Recent Tube

ড. ইউসুফ আল কারজাভি (রহ.)


  একবার আমি ইন্দোনেশিয়ার একটি হোটেলে উঠলাম। সেখানে আমার কামরায় একটি ইংরেজি ইঞ্জিল দেখতে পেলাম। আমি আমার সঙ্গীকে জিজ্ঞেস করলাম, ইন্দোনেশিয়ার মতো মুসলিম দেশের হোটেলে কেন ইঞ্জিলের পরিবর্তে তরজমাতুল কুরআন পাওয়া যায় না? 

  আমার করা প্রশ্নের জবাব শুনে একেবারেই কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে গেলাম। সে বলল, আমাদের দেশের আলিমগণ হোটেলে কুরআন কিংবা তরজমাতুল কুরআন রাখা হারাম ঘোষণা করেছেন। কারণ, হোটেলে কুরআন রাখা হলে কাফেররা তা স্পর্শ করার সুযোগ পেয়ে যাবে। অথচ কুরআন কেবল পবিত্র ব্যক্তিরাই স্পর্শ করার অধিকার রাখে। সুতরাং হোটেলে কুরআন রাখার অর্থ হলো, অপবিত্র কাফেরদের জন্য তা স্পর্শের সুযোগ তৈরি করে দেওয়া। 

  ইন্দোনেশিয়ার ধর্মমন্ত্রীর মুখ থেকে এ ধরনের আরেকটি ঘটনা শোনার পর বিষয়টি আমার কাছে বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়েছে। তিনি আমাকে বললেন, একবার ইন্দোনেশিয়ায় বসবাসকারী পৌত্তলিকদের বড়ো একটি গোত্র ইসলাম গ্রহণ করতে আগ্রহী হয়ে উঠল। 
  তারা তাদের নেতৃস্থানীয় কয়েকজনকে মুসলমানদের এক শায়খের কাছে পাঠাল। তারা শায়খকে বলল—আমাদের গোত্রের সবাই ইসলাম গ্রহণ করতে আগ্রহী। এমতাবস্থায় ইসলামে দীক্ষিত হওয়ার জন্য আমাদের করণীয় কী? শায়েখ এক অদ্ভুত শর্তারোপ করে বসলেন। তিনি বললেন—ইসলাম গ্রহণ করতে হলে তোমাদের সবাইকে আগে খাতনা করতে হবে।

  এই শর্তের কথা শুনে তারা ইসলাম গ্রহণ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিল। বুড়ো বয়সে এই কাটাকাটির ভয়ে তারা আর ইসলামই গ্রহণ করেনি।
--------------------------------------------
— ড. ইউসুফ আল কারজাভি (রহ.) 

Post a Comment

0 Comments