Recent Tube

বিতিকিচ্ছা-১৬, নুর মুহাম্মদ চৌধূরী।


   
       বিতিকিচ্ছা পর্ব-১৬, 
      
   সন্তানের সূখ তথা উজ্জল ভবিষ্যত বিনির্মাণে আপাদমস্তক ঘর্মাক্ত হলেও কোন পিতামাতাকেই ক্লান্ত হতে দেখা যায়নি। অর্থাৎ একরাশ ক্লান্তিতে শরীরটা এলিয়ে দিয়ে সুর্যাস্তের অপেক্ষায় থাকতে দেখা যায়নি কোন পিতামাতাকে। এর মুখ্য কারণ হচ্ছে দায়ীত্ববোধ ও মনোবল। হৃদয়ের গহীন কোন থেকে জেগে উঠা বিবেকবোধ থেকেই সর্ব প্রকার  আলসেমি পরিহার করে পূর্ণ চাঙ্গা মনোবল নিয়ে স্বীয় দায়ীত্বে প্রাণান্তকর প্রচেষ্টায় লেগে যান তারা- যতক্ষন না কপালের ভাজ স্পষ্ট আকার ধারণ না করে। যে কারণে সৃষ্টির আদি কাল থেকে গড়ে উঠা পরিবার ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্তায় সন্তানের হৃদয়ে পিতামাতার প্রতি প্রগাঢ় ভালবাসা ও ভক্তি শ্রদ্ধা বিদ্যমান। জীবনের সর্বস্ব বিলিয়ে দিয়ে একজন পিতা ও একজন মাতা যে ব্যবসাটা আয়ত্বে নেন তা আর কিছুই নয়, শুধূই এই ভালবাসা। তবে তা সকলের ভাগে সমানভাবে পড়ে না। বহু গ্রহনযোগ্য ও বহুবিধ তিক্ত বাস্তবতায় সেই আদি কাল থেকেই ব্যতিক্রম কমবেশি  হচ্ছেই। মানুষের জীবন চক্রের দিকে দৃষ্টি দিলে দেখা যায় একজন মানুষের জীবদ্দশায় পুনশ্চঃ শিশুকাল প্রত্যাবর্তন করে। এই দ্বিতীয় দফা শিশুকাল উপনিত হয় তখন যখন তার নিজের সন্তানাদি থাকে পূর্ণ কর্মক্ষম, পূর্ণ যৌবনা। এ সময় পিতামাতারা পরনির্ভরশীল হয়ে পড়েন, এছাড়া কোন গত্যাম্তর থাকে না। কিন্তু কালের পরিক্রমায় জন-জীবনে আজ ব্যস্ততা এতই প্রকট আকার ধারণ করেছে যে তা ভাষায় প্রকাশ করা দূরুহ ব্যাপার। এই ব্যস্ততা অতীব প্রয়োজনে ও যৌক্তিক কারণে। তাই বিষয়টি সমস্যা তুল্য এবং তা উড়িয়ে দেয়া যায় না।

          যুগে যুগে বহু সমাজ হিতোষী চিন্তাবিদগন এ বিষয়ে বহু সুরাহার পথ আবিষ্কার করেছেন বটে। তবে কোন ব্যবস্থাই উদ্ভোত বিষয়ে শতভাগ সমাধান আনয়ন করতে পারেনি। আর বর্তমান জটিল পৃথিবীর কুটিল আবর্তে পড়ে সমাধান যে কেমনে সম্ভব হয়?? বলা যায় পশ্চিমা বিশ্ব ছাড়িয়ে আজ বিষয়টির জটিলতা পুরো পৃথিবীময় বিস্তৃত হতে চলেছে। সবিশেষ ভাবিত হইয়া আগামী প্রজন্মের সামনে উপস্থাপিত আমাদের "এলডার পার্ক" প্রোগ্রাম। যুগের প্রয়োজনে আর বাস্তবতার নিরিখে তা আজ সময়ের দাবী। এই এলডার পার্ক কোন বৃদ্ধাশ্রম নয়। ইসলামে বৃদ্ধাশ্রমের স্থান নাই মোটেও।
------------------------------------------------
লেখকঃ রম্য ও কবিতা লেখক । 

Post a Comment

0 Comments