Recent Tube

প্রাইজ বন্ড এর লটারিতে প্রাপ্ত অর্থ সুদ; আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল।




 
প্রা বন্ড এর লটারিতে প্রাপ্ত অর্থ সুদ;
--------------------------------- 

প্রশ্ন: 
বাংলাদেশের প্রাইজ বন্ডের লটারির টাকা হালাল নাকি হারাম?

ত্ত:
 প্রাইজ বন্ড সম্পর্কে ইসলামের বিধান সম্পর্কে জানার জন্য সর্বপ্রথম জানা প্রয়োজন প্রাইজ বন্ড কি?

  💷 💵 প্রাইজ বন্ড কি?

  বাংলাদেশ সরকার বর্তমানে ১০০ টাকা দরে প্রাইজ বন্ড নামক এক প্রকার ‘কাগুজে মুদ্রা’ বিক্রয় করে। আর জনগণ যার যত খুশি সেগুলো ক্রয় করে। তারপর সরকার কর্তৃক প্রায় তিন মাস পরপর পর বছরে ৪বার এগুলোর উপর লটারি ড্র করে এবং বিজয়ীদেরকে প্রায় ৬ লাখ, ৩ লাখ, ১ লাখ, ৫০ হাজার, ১০ হাজার ইত্যাদি বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেয়া হয়। মানুষ মূলত: এ সব পুরষ্কার পাওয়ার লোভে এ সব ক্রয় করে থাকে।

    উল্লেখ্য যে, লটারিতে বিজয়ী হোক অথবা না হোক প্রাইজবন্ড ধারীরা যে কোন সময় সরকারি ব্যাংক, বাণিজ্যিক ব্যাংক, জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের সঞ্চয় ব্যুরো অফিস অথবা পোস্ট অফিসের মাধ্যমে প্রাইজ বন্ড ভাঙ্গিয়ে তার সমপরিমাণ টাকা উঠিয়ে নিতে পারবে। অর্থাৎ সকলেই তাদের মূল টাকা ফেরত পাবে।

  💰 শরীয়তের দৃষ্টি প্রাইজ বন্ড এর লটারি হারাম কেন?

 আমরা উপরের আলোচনা থেকে বুঝলাম, প্রাইজ বন্ড সরকার কর্তৃক সাধারণ জনগণ থেকে ঋণ নেয়ার একটি সিস্টেম। মানুষ সেগুলো ক্রয় করার মাধ্যমে মূলত: সরকারকে ঋণ দেয়। সরকার আবার সেগুলো তাদের নিকট থেকে ক্রয় করে ঋণ পরিশোধ করে। এই ঋণ লেনদেন প্রক্রিয়ার মাঝখানে লটারির মাধ্যমে কতিপয় মানুষকে পুরষ্কার প্রদান করা হয়।

    এই পুরস্কারটাই রিবা বা সুদ। কেননা, ইসলামের দৃষ্টিতে ঋণের কারণে যদি অতিরিক্ত কিছু ফায়দা দেয়া হয় তাহলে সেটাই সুদ। আর ইসলামে সুদ ভয়াবহ অপরাধ।

   সুতরাং আমরা এ সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারি যে, প্রাইজ বন্ড এর লটারি সিস্টেমটা একটি হারাম সিস্টেম। সুতরাং এতে অংশ গ্রহণ করা বৈধ নয়। অন্যথায় সুদের সাথে জড়িত হওয়ার কারণে গুনাহগার হতে হবে। 
আল্লাহ আমাদেরকে হেফাজত করুন। আল্লাহুম্মা আমীন।
هذا ما أري والله أعلم بالصواب
-----------------------
ত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল;
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সৌদি আরব।
#abdullahilhadi

Post a Comment

0 Comments