Recent Tube

ইসলামের অনেক পরিভাষা কাটসাট হতে হতে পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে ; সাইফুল ইসলাম।


 ইসলামের অনেক পরিভাষা কাটসাট হতে হতে পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে ; 

 ইসলামের অনেক পরিভাষা কাটসাট হতে হতে পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে একথা আমার উস্তাদের মুখে বহুবার শুনেছি। উনি উদাহরণ দিতে গিয়ে বলতেন--

 ইসলামি পরিভাষায় যিনি বিচার কার্য্য পরিচালনা করতেন তাকে কাজী বলা হতো।কিন্তু ব্রিটিশ গভর্নমেন্ট হিন্দুস্তানে আসার পর এ পরিভাষাটি পরিবর্তন করে ভিন্ন অর্থে ব্যবহার করতে থাকে।এমন পরিবর্তন হলো যে, কাজী বলতে আর কেউ বিচারক বুঝে না। কাজী শব্দ উচ্চারণ করতেই মন চলে যায় বিবাহ সম্পাদনকারী ব্যক্তির দিকে। এটা কি ইসলামের পরিভাষা পরিবর্তন নয়?

তেমনিভাবে খলিফা বলতে ইসলামী রাষ্ট্র প্রধানকে বুঝানো হয়। এ পরিভাষাটিও ধীরে ধীরে পরিবর্তন হয়ে যায়। বর্তমান সময়ে যিনি কাপড় সেলাই করেন তাকে খলীফা বলাহয়। 
তেমনিভাবে পীর সাহেব যাকে মুরিদ করার অনুমতি প্রদান করেন তাকে ঐ পীর সাহেবের খলিফা বলা হয়।

এ দুটি ক্ষেএেই খলীফা শব্দের বিকৃতি ও পরিবর্তন ঘটেছে। যদিও পীরের ক্ষেএে খলীফা বুঝানোর জন্য ভিন্ন একটি শব্দের ব্যবহার থাকলেও এর ব্যাপক প্রচার ও ব্যবহার না হওয়াটা এক ধরনের ব্যর্থতা।

তেমনিভাবে ইবাদত শব্দটিও  জনসাধারণের মাঝে অনেকটাি ভুল অর্থে ব্যবহার হয়ে আসছে সুদীর্ঘ কাল ধরে। জনগন মনে করে শুধু নামাজ রোজা ঠিক ঠাক কিছু করতে পারলেই সে নামাজী মুত্তাকী। পর্দা না করলেও পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়লেই সে মুত্তাকী।

কিন্তু  কুরআনের ভাষায়-চব্বিশ ঘন্টা আল্লাহর নির্দেশ মত,রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর তরিক্বা মত এবং সাহাবায়ে কেরামের নমুনায় জীবন পরিচালনা করাকে ইবাদত বলে।
রাজনীতি, অর্থনীতি,সমাজনীতি সহ জীবনের সকল দিক যে ইবাদতের মধ্যে সামিল জাতি আজ তা ভুলে গিয়েছে। তানাহলে মানুষ কিভাবে বলতে পারে ধর্ম ও রাজনীতি পৃথক জিনিস। 

ঠিক তেমনি ভাবে জিহাদ শব্দের মাঝেও পশ্চিমারা বিকৃতি সাধন করেছে। জিহাদ ছিল শান্তির বার্তা। কিন্তু এ জিহাদকে এমন ভাবে তারা উপস্থাপন করলো যে, জিহাদ মানেই আতংক, সন্ত্রাস,মারামারি, কাটাকাটি,অশান্তি,অন্যভাবে হত্যা ও দেশদখল।মিডিয়ার প্রচারের মাধ্যমে জাতিকে তারা ভুল অর্থ বুঝাতে সক্ষম হলো।

এভাবেই ইয়াহুদী, খৃষ্টান ও মুশরিকরা ইসলামের মুল পরিভাষা বিকৃতি ও পরিবর্তন সাধন করে মুসলমানদেরকে ইসলামের মৌলিক বিষয় বুঝা থেকে দূরে সরিয়ে নিচ্ছে আর আমরা তাদের চক্রান্ত বুঝতে অক্ষম হচ্ছি নিজেরা রেষারেষি করে।

মুখ বন্ধ করে না রেখে এ বিষয়ে কথা বলার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি।যদিও স্বজাতি অনেকেই আক্রমণ করে বসবে।তাতে কি আসে যায় কথাতো বলতে হবে।ভুল হলে সংশোধন করতে হবে।

Post a Comment

0 Comments