Recent Tube

বিতি কিচ্ছা -৮৩, নুর মুহাম্মদ চৌধূরী;




 
                      বিতি কিচ্ছা;
                              র্ব -৮৩;


 আবার কি স্বাধীনতা?
--------------------
  আজ স্বাদের স্বাধীনতার পঞ্চাশ বর্ষপূর্তীতে অর্থাৎ স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে এসে দেখি- দেশের মানুষের স্বাধীনতার স্বাধ ভোঁতা হয়ে গেছে । সম্ভবত জাতীয় পতাকা উড়তে দেখিনি কোথাও, বিশেষ করে কোন বেসরকারি মহলে। তবে মোদিবরণ অনুষ্টানে অবৈধ দখলদার ক্ষমতাসীনদের উপস্হিতিতে ভারতীয় জাতীয় সঙ্গীত ধ্বনিত হয়েছে। আর আলেম উলামার রক্তে রঞ্জিত হয়েছে রাজপথ। 

   আসলে মরে যাওয়া চেতনা নিয়ে কোন জাতী টিকে থাকতে পারে না, বরং ক্রমশ: অস্তিত্বহীন হতে থাকে। আমি আশাহত হয়ে দেখতে পাচ্ছি আমার এই ধ্বংসন্মোখ জাতী খুব দ্রুতই স্বীয় জাতীসত্বার কবর রচনায় ব্যস্ত হয়ে পড়ছে। উপর থেকে নীচ পর্যন্ত সর্বত্র বিজাতীয় সংস্কৃতি লালনের প্রাণান্তকর প্রচেষ্টায় যে জাতী সাচ্ছন্দ্য বোধ করে সে জাতী বিলীন হয়েই গেছে বলতে দ্বিধা কোথায় ?
 

   এই সেই দেশ : যেখানে উদারতার নাম দুর্বলতা, সত্যবাদীতার নাম বোকামী তথা পশ্চাদপদতা, আর জলজ্যান্ত মিথ্যাচারীতার নাম চালাকী কিংবা বুদ্ধিমত্তা, যেখানে সৎকাজের পুরষ্কার হয় উপহাস্ কিংবা উপেক্ষা, সেখানে অত্যন্ত মার্জিত ইসলামী জীবনাচারকে তাচ্ছিল্য করা একটা নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা হিসাবে দেখতে পাওয়া যায়। তাইতো মনে পড়ে স্বাধীনতার ঊষা লগ্নে দুর্ণীতিবাজ ক্ষমতাসীনদের অপকর্মের বিরুদ্ধে  গর্জে উটা মুক্তিযুদ্ধের নবম সেক্টরের কামাণ্ডার মেজর (অব:) এম এ জলিলের বাণী ' স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করাই বড় কঠিন কাজ'। দুর্ভাগ্যবশত দেশের স্বাধীনতা আজ তাদের হাতেই বিপন্ন যারা একচেটিয়াভাবে এদেশের স্বাধীনতার ঠিকাদার বলে মনে করে থাকে নিজেদেরকে। 

  কিন্তু না, এই ঠিকাদারী লকবটি আসলে যথার্থ দাবীর স্থলে যুক্ত করা হয় নাই। প্রকৃতপক্ষে যে আওয়ামীলীগের নেতৃত্ব আর যে মুক্তিযোদ্ধার আত্বত্যাগের ফলে অর্জিত হয়েছিল এই স্বাধীনতা, সেই আওয়ামীলীগ যেমন আগের বৈশিষ্টে বিদ্যমান নাই, তেমনি সেই মুক্তিযোদ্ধারাও নাই বর্তমানের এই বিকৃত আওয়ামীলীগে। এবং এর বাস্তবতা আমরা ইতিপুর্বে প্রকাশিত রাজাকারের তালিকা থেকেই জ্ঞাত হয়েছি। তালিকায় প্রকাশিত তথ্য মতে ১০৯৭৮ জন রাজাকারের মধ্যে প্রায় ১০০০০ জন রাজাকারই বর্তমান আওয়ামীলীগে ঘাপটি মেরে বসে আছে। 

  বর্তমান আওয়ামীলীগ প্রধানের কি অবদান আছে মুক্তিযুদ্ধে - অনুসন্ধানী ইতিহাস পাঠকরা তা ভাল করেই জানে। তাই বলে এদেশের কোন মুক্তিযাদ্ধা অথবা কোন মুক্তিযাদ্ধা সন্তানকে বর হিসাবে নিতে আগ্রহী হননি  তিনি অথবা তার কন্যা। প্রতিষ্টিত রাজাকার পরিবারে ঘরণী হওয়া ছাড়া কি করার ছিল তাদের। এ ছাড়া সুবিখ্যাত রাজাকার পুত্র আওয়ামীলীগের টিকেটে সংসদ সদস্য হয়ে বিতর্কিত যুদ্ধাপরাধ আইনের প্রস্তাব করে স্বীয় পিতার কলংক মশহুর করলো সারা দেশময়। ফলশ্রুতিতে কয়েকজন নিষ্টাবান দেশপ্রেমীক মুক্তিকামী সুধীজনকে হারিয়েছে দেশ । প্রকৃতপক্ষে তাদের মত গুণধর ধারণ করার মত গর্ভধারিণী ওর ভাগ্যে ঝুটেনি । আর ঝুটবেইবা কিভাবে ? আপাদমস্তক শয়তানী রঙ যাদের রক্তে প্রবাহমান , যারা সময়ের পরিবর্তনে নিজেদের রঙ বদলাতে পারঙ্গম, তাদের হাতে দেশ ও জাতীর স্বাধীনতা আর সার্বভৌমত্ব হুমকিতে পড়বেনাতো আর হবেটা কি। 

   অত:পর দেশের স্বাধীনতার পঞ্চাশ বর্ষপূর্তীতে দেশময় নাই উৎসবের আমেজ, নাই পতাকার ছড়াছড়ি গাড়ীতে কিংবা দালানে, বরং দেশময় অরাজকতা, বিশৃংখ্যলা, হানাহানী, রক্তের হোলিখলা। এই দিনের নাম ২৬ শে মার্চ ২০২১। এটাকি আমাদের স্বাধীনতা দিবস্? চারিদিকে যুদ্ধ যুদ্ধ সাজ, বারুদের গন্ধ । আবার হবে কি স্বাধীন আমার প্রীয় এই প্রাণের বাংলা?

Post a Comment

0 Comments