Recent Tube

নিউজে হেডলাইন, কোরবানির গরু কেনার টাকায় রিকসাচালককে টিন কিনে দেবেন ব্যারিস্টার সুমন!??? কুতুব শাহ।




 নিউজে হেডলাইন, কোরবানির গরু কেনার টাকায় রিকসাচালককে টিন কিনে দেবেন ব্যারিস্টার সু!??? 

      একটি বহুল প্রচলিত প্রবাদ আছে তুমি যত বড়ই ডিগ্রিধারী হওনা কেন কোরান, হাদীসের জ্ঞান না থাকলে তুমি শূণ্য। অর্থাৎ ধর্মীয় ভিউপয়েন্ট থেকে তোমার ডিগ্রির মূল্য নাই। এই প্রবাদ যেন উক্ত ব্যারিস্টারের ক্ষেত্রে যথাযথ প্রযোজ্য।

     ইসলাম এমন একটি মানবিক এবং কল্যাণমূলক ধর্ম যাতে দানের জন্য বিভিন্ন প্যাকেজ দিয়ে গুরুত্ব আর উৎসাহ দেয়া হয়েছে। যাকাত দাও, ফিতরা দাও, কর্জে হাসনা দাও, ক্ষুধার্তদের খাদ্য দাও,,অভাবীদের অর্থ দাও। এর মানে দান কর, দারিদ্রতা দূর কর, অসহায়দের অভাব দূর কর। এই দানকে কখনো ফরজ, কখনো সুন্নত, কখনো ধনীদের জন্য দায়িত্ব, কর্তব্য হিসাবে নানান সিস্টেমে সম্পদ বন্টনের মাধ্যম করা হয়েছে।

    তাই কেউ দান করতে চাইলে সদকা হিসাবে সারা বছর দানের পথ উম্মুক্ত। কিন্তু দ্বীনের একটি নির্দিষ্ট, নির্ধারিত বিধান পরিবর্তন করে নিজস্ব পদ্বতি চালু আল্লাহর বিধানের সাথে চ্যালেঞ্জ করার শামিল।ফজর নামাজ দুই রাকাত কেউ চার রাকাত পড়লে হবেনা আবার নিজের ইচ্ছায় সময় পরিবর্তন করে অন্য সময় পড়লেও হবে না, কারণ সময় আর রাকাত নির্ধারিত। তা স্বেচ্ছায় পরিবর্তনের সুযোগ নাই। অনুরুপ কোরবানি'র চিরন্তন নির্ধারিত বিধান পশু কোরবানি দেয়া। তা পরিবর্তন করে নিজের ইচ্ছায় টাকা দান মনগড়া ধর্ম পালনের মত। আর এর কোন    বৈধতা নাই।

        সুমন সাহেব জানেন আমাদের মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে ১০০ কোটি টাকার বাজেট হয়েছিল। তিনি কি টোটাল টাকা দরিদ্রদের দানের দাবী করেছিল? নাহ, করেনি। কারণ, তার দল, সরকার নির্ধারিত বাজেটের বিরোধীতা করলে তার দলীয় পদ যাবে৷ অনুরুপ আল্লাহর নির্ধারিত বিধানের বিরোধীতা করলে ধর্মচ্যুত হবে। এছাড়া মানব রচিত সংবিধানের কোন বিধান স্বেচ্ছায় লঙ্গন করলে রাষ্ট্রদ্রোহী আর আল্লাহর নির্ধারিত বিধান লঙ্গন করলে ধর্ম/দ্রোহী। সোজা হিসাব।

   ব্যারিস্টার সাহেবের দামি গাড়ি,বাড়ি  থাকা স্বাভাবিক যা আবার ক্ষেত্র বিশেষ  বিলাসিতাও। তিনি এত দানবীর হলে বিলাসিতা ত্যাগ করে দান করতে পারেন। তা কেন করেন না? 

         সংক্ষেপ কথা হল, ইসলামে দান, সদকা উম্মুক্ত। যেকোন সময় এই দান করা যায়। তাই কোরবানি পশু জবেহের বিধানকে চেইঞ্জ করে দান করার যে প্রচারণা তা ধর্ম লঙ্গনের শামিল। ধর্মে এর কোন জায়গা নাই। কেউ 2/3 বা ততোধিক কোরবানি দেন। 
ব্যাক্তি এবং পরিবারের জন্য নির্ধারিত পশু কোরবানি করে কেউ অতিরিক্ত পশুর টাকা দান করলে সেটা ভিন্ন বিষয় তবে এই দানকে কোরবানির সাথে মিলালে ভুল বুঝাবুঝি হয়। সদকা হিসাবে সারা বছর দান করেন, ব্যারিস্টার সাহেবের জন্যও সে অপশন আছে। ঈদ মোবারক।

Post a Comment

0 Comments