Recent Tube

সাহাবাগণ সত্যবাদী, সত্যের উপরে প্রতিষ্ঠিত এবং জান্নাতি তবে সত্যের মাপকাঠি নন। সত্যের মাপকাঠি একমাত্র রাসূলুল্লাহ (সা) ঃ, মুহাম্মদ তানজিল ইসলাম।





সাহাবাগণ সত্যবাদী, সত্যের উপরে প্রতিষ্ঠিত এবং জান্নাতি তবে সত্যের মাপকাঠি নন। সত্যের মাপকাঠি একমাত্র রাসূলুল্লাহ (সা) :
------------------------------------------
     সাহাবাগণ সত্যবাদী এবং সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত এবং জান্নাতি কিন্তু তাঁরাই সত্যের মাপকাঠি নয়। কারণ, তাঁরা সত্যবাদী ও সত্যের উপরে প্রতিষ্ঠিত এবং জান্নাতি এই জন্য যে, তাঁরা রাসূলুল্লাহ (সা) উপরে ঈমান এনে তাঁর আনুগত্য করেছেন। আর আবূ জেহেল, আবূ লাহাব, উতবা, শায়বা, আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই এরা কেউ সত্যের উপরে প্রতিষ্ঠিত নয় বরং বাতিল পন্থী এবং জাহান্নামি কারণ তারা রাসূলুল্লাহ (সা) এর উপরে ঈমান আনেনি, আনুগত্য করে নি। 
.
 عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ كُلُّ أُمَّتِي يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ إِلاَّ مَنْ أَبَى قَالُوا يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَمَنْ يَأْبَى قَالَ مَنْ أَطَاعَنِي دَخَلَ الْجَنَّةَ وَمَنْ عَصَانِي فَقَدْ أَبَى. 
.
     আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার সকল উম্মাতই জান্নাতে প্রবেশ করবে, কিন্তু যে অস্বীকার করবে। তারা বললেন, কে অস্বীকার করবে। তিনি বললেনঃ যারা আমার অনুসরণ করবে তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে, আর যে আমার অবাধ্য হবে সে-ই অস্বীকার করবে।
(সহীহ বুখারী হাঃ৭২৮০; আধুনিক প্রকাশনী- ৬৭৭১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৭৮৩)
.
   সুুতরাং সত্যের মাপকাঠি একমাত্র রাসূলুল্লাহ (সা) আর কেউ নন। এমন কি সাহাবাগণ যে সাহাবা হওয়ার মর্যাদা পেয়েছেন সেটাও রাসূলুল্লাহ (সা) এর আনুগত্য করার কারণে, কেননা সত্যের মাপকাঠি শুধু রাসূলুল্লাহ (সা)। 
.
কে বা কারা সাহাবী আর কারা সাহাবী ছিলেন না সেটাও নির্ণয় করা হয় রাসূলুল্লাহ (সা) এর মাধ্যমে। অন্য কোন মাধ্যমে নয়। যাঁরা রাসূলুল্লাহ (সা) এর উপরে ঈমান এনে তাঁর আনুগত্য করেছেন শুধু তাঁরাই সাহাবী কিন্তু যারা তা করেন নি তাদের কেউ সাহাবী বলে গণ্য করেন না, সাহাবা তো দূরের কথা তারা সাধারণ মুমিনও নয়। বরং কাফের মুনাফিক হিসাবে পরিচিত। আল্লাহ তা'য়ালা বলেনঃ
.

فَلَا وَرَبِّكَ لَا يُؤْمِنُونَ حَتَّىٰ يُحَكِّمُوكَ فِيمَا شَجَرَ بَيْنَهُمْ ثُمَّ لَا يَجِدُوا۟ فِىٓ أَنفُسِهِمْ حَرَجًا مِّمَّا قَضَيْتَ وَيُسَلِّمُوا۟ تَسْلِيمًا 
.
অতএব তোমার রবের শপথ! তারা কখনই মুমিন হতে পারবেনা, যে পর্যন্ত তোমাকে তাদের সৃষ্ট বিরোধের বিচারক না করে, অতঃপর তুমি যে বিচার করবে তা দ্বিধাহীন অন্তরে গ্রহণ না করে এবং ওটা সন্তষ্ট চিত্তে কবূল না করে।
(সূরা নিসাঃ৬৫)
.
আমরা সাহাবাগণ কে সাহাবা হিসাবে সম্মান করি কেন, কারণ তাঁরা রাসূলুল্লাহ (সা) এর আনুগত্য করেছেন। আবার আবূ জেহেল, আবূ লাহাব, উতবা, শায়বা, আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই এদের সাহাবা হিসাবে সম্মান করি না কেন,  কারণ তারা রাসূলুল্লাহ (সা) কে দেখলেও তাঁর প্রতি ঈমান এনে আনুগত্য করেন নি। কারণ একমাত্র রাসূলুল্লাহ (সা)ই সত্যের মাপকাঠি। তিনিই মানুষের মাঝে সত্য মিথ্যার পার্থক্যকারী!
.
ُ فَمَنْ أَطَاعَ مُحَمَّدًا صلى الله عليه وسلم فَقَدْ أَطَاعَ اللهَ وَمَنْ عَصَى مُحَمَّدًا صلى الله عليه وسلم فَقَدْ عَصَى اللهَ وَمُحَمَّدٌ صلى الله عليه وسلم فَرْقٌ بَيْنَ النَّاسِ.
.
যারা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অনুসরণ করল, তারা আল্লাহর আনুগত্য করল। আর যারা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অবাধ্যতা করল, তারা আসলে আল্লাহরই অবাধ্যতা করল। মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হলেন মানুষের মাঝে পার্থক্যের মাপকাঠি।
(সহীহ বুখারী হাঃ৭২৮১;
আধুনিক প্রকাশনী- ৬৭৭২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৭৮৪)
.
কোন সাহাবার আনুগত্যের উপর ভিত্তি করে কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা'য়ালা মানুষ কে বিভক্ত করবেন না। বরং হযরত মুহাম্মদ (সা) আনুগত্যের উপর ভিত্তি করে মানুষ কে বিভক্ত করা হবে। কে বা কারা হযরত আলী (রা) আনুগত্য করেছেন আর কে বা কারা মুয়াবিয়া (রা) এর পক্ষে লড়াই করেছেন এর ভিত্তিতে সে দিন মানুষ বিভক্ত হবে না। বরং মানুষকে বিভক্ত করা হবে রাসূলুল্লাহ (সা) আনুগত্যের উপর ভিত্তি করে। কারণ সত্যের মাপকাঠি সাহাবাগণ নয় মুহাম্মদ (সা)।
.
মহান আল্লাহ তা'য়ালা বলেনঃ 

.
لَّقَدْ كَانَ لَكُمْ فِى رَسُولِ ٱللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ لِّمَن كَانَ يَرْجُوا۟ ٱللَّهَ وَٱلْيَوْمَ ٱلْءَاخِرَ وَذَكَرَ ٱللَّهَ كَثِيرًا 

.
অবশ্যই তোমাদের জন্য রাসূলুল্লাহর মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ তাদের জন্য যারা আল্লাহ ও পরকাল প্রত্যাশা করে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে।
(সূরা আহযাবঃ২১)
------------------------------------------------
লেখকঃ ইসলামি চিন্তাবিদ গ্রন্থপ্রনেতা ও মাওলানা।         

Post a Comment

0 Comments