোয়ার এনে তাদেরকেও ব্যস্ত করে তুললেন। চাচা অনেক অনুপ্রাণিত ও উৎসাহী হয়ে সময় দিচ্ছেন, পরামর্শ দিচ্ছেন। 

     এক ছুটিতে ববী আপা ইমরান ভাইকে নিয়ে সুদূর নিউ জার্সি থেকে দেখা করতে এলেন ম্যাসাচুসেটস স্টেটের ক্যামব্রীজ সিটিতে অবস্থিত MIT’র হোস্টেলে তার বান্ধবী সারাহ আপার সাথে। একই সিটিতে ময়েক মাইলের ব্যবধানে আমি থাকি হার্ভার্ডের এক হোস্টেলে। আমার সাথে ইমরান ভাইয়ের দেখা হবে না তা কি করে হয়! MIT তে যাওয়ার আগে ছো মারার মতো করে ইমরান ভাই আমাকে হার্ভার্ডের হোস্টেল থেকে উঠিয়ে নিলেন। সারারাত MIT হোস্টেলে সারাহ আপার রুমে চারজনে খাওয়া-দাওয়া, চা ও আড্ডা হলো। মাঝে সুদূর ক্যালিফোর্নিয়ায় অবস্থিত Stanford University থেকে ফোনে যুক্ত হলেন সারাহ আপার স্বামী জাহিদ হাসান তাপস ভাই। দেখলাম ববী আপা ও সারাহ আপা কতো ঘনিষ্ঠ বান্ধবী। তাদের দু’জনের হাসাহাসি এবং লাগাতার আড্ডার পাশাপাশি আমাদের সবার উল্লেখযোগ্য সময় ব্যয় হলো Witness-Pioneer এর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে। Witness-Pioneer ইতোমধ্যে Bayyinah নামে একটি জার্নাল নিয়মিত প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সে রাতে জার্নাল নিয়ে অনেক করিকল্পনা হলো। জার্নালটির এডিটরিয়ালের দায়িত্ব ছিলো সারাহ আপার উপর। সবাই মিলে জমা হওয়া সব আর্টিকেল রিভিউ করে পরবর্তী সংখ্যার জন্য সেরা আর্টিকেল গুলো বাছাই করা হলো। এক ফাঁকে ইমরান ভাই হান্নান চাচাকে ফোনে আনলেন। উনাকে যাবতীয় বিষয়ে আপডেট দেয়া হলো। উনি যেনো বিশ্বব্যাপী উম্মাহর এক নতুন ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখা শুরু করলেন।

    ইতোমধ্যে আমি যখন গ্রুপের সবার সাথে মনের অজান্তেই এক গভীর সেতুবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে গিয়েছি, হান্নান চাচার সাথে আমাকেও পরিচয় করিয়ে দেয়া হলো। ইমরান ভাই প্রায় প্রতিদিন হান্নান চাচাকে ফোন দিয়ে অন্যান্য সবাইকে ফোনে যুক্ত করতেন। সুন্দর আলোচনা হয়, নতুন নতুন পরিকল্পনা হয়, সে আলোকে অনেক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। দুনিয়ায় তখনো কোথাও ঘটা করে অনলাইন লাইব্রেরী চালু হয়নি। ওয়েবসাইট দাঁড় করিয়ে ইমরান ভাই ক্ষ্যান্ত হওয়ার মানুষ নন। তার মাথায় ঢুকেছে Witness-Pioneer এর নামে একটা অনলাইন লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠা করা। সে লাইব্রেরীতে থাকবে দুনিয়ার সব তাফসীর, হাদীস, উসুল, ফিকহ ও ইসলামী সাহিত্যের সমাহার। চাচা দেশে বসে অনেক অনুপ্রাণিত হলেন। তিনি প্রাথমিকভাবে বিভিন্ন বিষয় ভিত্তিক হাজার খানেক পুস্তকের নাম পাঠালেন। সিদ্ধান্ত হলো, কোনো ইসলামী প্রকাশনাই আমাদের অনলাইন লাইব্রেরীর সম্ভার থেকে অনুপস্থিত থাকতে পারবে না। প্রয়োজনে যেগুলোর সফট ভার্শন নেই সেগুলোর কপিরাইট সংগ্রহ করে আমরা স্ক্যান করে লাইব্রেরীতে রাখবো। হাফিজ আব্দুর রহমান ভাইয়ের উপর লাইব্রেরীর সার্বিক পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব অর্পিত হলো। Witness-Pioneer যেমন মজবুত, সুসংহত ও সম্প্রসারিত হতে লাগলো তেমনই ধীরে ধীরে আমাদের লাইব্রেরী পুস্তকের পাহাড় গড়ে তুলতে লাগলো।  

   Purdue University তে অধ্যয়নকালে নাজুমুন নাহার আপা ও হাফিজ আব্দুর রহমান ভাইয়ের ঘর আলোকিত করে Witness-Pioneer পরিবারে এলো নতুন মেহমান (নাম সম্ভবতঃ মারইয়াম)। ইমরান ভাই ও ববী আপা নিউ জার্সি থেকে ড্রাইভ করে হার্ভার্ড হোস্টেল থেকে আমাকে তুলে নিয়ে আমরা যাত্রা শুরু করলাম ইন্ডিয়ানার উদ্দেশ্যে মারইয়ামকে দেখার জন্য। সুদূর লন্ডন থেকে সফর করে আমাদের সাথে যুক্ত হলেন হাসান শহীদ ভাই। নতুন বেবীকে ঘিরে সেখানে অনেক আনন্দ হলো। সেখানেও Witness-Pioneer নিয়ে অনেক আলাপ-আলোচনা, শলা-পরামর্শ ও সিদ্ধান্ত হলো।

    তুষার আপা Witness-Pioneer এর প্রেসিডেন্ট। আমাকে কার্যনির্বাহী কমিটি ও শুরা কমিটিতে ঢুকানো হলো। হান্নান চাচা আমাদের প্রধান উপদেষ্টা। আর লন্ডনে অবস্থানরত ডঃ আব্দুল বারীকে (Muhammad Abdul Bari) বানানো হলো আরেকজন উপদেষ্টা। আইনের ছাত্র হোলে যা হয় – আমার উপর ন্যস্ত হলো Witness-Pinoeer এর সংবিধান রচনা করা। সংবিধান ড্রাফট করে সবাইকে বিভিউ করতে দিলাম। এরপর সংবিধানের চূড়ান্ত ভার্শন অনুমোদিত হলো। নতুন সংবিধানের আওতায় ডঃ আব্দুল বারীকে নির্বাচন কমিশন বানিয়ে Witness-Pioneer এর নির্বাচন হলো। নতুন প্রেসিডেন্ট হলেন জাহিদ হাসান তাপস ভাই। 
-ইনশাআল্লাহ (চলবে)
--------------------------------- 
লেখকঃ ইসলামি চিন্তাবিদ কলামিস্ট গ্রন্থপ্রনেতা, এটর্নি এট ল' টেক্সাস ইউএসএ এল এল এম, হার্ভার্ড ল স্কুল। 

Post a Comment

0 Comments