Recent Tube

বিতিকিচ্ছা-১৪, নুর মুহাম্মদ চৌধূরী।


বিতি কিচ্ছা- পর্ব- ১৪, 
সর্বত্র কট্টর হওয়ার দাবী:-
***********************
         ঈমানের দাবীতে আপোসহীন শ্রেয়, না ঈমান ও কুফুরের মাঝামাঝি অবস্থান করে মধ্য পন্থা অবলম্বন  শ্রেয়। এই ক্ষেত্রে দেখা যায় দাওয়াতী কাজে হেকমত অবলম্বন হেতু মধ্য পন্থা অবলম্বনের রীতিকে উপমা হিসাবে পেশ করে এ যুগের মুসলমানরা মোনাফেকীকে নিষ্টাবান মুসলমানীত্ব হিসাবে ব্যাখা করার প্রয়াস পাচ্ছেন। অথচ ঈমানের দাবীতে আপোসহীন তথা চরমপন্থি তথা কট্টর হওয়াটাই যুক্তিযুক্ত। প্রকৃতপক্ষে ধর্মকর্মের বেলায়  বকধার্মিকতার বিপরীতে কট্টর অবস্থানই হচ্ছে  জান্নাত প্রাপ্তির পূর্ব শর্ত। নিষ্টাবান ও একনিষ্ট শব্দ দুটিকেও এই কট্টর শব্দের প্রতিশব্দ হিসাবে ব্যবহার করা যায়।
          সমস্থ প্রশংসা একমাত্র আল্লাহর জন্য। ভয় নামক কোন বস্তু যদি থেকেই থাকে কারো অন্তরে -তবে সে ভয় হবে একমাত্র আল্লাহরই ভয়। আল্লাহ ছাড়া কারো কাছ থেকে প্রাপ্তির আশা কোন মুসলমান কামনা করতে পারে না। আর 'আল্লাহর অনুমতি ছাড়া কিঞ্চিৎ ক্ষয়-ক্ষতির সম্মুখীন হওয়াটাও অসম্ভব'- এটা একজন কট্টর মুসলিমের বিশ্বাস।
        আল্লাহর নির্দেশকে জানার এবং জ্ঞানত: বুঝে নেওয়ার পর একজন মুসলমানের পক্ষে কখনওই তাকে যুগোপযোগী করার নামে কাটছাঁট করা সম্ভব নয়। যদি কেউ কাটছাঁট করতে উদ্বত হয়, তবে হতে পারে তার এই কর্মটি কুফরি, অথবা হতে পারে মোনাফেকি। ঈমানের দাবীতে কট্টর মুসলিম বলার কোন সুযোগ এখানে নেই। যুগের উপযোগীতার দোহাই দিয়ে ধর্মকে যতই যুগোপযোগী পোষাকে সাজাই না কেন, তাতে ধর্ম তার মৌলিকত্ব হারিয়ে নতুন এক ধর্মে রুপান্তরিত হয়ে যেতে বাধ্য। 
        এতএব যে কোন বিষয়ে সঠিক জ্ঞান লাভের পর তার সম্পর্কে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহনে অপারগতা প্রদর্শন তথা দুদোল্যমান থাকার কোন সুযোগ গ্রহনের চেষ্টা এক প্রকার বিকৃতিই বটে।
            সুতরাং মহান রবের দরবারে আরজ, "হে রব- দ্বীনের সঠিক বুঝ আমাদেরকে দান করুণ, আর সকল প্রকার বিকৃতি থেকে হেফাজত করুণ। নিঃশ্চয়ই আপনি মহান দাতা।"
------------------------------------------------
লেখকঃ কবিতা ও রম্যলেখ।       

Post a Comment

0 Comments