সমান অধিকার বনাম ন্যায্য অধিকার:
ক্যাপশনে প্রদত্ত তিনটি ছবির মধ্যে এ সংক্রান্ত অসংখ্য প্রশ্নের উত্তর সন্নিহিত আছে।চিন্তাশীলদের জন্য এ উদাহরণগুলোই যথেষ্ট হতে পারে।
সুতরাং পাশ্চাত্যের বস্তাপচা মস্তিষ্ক প্রসূত ধ্যান-ধারণা ও ভুয়া দর্শন থেকে বের হয়ে নারী-পুরুষ সকলের দাবি হোক: “সমান অধিকার নয়; ন্যায্য অধিকার চাই।”
এতে কোন সন্দেহ নেই যে, সম্পদ বন্টন, দায়িত্ব বণ্টন, সম্মান ইত্যাদি সর্ব ক্ষেত্রে নারী-পুরুষ প্রতিটি মানুষকে একমাত্র ইসলামই দিয়েছে ন্যায়-সঙ্গত, যৌক্তিক এবং নায্য অধিকার। কারো প্রতি সামান্যতম অবিচার করা হয়নি।
প্রকৃতপক্ষে ইসলামের প্রত্যেকটি বিধি-বিধান অত্যন্ত নিখুঁত, যৌক্তিক এবং মানবিক। কেননা তা এসেছে মহান স্রষ্টা আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে। তাঁর বিধানে কোন ধরনের অসঙ্গতি, অন্যায় ও অবিচার থাকতে পারে না। মানুষ যদি ইসলামের ন্যায় সঙ্গত বিধানগুলো ভালোভাবে জানতো তাহলে তারা নিজেরাই দাবি করত, আমরা সমান অধিকার নয়; ন্যায্য অধিকার চাই।
মনে রাখবেন, পাশ্চাত্যের ভুয়া স্লোগানে যেটা আপনার কাছে নারী-পুরুষের অধিকারের ক্ষেত্রে কমবেশি বা অযৌক্তিক মনে হয় সেটা আপনার এ বিষয়ে জ্ঞানের ঘাটতি কিংবা পাশ্চাত্যের প্রতি অন্ধভক্তি এবং ইসলামের প্রতি বিদ্বেষমূলক মনোভাবের প্রমাণ বহন করে।
তবে হ্যাঁ, এই অধিকারগুলো তখনই কার্যকর হবে যখন আমরা এ বিষয়ে ভালোভাবে জ্ঞান অর্জন করব, বুঝবো ও গবেষণা করব। পাশাপাশি যখন অধিকারগুলো বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি ইসলামি আইনের প্রয়োগ ঘটবে।
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে সঠিক জ্ঞান দান করুন। আমিন।
- আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল।
#abdullahilhadi
0 Comments