Recent Tube

জাতীয় ও দ্বীনি স্বার্থ এখানে পুরোপুরিভাবে অনুপস্থিত। সরকারের সাথে বাবুনগরীদের এই বুঝাপড়ার আগাগোড়াই ব্যক্তি স্বার্থে। -- ইবনে যুবাইর।







 
জাতীয় দ্বীনি স্বার্থ এখানে পুরোপুরিভাবে অনুপস্থিত। সরকারের সাথে বাবুনরীদের এই বুঝাড়ার আগাগোড়াই ব্যক্তি স্বার্থে। 

  দু'টি স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে হেফাজত আমীর বাবু নগরী ও দলের মহানচিব! তুক্কো"" মহাসচিব নুরুল ইসলাম জিহাদি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে দেখা করছেন।
 
.
যে কোনো ভাবেই হোক সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপন করা এবং সারা দেশে গ্রেফতার হওয়া সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, গ্রেফতার ও হয়রানি বন্ধ এবং অতি সত্বর কওমি মাদ্রাসাগুলো খুলে দেয়া।

দু.
সূত্র বলছে, 'আহমদ শফীর মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযুক্ত হিসাবে নাম আসায় শুরু থেকেই অস্বস্তিতে ছিলেন বাবুনগরী। ১৫ জুলাই আল্লামা শফী হত্যা মামলার বিষয়ে আদালতের পরবর্তী তারিখ নির্ধারিত রয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে আল্লামা আহমদ শফীর মৃত্যুর ঘটনায় আসামির তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার বিষয়ে বাবুনগরীর পক্ষ থেকে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।'

     বাবু নগরী বলেন,'  স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাদের  দাবি-দাওয়াগুলো মনোযোগ সহকারে শুনেছেন এবং সে বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন। আমরা আশা করছি সরকার দ্রুত আমাদের দাবিগুলো মেনে নেবেন।'

    তিনি আরও বলেন, 'ব্যক্তিগত কোনো কারণে নয়, জাতীয় ও দীনি স্বার্থে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সোমবার বৈঠক হয়েছে। হেফাজতের বিরুদ্ধে কথিত যে সহিংসতার অভিযোগ করা হচ্ছে, তা সঠিক নয়। হেফাজতের কোনো নেতাকর্মী সহিংসতার সঙ্গে যুক্ত ছিল না। কিছু দুষ্কৃতকারী হেফাজতের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে কয়েকটি জায়গায় পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করেছে। তাদের খুঁজে বের করা দরকার।'

        উপরোক্ত "স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাথে বৈঠক ব্যক্তিগত কোন কারণে নয়,জাতীয় ও দ্বীনি স্বার্থে"-এই কথা দিয়ে তিনি কি বুঝাতে চেয়েছেন তা বোধগম্য নয়। সরকারের সাথে তাদের এই বুঝাপড়া পুরোপুরি  ব্যক্তি স্বার্থে।জাতীয় ও দ্বীনি স্বার্থ এখানে পুরোপুরিভাবে অনুপস্থিত। দ্বীনি ও জাতীয় স্বার্থ বলতে যদি কওমী মাদরাসায় পড়ে ত্বগতের দাসত্বকে বুঝানো হয় তাহলে আমাদের তেমন কিছু আর বলার থাকে না। 

     উল্লেখিত "কিছু দুষ্কৃতকারী হেফাজতের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে কয়েকটি জায়গায় পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করেছে,তাদের খুঁজে বের করা দরকার"-এই কথাগুলো পুরোনো বোতলে নতুন মদের গন্ধ।তৃতীয় পক্ষ জামায়াতের কাঁধে ভর করে নিজেদের সন্নাসীরুপে প্রমাণ করতে প্রতরাণার আশ্রয় গ্রহণ করা।

       ঈমাম আবু হানিফা(রহ.) তৎকালিন শাসকের প্রধান বিচারপতির পদ গ্রহণ না করার দরুন তাঁকে জেলে বন্দী করে অনমাবিক নির্যাতন চালায় এবং শেষ অবদি খাদ্যের সাথে বিষপ্রয়োগে তাঁকে শহীদ করা হয়।
এরা না পারল নবীর উম্মত হতে আর না পারল আদর্শ হানাফি হতে।তবে তারা আদর্শ দেওবন্দী হতে পেরেছে।যে শিকড়ে ত্বগতের দাসত্ব মজ্জা-মেরু ও রক্তের প্রতিটি কণিকায় মিশে একাকার হয়ে আছে
--------------------------------- 
লেখকঃ ইসলামিক আর্টিকেল লেখক ও অনলাইন। 

Post a Comment

0 Comments