Recent Tube

যাদের গর্ভের বাচ্চা ২/৩ মাসে মিসক্যারেজ হয়, এই বাচ্চাদের কি জান্নাত দেয়া হবে? এই সম্পর্কিত হাদীস জানতে চাই। আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলিল।



প্রশ্ন :
যাদের গর্ভের বাচ্চা ২/৩ মাসে মিসক্যারেজ হয়, এই বাচ্চাদের কি জান্নাত দেয়া হবে? এই সম্পর্কিত হাদীস জানতে চাই। 

উত্তর :
মাতৃগর্ভে ১২০ দিন‌ তথা চার মাস অতিক্রম করে পঞ্চম মাসে ভ্রুনের মধ্যে আত্মার সঞ্চার ঘটে। যেমনটি সহীহ বুখারী ও মুসলিমের হাদীসে বর্ণিত হয়েছে।
فعن عَبْد اللهِ بْن مَسْعُودٍ ، قَالَ: حَدَّثَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ الصَّادِقُ المَصْدُوقُ ، قَالَ: ( إِنَّ أَحَدَكُمْ يُجْمَعُ خَلْقُهُ فِي بَطْنِ أُمِّهِ أَرْبَعِينَ يَوْمًا ، ثُمَّ يَكُونُ عَلَقَةً مِثْلَ ذَلِكَ ، ثُمَّ يَكُونُ مُضْغَةً مِثْلَ ذَلِكَ ، ثُمَّ يَبْعَثُ اللَّهُ مَلَكًا ، يُؤْمَرُ بِأَرْبَعِ كَلِمَاتٍ ، وَيُقَالُ لَهُ : اكْتُبْ عَمَلَهُ ، وَرِزْقَهُ ، وَشَقِيٌّ أَوْ سَعِيدٌ ، ثُمَّ يُنْفَخُ فِيهِ الرُّوحُ ... ) رواه البخاري (3208) ، ومسلم (2643) .
 চার মাসের আগে তা প্রাণহীন একটি মাংসপিণ্ড মাত্র। এটি মানব সৃষ্টির সূচনা। তাই তার উপর পূর্ণ মানুষ-এর বিধান প্রযোজ্য হবে না‌।
এ কারণে মাতৃগর্ভে ভ্রুণের মধ্যে আত্মার সঞ্চার ঘটার পূর্বে যদি মিসক্যারেজ হয়ে যায় তাহলে তার ওপর মৃতের বিধি-বিধান প্রযোজ্য নয়। অর্থাৎ তাকে গোসল, জানাজা, দাফন, কাফন, ইত্যাদি দেওয়ার প্রয়োজন নেই। 

 আর তা কেয়ামতের দিন তার মায়ের জন্য শাফায়াত করবে না বা নাড়ির সাথে টেনে জান্নাতে নেবে না। তবে আত্মার সঞ্চার ঘটার পরে এমনটি হলে আশা করা যায় কেয়ামতের দিন সে তার পিতা-মাতার জন্য শাফায়াত করবে। 
 শাইখ আব্দুল্লাহ বিন বাজ বলেন,

" قبل أربعة أشهر : لا يسمى ولداً، إنما يسمى ولد بعد الأربعة ، بعد نفخ الروح فيه ، يغسل ويصلى عليه ، ويعتبر طفلاً ترجى شفاعته لوالديه .
"চার মাস পূর্বে তাকে "সন্তান" বলা হবে না। সন্তান বলা হবে, চার মাস পরে যখন তার মধ্যে আত্মার সঞ্চার ঘটবে। (এরপরে গর্ভপাত হলে) তার গোসল দিতে হবে এবং জানাজা পড়তে হবে। এটিকে "শিশু" হিসেবে গণ্য হবে। আশা করা যায়,  সে তার পিতা-মাতার জন্য কেয়ামতের দিন সুপারিশ করবে।'
তবে অকাল গর্ভপাত যখনই হোক না কেন তা একজন মায়ের জন্য মুসিবত ও কষ্টের কারণ। এই ক্ষেত্রে ধৈর্য ধারণ করলে আল্লাহ তাকে সওয়াব দান করবেন ইনশাআল্লাহ।
-------------------------
উত্তর প্রদানে :
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সৌদি আরব। 
#abdullahilhadi 
#সংক্ষিপ্ত_প্রশ্নোত্তর

Post a Comment

0 Comments