Recent Tube

আল কুরআন।

                    সূরা আল কাসাস

সূরা নম্বরঃ ২৮, 
আয়াত নম্বরঃ ১১;
وَقَالَتْ لِاُخْتِهٖ قُصِّيْهِ‌ فَبَصُرَتْ بِهٖ عَنْ جُنُبٍ وَّهُمْ  لَا يَشْعُرُوْنَۙ
 সে মূসার ভগ্নিকে বলিল, 'ইহার পিছনে পিছনে যাও।' সে উহাদের অজ্ঞাতসারে দূর হইতে তাহাকে দেখিতেছিল।

 আয়াত নম্বরঃ ১২;
وَحَرَّمْنَا عَلَيْهِ الْمَرَاضِعَ مِنْ قَبْلُ فَقَالَتْ  هَلْ اَدُلُّـكُمْ عَلٰٓى اَهْلِ بَيْتٍ يَّكْفُلُوْنَهٗ لَـكُمْ وَهُمْ لَهٗ  نٰصِحُوْنَ
 পূর্ব হইতেই আমি ধাত্রী-স্তন্যপানে তাহাকে বিরত রাখিয়াছিলাম। মূসার ভগ্নি বলিল, তোমাদেরকে কি আমি এমন এক পরিবারের সন্ধান দিব যাহারা তোমাদের হইয়া ইহাকে লালন-পালন করিবে এবং ইহার মঙ্গলকামী হইবে?'

 আয়াত নম্বরঃ ১৩;
فَرَدَدْنٰهُ اِلٰٓى اُمِّهٖ كَىْ تَقَرَّ عَيْنُهَا وَلَا تَحْزَنَ  وَلِتَعْلَمَ اَنَّ وَعْدَ اللّٰهِ حَقٌّ وَّلٰـكِنَّ اَكْثَرَهُمْ لَا يَعْلَمُوْنَ
 অতঃপর আমি তাহাকে ফিরাইয়া দিলাম তাহার জননীর নিকট যাহাতে তাহার চক্ষু জুড়ায়, সে দুঃখ না করে এবং বুঝিতে পারে যে, আল্লাহ্‌র প্রতিশ্রুতি সত্য; কিন্তু অধিকাংশ মানষু ই ইহা জানে না।

 আয়াত নম্বরঃ ১৪;
وَلَمَّا بَلَغَ اَشُدَّهٗ وَاسْتَوٰٓى اٰتَيْنٰهُ حُكْمًا وَّعِلْمًا‌  ؕ وَكَذٰلِكَ نَجْزِى الْمُحْسِنِيْنَ
 যখন মূসা পূর্ণ যৌবনে উপনীত ও পরিণত বয়স্ক হইল তখন আমি তাহাকে হিকমত ও জ্ঞান দান করিলাম; এইভাবে আমি সৎকর্মপরায়ণদেরকে পুরস্কার প্রদান করিয়া থাকি।

 আয়াত নম্বরঃ ১৫;
وَدَخَلَ الْمَدِيْنَةَ عَلٰى حِيْنِ غَفْلَةٍ مِّنْ اَهْلِهَا فَوَجَدَ فِيْهَا رَجُلَيْنِ يَقْتَتِلٰنِ  هٰذَا مِنْ شِيْعَتِهٖ وَهٰذَا مِنْ عَدُوِّهٖ‌ۚ فَاسْتَغَاثَهُ الَّذِىْ مِنْ شِيْعَتِهٖ عَلَى الَّذِىْ مِنْ عَدُوِّهٖۙ فَوَكَزَهٗ مُوْسٰى فَقَضٰى عَلَيْهِ‌  قَالَ هٰذَا مِنْ عَمَلِ الشَّيْطٰنِ‌  ؕ اِنَّهٗ عَدُوٌّ مُّضِلٌّ مُّبِيْنٌ
সে নগরীতে প্রবেশ করিল, যখন ইহার অধিবাসীরা ছিল অসতর্ক। সেখানে সে দুইটি লোককে সংঘর্ষে লিপ্ত দেখিল, একজন তাহার নিজ দলের এবং অপর জন তাহার শত্রুদলের। মূসার দলের লোকটি উহার শত্রুর বিরুদ্ধে তাহার সাহায্য প্রার্থনা করিল, তখন মূসা উহাকে ঘুষি মারিল; এইভাবে সে তাহাকে হত্যা করিয়া বসিল। মূসা বলিল, ইহা শয়তানের কাণ্ড। সে তো প্রকাশ্য শত্রু ও বিভ্রান্তকারী।'

 আয়াত নম্বরঃ ১৬;
قَالَ رَبِّ اِنِّىْ ظَلَمْتُ نَفْسِىْ فَاغْفِرْ لِىْ  فَغَفَرَ لَهٗ‌ؕ اِنَّهٗ هُوَ الْغَفُوْرُ الرَّحِيْمُ
 সে বলিল, 'হে আমার প্রতিপালক! আমি তো আমার নিজের প্রতি জুলুম করিয়াছি; সুতরাং আমাকে ক্ষমা কর।' অতঃপর তিনি তাহাকে ক্ষমা করিলেন। তিনি তো ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

 আয়াত নম্বরঃ ১৭;
قَالَ رَبِّ بِمَاۤ اَنْعَمْتَ عَلَىَّ  فَلَنْ اَكُوْنَ ظَهِيْرًا لِّلْمُجْرِمِيْنَ
 সে আরও বলিল, 'হে আমার প্রতিপালক! তুমি যেহেতু আমার প্রতি অনুগ্রহ করিয়াছ, আমি কখনও অপরাধীদের সাহায্যকারী হইব না।'

  আয়াত নম্বরঃ ১৮;
فَاَصْبَحَ فِى الْمَدِيْنَةِ خَآٮِٕفًا يَّتَرَقَّبُ فَاِذَا الَّذِى اسْتَـنْصَرَهٗ بِالْاَمْسِ يَسْتَصْرِخُهٗ‌  ؕ قَالَ لَهٗ مُوْسٰٓى اِنَّكَ لَـغَوِىٌّ مُّبِيْنٌ
 অতঃপর ভীত সতর্ক অবস্থায় সেই নগরীতে তাহার প্রভাত হইল। হঠাৎ সে শুনিতে পাইল পূর্বদিন যে ব্যক্তি তাহার সাহায্য চাহিয়াছিল, সে তাহার সাহায্যের জন্য চিৎকার করিতেছে। মূসা তাহাকে বলিল, 'তুমি তো স্পষ্টই একজন বিভ্রান্ত ব্যক্তি।'

 আয়াত নম্বরঃ ১৯;
فَلَمَّاۤ اَنْ اَرَادَ اَنْ يَّبْطِشَ بِالَّذِىْ هُوَ عَدُوٌّ لَّهُمَا ۙ قَالَ يٰمُوْسٰٓى اَ تُرِيْدُ اَنْ تَقْتُلَنِىْ كَمَا قَتَلْتَ نَفْسًۢا بِالْاَمْسِ   ‌ۖ  اِنْ تُرِيْدُ اِلَّاۤ اَنْ تَكُوْنَ جَبَّارًا فِى الْاَرْضِ وَمَا تُرِيْدُ اَنْ تَكُوْنَ مِنَ الْمُصْلِحِيْنَ
  অতঃপর মূসা যখন উভয়ের শত্রু কে ধরিতে উদ্যত হইল, তখন সে ব্যক্তি বলিয়া উঠিল, 'হে মূসা! গতকাল তুমি যেমন এক ব্যক্তিকে হত্যা করিয়াছ, সেভাবে আমাকেও কি হত্যা করিতে চাহিতেছ ? তুমি তো পৃথিবীতে স্বেচ্ছাচারী হইতে চাহিতেছ, শান্তি স্থাপনকারী হইতে চাও না।'

 আয়াত নম্বরঃ ২০;
وَجَآءَ  رَجُلٌ مِّنْ اَقْصَا الْمَدِيْنَةِ يَسْعٰى قَالَ يٰمُوْسٰٓى اِنَّ الْمَلَاَ  يَاْتَمِرُوْنَ بِكَ لِيَـقْتُلُوْكَ فَاخْرُجْ اِنِّىْ لَـكَ مِنَ النّٰصِحِيْنَ
  নগরীর দূর প্রান্তহইতে এক ব্যক্তিছুটিয়া আসিল ও বলিল, 'হে মূসা! পারিষদবর্গ তোমাকে হত্যা করিবার পরামর্শ করিতেছে। সুতরাং তুমি বাহিরে চলিয়া যাও, আমি তো তোমার মঙ্গলকামী।'

 

 

 
 
 

Post a Comment

0 Comments