√মাংস নাকি গোস্ত? কোনটি বলবেন?
============©===========
মাংস আর গোশ্তের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। বরাবর আমরা মাংসই বলে আসছি ।
অনেকে মনে করেন এই শব্দের অর্থ নাকি মায়ের অংশ ! তো আপনি কি মায়ের অংশ খেতে পারেন? ।
আমিও বলি না,তাতো খেতে পারিনা । প্রশ্ন হচ্ছে কেন এটা মায়ের অংশ হলো? । এবার শুনুন বিস্তারিত ।
উপমহাদেশের হিন্দুরা গাভীকে গো মাতা বলে । এজন্য মাংস মানে মায়ের অংশ। আজব ব্যাপার !
আচ্ছা গাভীকে তারা না হয় গো মাতা বলেন কিন্তুু ষাড়কেতো আর তারা গো পিতা বলেননা ।
আমরা গাভীও খাই ষাড়ও খাই । আমরা গাভী কিংবা ষাড় দুটোর মাংসকেই মাংস বলি ।
আবার সন্ধি ভাঙ্গান । মাংস মা+অংস = মাংস ।
খেয়াল করেন বাংলায় অংশ লিখতে হলে ''শ'' দিয়ে লিখতে হয় । মাংস শব্দে ''শ'' কোথায় পেলেন?। তাহলে মাংস শব্দ মায়ের অংশ হলো কিভাবে? ।
তাছাড়া শুধু গরুর মাংসকেইতো মাংস বলা হয়না। পাখির মাংস,মোরগের মাংস,হরিণের মাংস, ছাগলের মাংস এগুলোতো কেউ ছাগমাতা কি পাখমাতা ইত্যাদি বলেনা। তাহলে এগুলো মায়ের অংশ হবে কি করে?।
√মাংস না বলে গোস্ত বলবেন?
------------------------------------------
আর যদি মনে করেন মাংস না বলে গোশ্ত বলবেন তাহলে সেখানেও আছে অনেক কথা ।
গো+আস্ত=গোস্ত। 'গো' মানে গরু-দেবতা। 'আস্ত' মানে আছে, বিদ্যমান, অস্তিত্ব। অর্থাৎ আপনার প্লেটে গো-দেবতা উপস্তিতি আছেন । এবার গো দেবতাকে চিবিয়ে খান ।
প্রকৃত কথা কথা হলো মাংস বলুন আর গোস্ত বলুন কোনটাই সমস্যা নয়। এতে জাতপাত,ধর্ম কিছুই যাবেনা । বরং এসব নাক ছিটকানি আমাদের ভাষা এবং সংস্কৃতির আদান প্রদানকে ক্ষতিগ্রস্থ করে । তবে হ্যাঁ আমাদের মুসলিম সমাজে যে শব্দগুলো বহুল ব্যাবহৃত সেগুলোকে আমরা ধারণ করবো কিন্তুু সবকিছুকে বারণ করতে হবে এমনটি নয়।
0 Comments