Recent Tube

দিস ইজ এ মিলিয়ন ডলার কোশ্চেন ইনডিড! জিয়াউল হক।






  দিস ইজ এ মিলিয়ন ডলার কোশ্চেন ইনডিড!
  --------------------------------- 

 ছবিটার দিকে খুব মনযোগ'সহ খেয়াল করে দেখুন। সম্ভবত গেল জানুয়ারি মাসের প্রথম দিকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন একটা হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন, সেখানে তিনি একটা বিভাগে ঢুকেন এবং কর্তব্যরত নার্সের সাথে কথা বলেন। 

      বরিস একাই ছিলেন না, ছিলেন সদলবলে। তার সাথে বিবিসি, চ্যানেল ফোর টিভি, গার্ডিয়ান, ইন্ডিপেন্ডেন্ট’সহ সব বাঘা বাঘা প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরাও ছিল। নার্সের সাথে কিছুক্ষণ কথা বলে বরিস অন্য বিভাগে চলে যান। প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য কর্তাদের আসতে দেখেও নার্স তার আসন ছেড়ে উঠেন নি। পায়ের উপর থেকে পা’ও নামান নি। 

     এটা নিয়ে ‘জাত গেল’ ‘জাত গেল’ রব ওঠেনি, কারো সম্মানহানীও হয়নি। কোন হৈ চৈ হয়নি। হৈ চৈ করতে হবে, সেটাও ব্যাটা ইংলিশদের মাথায় আসেনি। আসলে মাথামোটা ইংলিশ জাতি জাতি বুঝতেই পারেনি কেনই বা হৈ চৈ করতে হবে?

       এর কারণ হলো, ঐ সমাজের গণমনস্তত্ত  বা পাবলিক সাইকোলোজি। সমাজটা ভালো না মন্দ, মন্দ হলে কতোটা মন্দ, সে বিতর্ক পরে। আসল কথা হলো, ঐ সমাজে ক্ষমতাধর ব্যক্তিরা কাউকে দাস বানান না। সমাজের কেউই কারো দাসত্বকে মেনেও নেয় না। সবাই স্বাধীন ও আত্মসম্মানবোধ সম্পন্ন। 

        ঠিক এ কারণেই দাস মানসিকতা পরিহার করতে পেরেছে। ক্ষমতাধর কেউ এলেই তড়াক করে চেয়ার থেকে লাফ দিয়ে উঠতে হবে, স্যার স্যার করতে হবে, এ ধারনা পোষণ করাটাই হলে দাসমানসের মনস্তত্ত। এই মনস্তত্ত বা পাবলিক সাইকোলোজির জন্যই দেশে কোন অধিকর্তাকে স্যার না বললে সরকারকে কর প্রদানকারী, ভোট দিয়ে সরকার গঠনকারী দেশের মালিক; জনতাই লাঠির বাড়ি খায়, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী দাসের হাতে!

     কোন সমাজ বদলাতে হলে সেই পাবলিক পারসেপশন (Public Perception) বা সমাজের গণমনস্তত্তটা (Social/Communal Psychology) আগে বদলাতে হয়। সমাজবাসীর এই পাবলিক পারসেপশন বা সোশ্যাল সাইকোলোজি কারা তৈরি করেন? এটা তৈরি করেন ঐ সমাজের লেখক, সাহিত্যিক ও বুদ্ধিজীবিরা। কিন্তু আমাদের সমাজে এই দায়িত্বটা কি তারা পালন করতে পেরেছেন? 

 দিস ইজ এ মিলিয়ন ডলার কোশ্চেন ইনডিড!।
--------------------------------- 
লেখকঃ ইসলামি চিন্তাবিদ গ্রন্থপ্রনেতা গীতিকার ইতিহাস বিশ্লেষক ও কলামিস্ট। 

Post a Comment

0 Comments