Recent Tube

কুমারী,কিন্তু গর্ভবতী- নিছক তার গর্ভবতী হওয়াটাই তার বিরুদ্ধে যিনা প্রমাণের জন্য যথেষ্ট পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্য কিনা? ইবনে যুবাইর।


 


  কুমারী,কিন্তু গর্ভবতী
 নিছক তার গর্ভবতী হওয়াটাই তার বিরুদ্ধে    
যিনা প্রমাণের জন্য যথেষ্ট পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্য    কিনা?

 "স্ত্রীলোকের যখন কোন জানা ও পরিচিত স্বামী বা বাঁদীর অনুরূপ কোন মনিব থাকে না তখন নিছক তার গর্ভবতী হওয়াটাই তার বিরুদ্ধে যিনা প্রমাণের জন্য যথেষ্ট পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্য কিনা এ ব্যাপারে মতবিরোধ আছে। হযরত উমরের (রাঃ) মতে এ সাক্ষ্য যথেষ্ট। মালেকীগণ এ মতটিই গ্রহণ করেছেন। 

   কিন্তু অধিকাংশ ফকীহের মতে, নিছক গর্ভধারণ এতটা মজবুত পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্য নয় যার ভিত্তিতে কাউকে রজম বা কারোর পিঠে একশত বেত্রাঘাত করা যেতে পারে। এত বড় শাস্তির জন্য সাক্ষীর উপস্থিতি অথবা অপরাধের স্বীকৃতি অপরিহার্য। ইসলামী আইনের অন্যতম মূলনীতি হচ্ছে, সন্দেহ শাস্তির নয় বরং ক্ষমার উদ্দীপক হবে। নবী (সা.) বলেন, “শাস্তিসমূহ এড়িয়ে চলো যতদূর সেগুলো এড়িয়ে যাওয়ার অবকাশ থাকে।” (ইবনে মাজাহ) 

    অন্য একটি হাদীসে বলা হয়েছে, “মুসলমানদের থেকে যতদূর সম্ভব শাস্তি দূরে রাখো। যদি কোন অপরাধীকে শাস্তি থেকে নিষ্কৃতি দেবার কোন পথ পাওয়া যায় তাহলে তাকে ছেড়ে দাও। কারণ শাসকের ক্ষমা করে দেবার ব্যাপারে ভুল করা তার শাস্তি দেবার ব্যাপারে ভুল করার চেয়ে ভালো।” (তিরমিযী)

    এ নিয়ম অনুযায়ী গর্ভবর্তী হওয়া সন্দেহের জন্য যতই শক্তিশালী ভিত্তি হোক না কেন তা কোনক্রমেই যিনার নিশ্চিত প্রমাণ নয়। কারণ কোন পুরুষের সাথে সঙ্গম ছাড়াও কোন মেয়ের গর্ভাশয়ে কোন পুরুষের শুক্রের কোন অংশ পৌঁছে যাওয়ার এক লাখ ভাগের এক ভাগ সম্ভাবনাও আছে এবং এর ফলে সে গর্ভবতীও হয়ে যেতে পারে। এতটুকু হালকা সন্দেহও অপরাধিনীকে ভয়াবহ শাস্তির হাত থেকে বাঁচাবার জন্য যথেষ্ট হতে হবে। 

    প্রশ্ন হতে পারে যে,উপরোক্ত বিষয়ের উপর বৈজ্ঞানিক কোন ভিত্তি আছে কিনা?

   ২০১৩ সালে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল একটি গবেষণায় দেখিয়েছে,'অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি দুইশ' কিশোরীর একজন কুমারী, কিন্তু গর্ভবতী৷ একটি গবেষণায় নিজেদের বিষয়ে এ তথ্যই জানিয়েছেন তারা৷

  এক-দুই বছর নয়, দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে ৭,৮৭০ নারীর উপর গবেষণা চালিয়েছেন মার্কিন গবেষকরা৷ ১৯৯৫ সালে গবেষণার শুরু, যখন এসব নারীদের বয়স ছিল ১২ থেকে ১৮ বছর৷ ঐ নারীদের মধ্যে ৪৫ জন জানিয়েছেন তাঁরা কুমারী, কিন্তু গর্ভবতী হয়েছেন৷ অর্থাৎ তাঁরা যোনী সঙ্গম না করেও গর্ভধারণ করেছেন৷ এই নারীরা গবেষণায় অংশ নেয়া মোট নারীদের ০.৫ ভাগ৷

    তাঁদের সবাই জানিয়েছে, ইন-ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন বা আইভিএফ পদ্ধতিতে তাঁরা কেউ গর্ভবতী হননি৷ ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল বিএমজে তাদের ক্রিসমাস প্রকাশনায় এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে৷ যেখানে গবেষকরা লিখেছেন, এই ৪৫ জনের মধ্যে নানাভাবে গর্ভপাত ঘটানো হয়েছে বা ঘটেছে৷

     আল কুরআনের জ্ঞানের এই অতলান্ত সাগরের মুনি-মুক্তার ভান্ডার থেকে যতই মনি মুক্তা আহরণ করা হোক না কেন তা চিরকালই অজস্র ও অপরিমেয়ই থেকে যাবে। এ ছাড়াও পবিত্র কোরআনের জ্ঞানসাগরের অজস্র দিক গবেষকদের কাছে আজও অজানা রয়ে গেছে।

    ইতিহাস সাক্ষী, পবিত্র কোরআনই মানব জাতির ওপর এবং তাদের সভ্যতা সংস্কৃতির ওপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছে । এ মহাগ্রন্থের শিক্ষা খুব দ্রুত মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ ও সমীহ আদায় করতে সক্ষম হয়।সেই ইসলাম,ইসলামী শাসন ব্যবস্হা প্রগতিশীল মুসলমান নর নারীর জন্য পছন্দ নয়।

Post a Comment

0 Comments