Recent Tube

কোন অহংকারী জান্নাতে যাবে না। (মুসলিমঃ ৯১) সম্পাদনায়ঃ ড. আবুল কালাম আজাদ।




কোন অহংকারী জান্নাতে যাবে না। (মুসলিমঃ ৯১)
لا يَدْخُلُ الجَنَّةَ مَن كانَ في قَلْبِهِ مِثْقالُ ذَرَّةٍ مِن كِبْرٍ قالَ رَجُلٌ: إنَّ الرَّجُلَ يُحِبُّ أنْ يَكونَ ثَوْبُهُ حَسَنًا ونَعْلُهُ حَسَنَةً، قالَ: إنَّ اللَّهَ جَمِيلٌ يُحِبُّ الجَمالَ، الكِبْرُ بَطَرُ الحَقِّ، وغَمْطُ النَّاسِ.
الراوي : عبدالله بن مسعود. المحدث : مسلم.
المصدر : صحيح مسلم. الصفحة أو الرقم: 91.
আজ পর্যন্ত কাউকে পাবেন না, যিনি স্বীকার করবেন যে তিনি অহংকারী। কিন্তু অহংকার এমন একটা ভয়ানক মানসিক ও চারিত্রিক রোগ যা সহজে বুঝতে পারা যায় না অনেক সময়। 
এজন্যে, আমাদের বুঝতে হবে অহংকারের সংঙ্গা কি? 

  এর আরবি প্রতিশব্দ হলো কিবরু।‌
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল-কিবরু বা অহংকারের সংগা দিয়েছেনঃ
সত্যকে অস্বীকার করা এবং মানুষকে হেয় করা। 
ভাষাবিদ ইমাম আল-যুবাঈদী বলেছেনঃ 
অহংকার হলো নিজকে বড় মনে করা, নিজের ভালো গুণের প্রীত হওয়া, মানুষদেরকে নীচ ও ছোট মনে করা, যাদের প্রতি বিনয়ী হওয়া দরকার তাদের চেয়ে নিজকে উঁচু মনে করা। 
معنى الكِبْر لغةً:  
الكِبْر: العَظَمَة والتَّجَبُّر، كالكِبْرِياء، وقد تَكَــبَّرَ واسْتَكْبَرَ وَتَكابَرَ، والتَّكَبُّر والاسْتِكْبار: التَّعَظُّم، والكِبْر بالكسر: اسم من التكبر  (1) .
معنى الكِبْر اصطلاحًا:
معنى الكِبْر جاء تعريفه في حديث النبي صلى الله عليه وسلم فقد قال: ((الكِبْر بطر الحق، وغمط الناس  ))  (2) .
وقال الزَّبيدي: (الكِبْر: حالةٌ يتخصَّص بها الإنسان من إعجابه بنفسه، وأن يرى نفسَه أَكْبَر من غيره)  (3) .
وقيل الكِبْر هو: (استعظام الإنسان نفسه، واستحسان ما فيه من الفضائل، والاستهانة بالناس، واستصغارهم، والترفع على من يجب التواضع له) 

অহংকারের কিছু নমুনাঃ

১- সে কিচ্ছু জানে না (মানে- আমি বেশি বা অনেক জানি) 
২- আমি এ বিষয়ের এক্সপার্ট বা বিশেষজ্ঞ
৩- ওরা তো চুনোপুঁটি
৪- সে ছোট লোকের বাচ্চা (ফকিন্নির পোলা)
৫- এখানকার সব ইট আমাকে চেনে। 
৬- আমি না হলে তুই কোথায় যেতিস।‌
৭- আমি যা করেছি তোদের জন্যে!!
৯- আরে তার কথা বলেন না- সে একেবারেই বোকা ও মূ্র্খ। 
১০- আমি না থাকলে তোর ভাত জুটতো না।‌

আরো অনেক কথা আমরা বলি যা শুধু অহংকারকেই প্রতিফলিত করে। 

মানুষ কেন অহংকার করে? 
১- যখন শয়তান তাকে কৌশলে গ্রাস করে ফেলে। তখন তার নিজের কথা, কাজ ও কৌশলকে নিটুট, নির্ভেজাল ও সর্বোত্তম ভাবতে শুরু করে এবং অন্যের বিশ্বাস, কথা ও কাজে সন্দেহ করতে থাকে এবং  অন্যের ভুলকে বড় করে ধরে নিজের গৌরবকে ফুটিয়ে তোলে।‌
২- নিজের বোকামী থাকলে অন্যকেও বোকা মনে করে, যা হয় প্রকান্তরে অহংকার।‌
৩- নিজের বড় বড় ত্রুটি ঢাকতে অন্যের ত্রুটি নিয়ে ব্যস্ত থাকে।‌
৪- আল্লাহর ভয় কম থাকলে বা না থাকলে অহংকার ঢুকে যায়। 
৫- নিজের আশেপাশে চাটুকার ও অযোগ্য লোক থাকলেও লোকেরা অহংকারী হয়ে যায়। 
৬- নিজে যা পাবার যোগ্য তার চেয়ে বেশী পেয়ে গেলেও মানুষে অহংকারী হয়ে যায়। 
৭- নিজের প্রশংসা অন্যের মুখে বেশী করে শুনতে থাকলেও মানুষ অহংকারী হয়ে যায়। 
৮- নিজের আত্মসমালোচনা যত কম হয়, অহংকার তত বেশি সুযোগ পেয়ে যায়। 
৯- অন্যের মুখে নিজের সমালোচনা শোনার ধৈর্য্য কমে গেলেও আস্তে আস্তে মনে অহংকার ঢুকে পড়ে।‌
১০- কথা-কাজে-আচরণে বিনয় কমে গেলে অহংকার জায়গা করে নিতে থাকে। 

আল্লাহ, আমার মনে কোন অহংকার থাকলে তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও। আমীন।

Post a Comment

0 Comments