Recent Tube

পরনারীতে আসক্ত কোন স্বামী যদি উক্ত হারাম কাজে দৃঢ়পদ থাকার ঘোষণা দেয় তবে সেই স্বামীর অন্যায় অপকর্ম মেনে নিতে কি স্ত্রী বাধ্য?আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল।



 পরনারীতে আসক্ত কোন স্বামী যদি উক্ত হারাম কাজে দৃঢ়পদ থাকার ঘোষণা দেয় তবে সেই স্বামীর অন্যায় অপকর্ম মেনে নিতে কি স্ত্রী বাধ্য? 

 প্রশ্ন :
 এক বোনের স্বামী তাকে দৃষ্টির হেফাজত এবং পরনারী কে কল্পনা করার ব্যাপারে বলেছেঃ "অনেক হুজুর, মাদ্রাসা স্টুডেন্ট প্রকাশ্যে বিচলিত হয়, সেই তুলনায় আমি তেমন ইমানদার ন‌ই। এজন্য তুমি আমাকে যতই সন্তুষ্ট রাখতে চেষ্টা করোনা কেন, আমি অবশ্যই পরনারীতে আসক্ত থাকবো।  ছেলেদের মেন্টালিটি এমনই। এটা নিয়ে বরং তুমি পড়াশোনা কর, কোনো ছেলেই এর ব্যতিক্রম নয়"
 উক্ত স্বামীর কথা মেনে নেওয়ার কি কোন সুযোগ আছে? কারন স্বামী সন্তষ্ট না থাকলে সেই স্ত্রী সহজে জান্নাতে যেতে পারবে না শুনেছিলাম। আল্লাহর ফেরেস্তাদের লানত থাকে সেই স্ত্রীর উপর।

 উত্তর :
 আল্লাহ তা'আলা পুরুষ-নারী উভয়কেই তাদের দৃষ্টি অবনত করার নির্দেশ দিয়েছেন, অবৈধ সম্পর্ক, জিনা-ব্যভিচার, পরকীয়া ইত্যাদি কাজকে হারাম ও অশ্লীল কাজ হিসেবে ঘোষণা করেছেন। 
আর মানুষের জৈবিক চাহিদা পূরণের ব্যবস্থা হিসেবে আল্লাহ তা'আলা বিয়ের ব্যবস্থা করেছেন। একজন স্ত্রী দ্বারা এই চাহিদা পূরণ না হলে দুই তিন বা চারজন স্ত্রী রাখার সুযোগ রেখেছেন। এরপরেও কেউ যদি বলে, "একজন পুরুষ পর নারীতে আসক্ত থাকবেই, তাদের মেন্টালিটি এমনই।" এই কথা দ্বারা যদি তার উদ্দেশ্য হয় যে, সে পরনারীর সাথে সম্পর্ক রাখবে, প্রেম-পরকীয়ায় লিপ্ত থাকবে এবং পর নারীর দিকে দৃষ্টি দিবেই তাহলে সে প্রকারান্তরে আল্লাহর হুকুমকেই চ্যালেঞ্জ করল। সে হল, শয়তানের ধোকায় পতিত এবং প্রবৃত্তির শিকলে আবদ্ধ।মহান আল্লাহ তাআলা যথার্থই বলেছেন, 
 ٱسۡتَحۡوَذَ عَلَیۡهِمُ ٱلشَّیۡطَـٰنُ فَأَنسَىٰهُمۡ ذِكۡرَ ٱللَّهِۚ أُو۟لَـٰۤىِٕكَ حِزۡبُ ٱلشَّیۡطَـٰنِۚ أَلَاۤ إِنَّ حِزۡبَ ٱلشَّیۡطَـٰنِ هُمُ ٱلۡخَـٰسِرُونَ 
"শয়তান তাদের উপর প্রভাব বিস্তার করেছে; ফলে তাদেরকে ভুলিয়ে দিয়েছে আল্লাহর স্মরণ। তারাই শয়তানের দল। সাবধান! নিশ্চয় শয়তানের দল ক্ষতিগ্ৰস্ত "
[Surah Al-Mujādilah: 19]

মানুষের মনের মধ্যে হারাম চিন্তার উদ্রেক হতে পারে। কিন্তু সে ক্ষেত্রে করণীয় হলো, আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম (বিতাড়িত শয়তান নিকট আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি) পাঠ করা, জাহান্নামের শাস্তি এবং আল্লাহর গায়রত ও বড়ত্বের কথা স্মরণ করে ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে নিজেকে হারাম থেকে নিভৃত রাখা।
সুতরাং উক্ত ব্যক্তির এ কথাটি শরিয়তের দৃষ্টিতে হারাম এবং প্রত্যাখ্যানযোগ্য‌।
--------------------------
উত্তর প্রদানে :
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সৌদি আরব। 
#abdullahilhadi
#সংক্ষিপ্তপ্রশ্নোত্তর

Post a Comment

0 Comments