সূরা নম্বরঃ ২৮,
আয়াত নম্বরঃ ২১;
ভীত সতর্ক অবস্থায় সে সেখান হইতে বাহির হইয়া পড়িল এবং বলিল, 'হে আমার প্রতিপালক! তুমি জালিম সম্প্রদায় হইতে আমাকে রক্ষা কর।'
فَخَرَجَ مِنْهَا خَآٮِٕفًا يَّتَرَقَّبُ قَالَ رَبِّ نَجِّنِىْ مِنَ الْقَوْمِ الظّٰلِمِيْنَ
আয়াত নম্বরঃ ২২;
وَلَـمَّا تَوَجَّهَ تِلْقَآءَ مَدْيَنَ قَالَ عَسٰى رَبِّىْۤ اَنْ يَّهْدِيَنِىْ سَوَآءَ السَّبِيْلِ
যখন মূসা মাদইয়ান অভিমুখে যাত্রা করিল তখন বলিল, 'আশা করি আমার প্রতিপালক আমাকে সরল পথ প্রদর্শন করিবেন।'
আয়াত নম্বরঃ ২৩;
وَلَـمَّا وَرَدَ مَآءَ مَدْيَنَ وَجَدَ عَلَيْهِ اُمَّةً مِّنَ النَّاسِ يَسْقُوْنَ وَوَجَدَ مِنْ دُوْنِهِمُ امْرَاَتَيْنِ تَذُوْدٰنِ ۚ قَالَ مَا خَطْبُكُمَا ؕ قَالَـتَا لَا نَسْقِىْ حَتّٰى يُصْدِرَ الرِّعَآءُ وَاَبُوْنَا شَيْخٌ كَبِيْرٌ
যখন সে মাদইয়ানের কূপের নিকট পৌঁছিল, দেখিল, একদল লোক তাহাদের জানোয়ার গুলিকে পানি পান করাইতেছে এবং উহাদের পশ্চাতে দুইজন নারী তাহাদের পশুগুলিকে আগলাইতেছে। মূসা বলিল, 'তোমাদের কী ব্যাপার ?' উহারা বলিল, 'আমরা আমাদের জানোয়ারগুলিকে পানি পান করাইতে পারি না, যতক্ষণ রাখালেরা উহাদের জানোয়ারগুলিকে লইয়া সরিয়া না যায়। আমাদের পিতা অতি বৃদ্ধ।'
আয়াত নম্বরঃ ২৪;
فَسَقٰى لَهُمَا ثُمَّ تَوَلّٰٓى اِلَى الظِّلِّ فَقَالَ رَبِّ اِنِّىْ لِمَاۤ اَنْزَلْتَ اِلَىَّ مِنْ خَيْرٍ فَقِيْرٌ
মূসা তখন উহাদের পক্ষে জানোয়ারগুলিকে পানি পান করাইল। তৎপর সে ছায়ার নিচে আশ্রয় গ্রহণ করিয়া বলিল, 'হে আমার প্রতিপালক! তুমি আমার প্রতি যে অনুগ্রহ করিবে আমি তো তাহার কাঙ্গাল।'
আয়াত নম্বরঃ ২৫;
فَجَآءَتْهُ اِحْدٰٮہُمَا تَمْشِىْ عَلَى اسْتِحْيَآءٍ قَالَتْ اِنَّ اَبِىْ يَدْعُوْكَ لِيَجْزِيَكَ اَجْرَ مَا سَقَيْتَ لَـنَا ؕ فَلَمَّا جَآءَهٗ وَقَصَّ عَلَيْهِ الْقَصَصَ ۙ قَالَ لَا تَخَفْ نَجَوْتَ مِنَ الْقَوْمِ الظّٰلِمِيْنَ
তখন নারীদ্বয়ের একজন শরম-জড়িত চরণে তাহার নিকট আসিল এবং বলিল, 'আমার পিতা আপনাকে আমন্ত্রণ করিতেছেন, আমাদের জানোয়ারগুলিকে পানি পান করাইবার পারিশ্রমিক দেওয়ার জন্য।' অতঃপর মূসা তাহার নিকট আসিয়া সমস্তবৃত্তান্তবর্ণনা করিলে সে বলিল, 'ভয় করিও না, তুমি জালিম সম্প্রদায়ের কবল হইতে বাঁচিয়া গিয়াছ।'
আয়াত নম্বরঃ ২৬;
قَالَتْ اِحْدٰٮہُمَا يٰۤاَبَتِ اسْتَاْجِرْهُ اِنَّ خَيْرَ مَنِ اسْتَـاْجَرْتَ الْقَوِىُّ الْاَمِيْنُ
উহাদের একজন বলিল, 'হে পিতা! তুমি ইহাকে মজুর নিযুক্ত কর, কারণ তোমার মজুর হিসাবে উত্তম হইবে সেই ব্যক্তি, যে শক্তিশালী, বিশ্বস্ত।'
আয়াত নম্বরঃ ২৭;
قَالَ اِنِّىْۤ اُرِيْدُ اَنْ اُنْكِحَكَ اِحْدَى ابْنَتَىَّ هٰتَيْنِ عَلٰٓى اَنْ تَاْجُرَنِىْ ثَمٰنِىَ حِجَجٍۚ فَاِنْ اَتْمَمْتَ عَشْرًا فَمِنْ عِنْدِكَۚ وَمَاۤ اُرِيْدُ اَنْ اَشُقَّ عَلَيْكَؕ سَتَجِدُنِىْۤ اِنْ شَآءَ اللّٰهُ مِنَ الصّٰلِحِيْنَ
সে মূসাকে বলিল, 'আমি আমার এই কন্যাদ্বয়ের একজনকে তোমার সঙ্গে বিবাহ দিতে চাই, এই শর্তে যে, তুমি আট বৎসর আমার কাজ করিবে, যদি তুমি দশ বৎসর পূর্ণ কর, সে তোমার ইচ্ছা। আমি তোমাকে কষ্ট দিতে চাই না। আল্লাহ্ ইচ্ছা করিলে তুমি আমাকে সদাচারী পাইবে।'
আয়াত নম্বরঃ ২৮;
قَالَ ذٰ لِكَ بَيْنِىْ وَبَيْنَكَ ؕ اَيَّمَا الْاَجَلَيْنِ قَضَيْتُ فَلَا عُدْوَانَ عَلَـىَّ ؕ وَاللّٰهُ عَلٰى مَا نَقُوْلُ وَكِيْلٌ
মূসা বলিল, 'আমার ও আপনার মধ্যে এই চুক্তিই রহিল। এই দুইটি মেয়াদের কোন একটি আমি পূর্ণ করিলে আমার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ থাকিবে না। আমরা যে বিষয়ে কথা বলিতেছি আল্লাহ্ তাহার সাক্ষী।'
আয়াত নম্বরঃ ২৯;
فَلَمَّا قَضٰى مُوْسَى الْاَجَلَ وَسَارَ بِاَهْلِهٖۤ اٰنَسَ مِنْ جَانِبِ الطُّوْرِ نَارًاۚ قَالَ لِاَهْلِهِ امْكُثُوْۤا اِنِّىْۤ اٰنَسْتُ نَارًا لَّعَلِّىْۤ اٰتِيْكُمْ مِّنْهَا بِخَبَرٍ اَوْ جَذْوَةٍ مِّنَ النَّارِ لَعَلَّكُمْ تَصْطَلُوْنَ
মূসা যখন তাহার মেয়াদ পূর্ণ করিবার পর সপরিবারে যাত্রা করিল, তখন সে তূর পর্বতের দিকে আগুন দেখিতে পাইল। সে তাহার পরিজনবর্গকে বলিল, 'তোমরা অপেক্ষা কর, আমি আগুন দেখিয়াছি, সম্ভবত আমি সেখান হইতে তোমাদের জন্য খবর আনিতে পারি অথবা একখণ্ড জ্বলন্ত কাঠ আনিতে পারি যাহাতে তোমরা আগুন পোহাইতে পার।'
আয়াত নম্বরঃ ৩০;
فَلَمَّاۤ اَتٰٮهَا نُوْدِىَ مِنْ شَاطِیٴِ الْوَادِ الْاَيْمَنِ فِى الْبُقْعَةِ الْمُبٰرَكَةِ مِنَ الشَّجَرَةِ اَنْ يّٰمُوْسٰٓى اِنِّىْۤ اَنَا اللّٰهُ رَبُّ الْعٰلَمِيْنَ ۙ
যখন মূসা আগুনের নিকট পৌঁছিল তখন উপত্যকার দক্ষিণ পার্শ্বে পবিত্র ভূমিস্থিত এক বৃক্ষের দিক হইতে তাহাকে আহ্বান করিয়া বলা হইল, 'হে মূসা ! আমিই আল্লাহ্, জগতসমূহের প্রতিপালক;'
0 Comments