Recent Tube

জামায়াতে ইসলামী'র উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য: মুহাম্মদ তানজিল ইসলাম।

জামায়াতে ইসলামী'র উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য:।

     জামায়াতে ইসলামী মূলত সেই উদ্দেশ্যেই কাজ করে যেই উদ্দেশ্যে আল্লাহ তা'য়ালা নবী রাসূল প্রেরণ করেছিলেন।
.
شَرَعَ لَكُمْ مِنَ الدِّينِ مَا وَصَّىٰ بِهِ نُوحًا وَالَّذِي أَوْحَيْنَا إِلَيْكَ وَمَا وَصَّيْنَا بِهِ إِبْرَاهِيمَ وَمُوسَىٰ وَعِيسَىٰ ۖ أَنْ أَقِيمُوا الدِّينَ وَلَا تَتَفَرَّقُوا فِيهِ.
.
    তিনি তোমাদের জন্য দ্বীন বিধিবদ্ধ করে দিয়েছেন; যে বিষয়ে তিনি নূহকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, আর (হে নবী) আমি তোমার কাছে যে ওহী পাঠিয়েছি এবং ইবরাহীম, মূসা ও ঈসাকে যে নির্দেশ দিয়েছিলাম তা হল, তোমরা দ্বীন কায়েম করবে এবং এতে বিচ্ছিন্ন হবে না। 
[সূরা শুরাঃ১৩ ]
.
  রাসূলুল্লাহ (সা)কে প্রেরণ করার উদ্দেশ্য সম্পর্কে কুরআনে বর্ণিত হয়েছে এ ভাবে-
.
هُوَ الَّذِي أَرْسَلَ رَسُولَهُ بِالْهُدَىٰ وَدِينِ الْحَقِّ لِيُظْهِرَهُ عَلَى الدِّينِ كُلِّهِ.
.
.   তিনিই তাঁর রাসূলকে হিদায়াত ও সত্য দীন সহ প্রেরণ করেছেন, যাতে তিনি একে সকল দীনের উপর বিজয়ী করেন। 
[সূরা তওবাঃ৩৩; 
সূরা ফাতাহাঃ২৮;
সূরা সফঃ০৯]
  "বাংলাদেশ তথা সারা বিশ্বে সার্বিক শান্তি প্রতিষ্ঠা ও মানব জাতির কল্যাণ সাধনের উদ্দেশ্যে আল্লাহ প্রদত্ত ও রাসূলুল্লাহ (সা) প্রদর্শিত দ্বীন (ইসলামী জীবন বিধান) কায়েমের সর্বাত্মক প্রচেষ্টার মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও পরকালীন সাফল্য অর্জন করাই 'জামায়াতে ইসলামী'র উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য। 
.
      ব্যাখ্যা: 'জামায়াতে ইসলামী'র দৃষ্টিতে দ্বীন ও ইসলামী জীবন বিধান একই অর্থবোধক পরিভাষা। তাই ইসলামী জীবন বিধান কায়েম করাই কুরআন মজীদে ব্যবহৃত 'ইকামতে দ্বীন' পরিভাষাটির সঠিক অর্থ।
     আল্লাহর দ্বীন কায়েম করার অর্থ তার অংশ বিশেষ কায়েম করা নয়, বরং পরিপূর্ণ দ্বীন কায়েম করা। নামায, রোযা, হজ্জ, যাকাত, অর্থনীতি, সমাজনীতি, তামাদ্দুন, রাজনীতি ও আধ্যাত্মিকতা ইত্যাদি সবকিছু নিয়েই পূর্ণাঙ্গ ইসলাম। মুমিন ব্যক্তির কাজই হচ্ছে এই পূর্ণাঙ্গ ইসলামকে বিভিন্ন অংশে বিভক্ত অথবা এর কোন অংশ বর্জন না করে দ্বীনকে সম্পূর্ণ ভাবে কায়েম করার জন্য চেষ্টা ও সাধনা করা।"
(জামায়াতে ইসলামী, গঠনতন্ত্র, ধারাঃ৩ থেকে সংগ্রহীত) 
.
  আল্লাহ তা'য়ালা বলেনঃ 
إِنَّ الَّذِينَ فَرَّقُوا دِينَهُمْ وَكَانُوا شِيَعًا لَسْتَ مِنْهُمْ فِي شَيْءٍ 
.
(হে নবী) নিশ্চয় যারা তাদের দ্বীনকে বিভক্ত  (বিচ্ছিন্ন) করেছে এবং দল-উপদলে বিভক্ত হয়েছে, তাদের কোন ব্যাপারে তোমার দায়িত্ব নেই।
[সূরা আনআমঃ১৫৯]
.
       নিজের ইচ্ছামত দীনের কিছু (সহজ) অংশ গ্রহণ করে আর কিছু (কঠিন) অংশ পরিত্যাগ করে যারা দীনকে বিভক্ত করেছে এবং এ খন্ডিত দীন নিয়েই যারা আনন্দিত, তাদের মুশরিক আখ্যা দিয়ে আল্লাহ তা'য়ালা বলেনঃ
.
ﻭَﻟَﺎ ﺗَﻜُﻮﻧُﻮﺍ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻤُﺸْﺮِﻛِﻴﻦَ ﻣِﻦَ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻓَﺮَّﻗُﻮﺍ ﺩِﻳﻨَﻬُﻢْ ﻭَﻛَﺎﻧُﻮﺍ ﺷِﻴَﻌًﺎ ۖ ﻛُﻞُّ ﺣِﺰْﺏٍ ﺑِﻤَﺎ ﻟَﺪَﻳْﻬِﻢْ ﻓَﺮِﺣُﻮﻥَ
.
     "তোমরা মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না। যারা নিজদের দীনকে বিভক্ত করেছে এবং যারা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়েছে। প্রত্যেক দলই নিজদের যা আছে তা (অর্থাৎ দীনের খন্ডিত অংশ) নিয়ে আনন্দিত।"
[সূরা রূমঃ৩০/৩১-৩২]
------------------------------------------------
 লেখকঃ ইসলামি চিন্তাবিদ গ্রন্থপ্রনেতা ও মাওলানা।

Post a Comment

0 Comments