Recent Tube

ইয়া'জুজ মা'জুজ কারা? -৩, মুহিউল ইসলাম মাহিম চৌধুরী।



           
   ইয়া'জুজ, মা'জুজ কারা?
                             র্ব-৩,


বাদশাহ জুলকারনাইনের প্রাচীরের খোঁজে.....
অরুণাচল থেকে চীনের প্রাচীর
 =========♦♦♦♦♦==========

   ইয়া'জুজ মা'জুজের উৎপাত থেকে জনপদ বাঁচাতে অাল কোরআনের বর্ণনা অনুযায়ী অল্পবয়সী ন্যায়পরায়ণ বাদশাহ জুলকারনাইন যে প্রাচীরটি নির্মাণ করেছিলেন সেটি কোথায়?  তা খুঁজতে গিয়ে রাতের বেলা লাকড়ী কোড়ানোর মত অবস্থায় পতিত হয়েছেন গবেষকরা ।
এই প্রাচীরটির সঠিক অবস্থান নির্ণয় করার ক্ষেত্রে আমরা আছি এখনও বর্ণমালার ক্লাশে ।

  এ সম্পর্কে নানা মতবাদ প্রচলিত। একটি মতবাদ অনুসারে, কুরআনের বর্ণনা অনুযায়ী অরুণাচলে, যেখান থেকে সূর্য উদিত হয় সেখানে ইয়াজুজ, মাজুজের হাত থেকে জনগণকে রক্ষা করার জন্য দেয়াল তুলে দিয়েছিলেন জুলকারনাইন। আর সে স্থানটি পাহাড়ের প্রাচীরের মাঝখানে। এই বর্ণনার সাথে মিলে যায় এমন একটি দেয়াল রয়েছে কাসপিয়ান সাগর উপকূলে। ইতিহাসবিদদের দ্বারা স্বীকৃত যে এ দেয়াল তৈরি করেছিলেন আলেকজান্ডার। যা তৈরি করতে লোহা ও তামা ব্যবহৃত হয়েছে।
জুলকারনাইন ও লোহা এবং তামা ব্যবহার করেছিলেন সেই প্রাচীর নির্মাণে ।

  আল কোরআন বলছে---অবশেষে যখন তিনি দুই পর্বত প্রাচীরের মধ্যস্থলে পৌছলেন; তখন তিনি সেখানে এক জাতিকে পেলেন; যারা তার কথা একেবারেই বুঝতে পারছিল না। তারা বলল, হে যুলকারনাইন; ইয়াজুজ ও মাজুজ দেশে অশান্তি সৃষ্টি করেছে; আপনি বললে আমরা আপনার জন্য কিছু কর ধার্য করব এই শর্তে যে; আপনি আমাদের ও তাদের মধ্যে একটি প্রাচীর নির্মাণ করে দেবেন; তিনি বললেন, আমার পালনকর্তা আমাকে যে সামর্থ্য দিয়েছেন, তাই যথেষ্ট। অতএব তোমরা আমাকে শ্রম দিয়ে সাহায্য কর; আমি তোমাদের ও তাদের মধ্যে একটি সুদৃঢ় প্রাচীর নির্মাণ করে দেব; তোমরা আমাকে লোহার পাত এনে দাও।

  অবশেষে যখন পাহাড়ের মধ্যবর্তী ফাকা স্থান পূর্ণ হয়ে গেল; তখন তিনি বললেন, তোমরা হাঁপরে দম দিতে থাক; অবশেষে যখন তা আগুনে পরিণত হল; তখন তিনি বললেন, তোমরা গলিত তামা নিয়ে এসো; আমি তা এর উপরে ঢেলে দেই। অতঃপর ইয়াজুজ ও মাজুজ তার উপরে আরোহণ করতে পারল না; এবং তা ভেদ করতেও সক্ষম হল না। যুলকারনাইন বললেন, এটা আমার পালনকর্তার অনুগ্রহ; যখন আমার পালনকর্তার প্রতিশ্রুত সময় আসবে, তখন তিনি একে চূর্ণ বিচূর্ণ করে দেবেন; এবং আমার পালনকর্তার প্রতিশ্রুতি সত্য। আমি সেদিন তাদেরকে দলে দলে তরঙ্গের আকারে ছেড়ে দেব এবং শিঙ্গায় ফুঁৎকার দেয়া হবে; অতঃপর আমি তাদের সবাইকে একত্রিত করে আনব।    

 সূরা কাহাফ, আয়াত নং- ৯৩ – ৯৯।

 অন্যত্র মহান অাল্লাহ বলেন,

 ''তারা আপনাকে জুলকারনাইন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। বলুনঃ আমি তোমাদের কাছে তাঁর কিছু অবস্থা বর্ণনা করব।

  আমি তাকে পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠিত করেছিলাম এবং প্রত্যেক বিষয়ের কার্যোপকরণ দান করেছিলাম। অতঃপর তিনি এক কার্যোপকরণ অবলম্বন করলেন।অবশেষে তিনি যখন সুর্যের অস্তাচলে পৌছলেন; তখন তিনি সূর্যকে এক পঙ্কিল জলাশয়ে অস্ত যেতে দেখলেন এবং তিনি সেখানে এক সম্প্রদায়কে দেখতে পেলেন। আমি বললাম, হে জুলকারনাইন! আপনি তাদেরকে শাস্তি দিতে পারেন অথবা তাদেরকে সদয়ভাবে গ্রহণ করতে পারেন।"

  এবার আসুন,আমরা আলেকজান্ডারের প্রাচীরের সাথে মিল পাচ্ছি জুলকারনাইনের প্রাচীরের । আর যদি ধরে নেই এটিই সেই প্রাচীর তাহলে আমাদেরকে মেনে নিতে হবে জুলকারনাইন এবং আলেকজান্ডার এক ব্যাক্তি । যিনি আল্লাহর নবীও হতে পারেন।।
এই ক্ষেত্রে আমরা খুঁজবো জুলকারনাইন এবং আলেকজান্ডারের মধ্যে মিল -অমিল । 

♦ কথা কিন্তুু শেষ নয়। আমাদেরকে এবার যেতে হবে চীনের প্রাচীরের কাছে -- সূতরাং সাথেই থাকুন।।
----------------- 
লেখক ; কলামিস্ট, প্রবন্ধ লেখক ও অনলাইন এক্টিভিস্ট 

Post a Comment

0 Comments