Recent Tube

কি ছিল ষঢ়যন্ত্রের প্রকৃতি? ইবনে যুবাইর।






 
কি ছিল ষঢ়যন্ত্রের প্রকৃতি?

মামুনুল হক কে নিয়ে  ষঢ়যন্ত্রকারীগণ বাইরের কেউ নয়, তার একান্ত আপনজনরাই এই জঘন্য খেলায় মেতে উঠে।



 মামুনুল হক জেলে কেন এই প্রশ্ন কি নিজেকে করেছেন কখনো?
যদি করে থাকেন তবে কি উত্তর পেয়েছেন?
হয়তো উত্তর পেয়েছেন, তিনি রিসেট কান্ডের জন্যই জেলে আছেন।  না,ভাবনাটা সঠিক নয়।উত্তরও সঠিক হয়নি।

মামুনুল হককে নিয়ে ষঢ়যন্ত্রের জাল অনেকদিন আগে থেকে চলে আসছিল। আবার সবচেয়ে দুঃখজনক ব্যাপার হল,ষঢ়যন্ত্রকারীগণ বাইরের কেউ নয়, তার একান্ত আপনজনরাই এই জঘন্য খেলায় মেঠে উঠে।

কি ছিল ষঢ়যন্ত্রের প্রকৃতি?

সরকারের নিকট মামুুনুল হকের বিরুদ্ধে একটি তালিকা দেয়া হয়।তালিকার ফিরিস্তি খুব বড় না হলেও অপরাধগুলো ছিল মারাত্নক ভয়ানক।

অভিযোগঃ-

[১] ঢাকার সাতমসজিদ রোডে অবস্থিত জামি’আ রহমানিয়া আরাবিয়া কওমী মাদ্রাসা।এই মাদ্রাসা অবৈধ দখলদার, যার মূল ক্রীড়ানক মাওলানা মামুনুল হক গং।

মামুনুল হক গং উক্ত মাদ্রাসাটিতে জোর করেই দখলদারিত্ব বজায় রাখে এবং অন্যান্য মাদ্রাসা দখলের সুক্ষ ষঢ়যন্ত্রে সক্রিয় থাকে। 

২] মামুনুল হক বিভিন্ন সভা-সমাবেশে সাম্প্রদায়িক, সরকারবিরোধী, উস্কানিমূলক এবং বিভ্রান্তিকর বক্তব্য প্রদান করে সাধারণ মানুষজন, বিশেষ করে তরুণ সমাজকে ক্ষেপিয়ে তুলেন। 

[৩]  প্রশিক্ষিত ও সুসংগঠিত সাইবার ইউনিট গড়ে তুলার মাধ্যমে বিভিন্ন রকম ষড়যন্ত্রমূলক কার্যক্রমে মেতে থাকেন।

[৪] আল্লামা শাহ আহমদ শফীর ইন্তেকালের পর জানাযার দিন জামায়াত-শিবিরের কৌশলী উপস্থিতি এবং জানাযার সার্বিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের নেতৃবৃন্দকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করা।এছাড়া, আহমদ শফীর লাশ বহনকারী খাটিয়া বহন করে জামায়াতের আমীর ও সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরী। 

[৫] মাওলানা মামুনুল হক সুকৌশলে জামায়াত-শিবিরের নেতৃবৃন্দকে সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ করে দিয়ে জামায়াতের সাথে হেফাজতের একটি সেতুবন্ধন তৈরির প্রচেষ্টা চালা এবং হেফজতে ইসলামকে জামায়াতের ছত্রছায়ায় নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করা।

[৬] মামুনুল হকের স্ত্রী একসময় শিবিরের সক্রিয় সদস্য ছিল।তার শ্বশুরকুলের আত্মীয় স্বজনদের অনেকেই এখনো জামায়াত শিবিরের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত।  

[৭]জুনায়েদ বাবুনগরী এবং মহাসচিব নূর হোসেন কাসেমীকে ব্যবহার করে তিনি অনেক বয়োজ্যৈষ্ঠ্য, ত্যাগী ও পরীক্ষিত হেফাজত নেতাদের ডিঙ্গিয়ে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটিতে যুগ্ম মহাসচিব পদটি বাগিয়ে নেয়া। 

অভিযোগগুলো খুব সাজানো গোছানো এবং এগুলোর সাথে মামুনুল হকের কোন সম্পর্ক ছিল বলে মনে করার কোন কারণ নেই।উপরোক্ত ৪-৫-৬ নং অভিযোগ থেকে বাঁচতে মাঝে মধ্যেও তিনি জামায়াত শিবিরের বিরুদ্ধে কথা বলতেন।

এই বিরোধীতা শুধু বিরোধীতার করার জন্য  করা হত না।নিজেকে জামায়াত শিবিরের ট্যাগ মুক্ত রাখার জন্যই মনের বিরুদ্ধে গিয়েও তিনি জামায়াত শিবিরের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করতেন।কিন্তু বাঁচতে পারেননি।

কেন পারেননি?মোদি ও ভাস্কর্য বিরোধী আন্দেলনে পূর্ব পরিকল্পনা মাফিক ফরিদ মাসুদ এবং বড় ভাই চরমোনাই গ্রুপ মামুনুল হককে ময়দান গরম করার কথা বলে মাঠে নামিয়ে দেয়।গাছে উঠিয়ে দিয়ে পিছন থেকে থেকে মই টেনে নেয়া হয় সুকৌশলে।

রিসেট কান্ডের খল নায়কও ছিল ফরিদ মাসুদ আর চোরমোনাই গ্রুপ।তাদের সাথে যোগ হয় আনাস মাদানী গ্রুপ এবং কওমীর শীর্ষ পর্যায়ের বর্ণচোরা পদলোভী আলেমগণ। 
আমি সেই সময় বারবার একই কথা লিখেছিলেন,মামুনুল হক ভুল পথে হাঁটছেন।তাকে ভুল পথে হাঁটতে প্ররোচিত করা হচ্ছে।একটা ষধযন্ত্র,গভীর ষঢ়যন্ত্র মামুনুল হককে গ্রাস করে নিচ্ছে।

তিনি বুঝতে পারেননি,বিশ্বাসও করেননি, তার জ্ঞাতী ভাই পীর ফয়জুল,ফরিদ মাসুদ,হাফিজুরগং,মাদানিগংরা সরকারের সাথে হাত মিলয়ে তাকে খাঁচায় বন্দি করার জন্য সব বন্দবস্ত পাকা করে রেখেছে।আজও বড় ভাইদের ষঢ়যন্ত্র তিনি বুঝতে পেরেছেন কি না এবং যারা মামুনুল হকের ভক্ত অনুসারী তারা কতটুকু  বুঝেছেন, যদি না বৃঝে থাকেন তবে বিশ্বাস আর ভুলের মাশুশগুলো এভাবেই আরও অনেক বেশি দিতে হবে।

Post a Comment

0 Comments